পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ASAMJJJJSAS SSAS সরকারের গোলাম করিবার চেষ্ট হইতেছে। আশুবাবুর উত্তরাধিকারীদের দলপাকান যদি মন্দ না হয়, তাহা হইলে শিক্ষা-সেক্রেটরীর বা ডিরেক্টরের দল-পাকানটা কেন মন্দ হইবে ? অবশ্ব দুটাই মন্দ । কিন্তু চালুনী ও চুচের ঝগড়াটা সুশোভন নহে। ওয়ার্ড দোয়ার্থ সাহেব যখন শিক্ষণবিভাগের ইংরেজের কর্তৃপক্ষের দলপাকানর নিন্দ করিয়াছিলেন, তখন যদি মুখুজ্যে-বাড়জ্যেদের দলপাকানরও নিন্দা করিতেন, তবে বুঝিতাম তিনি দ্যায়বান, নিরপেক্ষ লোক। মুখুজ্যে-বাড়ধ্যে দলের গোলামীও গোলামী, লিওসে-ওটেনের গোলামী ও গোলামী । মুখুজ্যে-বাড়ুজে দলের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতারক্ষার ধুয়া এবং ঐদলের প্রাধান্ত-রক্ষা সমার্থক। তাহার নিঃস্বার্থ কৰ্ম্মী ও নহেন । তাহীদের মধ্যে অনেকে বেতন, কাগজ-পরীক্ষার ফী ইত্যাদি বাবতে বেশ দুপয়সা রোজগার করেন। আত্মোৎসর্গ জিনিষটা ভাল । কিন্তু এক মুরগী যেমন তিন চার পাচ জায়গায় জবাই করা যায় না, তেমনই একই মানুব হাইকোটে, ল-কলেজে, পোষ্ট্রগ্রাজুয়েট ক্লাসে, সেনেটে সীণ্ডিকেটে, ফ্যাকাটিতে বোর্ডে, একটা দেহকে মনকে উৎসর্গ করিতে পারে না । একটা যুক্তি শুনিয়াছি, যে, বেসরকারী কতকগুলি লোকের প্রভাব হইতে বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্ত করা সোজা, কিন্তু সরকারী প্রভূত্ব একবার স্থাপিত হইলে সহজে নিদ্ধতি নাই। কথাটা আপাততঃ শুনিতে বেশ লাগে, কিন্তু পরীক্ষা করিয়া লওয়া দরকার। কুড়ি বৎসরের অধিক পূৰ্ব্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কন্সটিটিউশ্যন হইয়াছে, তাহাতে সরকারের মনোনীত সভ্যদের সংখ্যাই বেশী। লর্ড কার্জনের আইন বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকারের করতলস্থ করিবার জন্তই প্রণীত হইয়াছিল। তথাপি দীর্ঘকাল ধরিয়া আশুবাবু প্রভুত্ব করিয়াছেন, এবং এখন তাহার উত্তরাধিকারীরা করিতেছেন। সুতরাং সরকারী প্রভুত্ব বিনষ্ট করা যায় না, ইহা ঠিক নয়। সত্য বটে, সরকার চেষ্টা ব্যর্থ করিবার জন্ত সকল সময়ে আপ্তবাবুর মত ক্ষমতাশালী ও ফন্দীবাজ লোক পাওয়া .যাইবে না। সেইজন্তই ত আমরা বহুবৎসর হইতে বলিয়া আসিতেছি, যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিৰ্ব্বাচিত সদস্তদের সংখ্যা 巻 >b-a> .TarunnoBot (আলাপ) --م۔۔۔۔۔۔ ۔ ۔. یہ برہ" کہہ رہی۔ বিবিধ প্রসঙ্গ—বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুপদাধিকারী సJA) নূনকল্পে শতকরা আশী জন করা হউক। তাহা হইলে সরকারী মতলব সিদ্ধি দুঃসাধ্য হইবে। কিন্তু তাহ হইলে আবার আশুবাবুরও প্রভুত্ব নষ্ট হইবার সম্ভাবনা থাকায় তিনি যতদিন বাচিয়াছিলেন ততদিন বিশ্ববিদ্যালয় আইন ংশোধনার্থ প্রস্তুত সকল বিলেরই ঘোরতর বিরুদ্ধাচরণ করিয়াছিলেন। এখন তাহারই দলের লোকেরা নুতন বিল পেশ করিবেন বলিতেছেন! যদুবাবুর উপর মুখুজ্যে-বাড়ুজ্যে দলের বড় আক্রোশ ; কেননা, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অনেক সংস্কার প্রবর্তনের চেষ্টা করিতেছেন, যাহাতে তাহদের প্রভুত্বে স্বার্থে আঘাত লাগিবে । তাহার ঘন্ধুবাবুর ভাল কাজের সপক্ষে ভোট দেন না, অন্তে তাহার পক্ষে ভোট দিলে চীৎকার জুড়েন, যে, সরকার পক্ষ তাহার দিকে ভোট দিতেছে, তিনি সরকারের নিকট আত্মবিক্রয় করিয়াছেন । যে স্বরাজ্য দলের লোকদের সঙ্গে মুখুজ্যে-বাড় জ্যে দলের এখন দহরম মহরম, সেই স্বরাজ্য দল ও ত কোন কোন আইন প্রণয়নের সময় ব্যবস্থাপক সভার সরকারী ও মনোনীত সভ্যদের সহিত এক দিকে ভোট দিয়াছেন। এইরূপ সহযোগিতার দ্বারা কি তাহারা তাহা হইলে গবন্মেন্টের নিকট আত্মবিক্রয় করিয়াছেন বলিতে হইবে ? যদুবাবুর কিম্বা অন্য কাহারও কোন ভূল হইতে পারে ন৷ বলিতেছি না। কিন্তু কোন একটা বা একাধিক কাজে গবন্মেটি পক্ষের সহযোগিতা করিলে বা পাইলেই তাহা হইতে অীনত বা আত্মবিক্রয় প্রমাণিত হয় না । বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুপদাধিকারী এক-একটা কাজে যদি অনন্তকৰ্ম্ম লোক লাগিয়া থাকেন, তাহা হইলে কাজ ভাল হয়। অনন্তকৰ্ম্ম লোক ন। পাওয়া গেলে অবহু অন্ত কাজে নিযুক্ত লোকও অগত্য। লইতে হয়। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কলেজে ও অন্যান্য আইন কলেজে র্যাহারা অধ্যাপকের কাজ করেন, তাহার ওকালতী ব্যারিষ্টারী করেন, তাহ দোষের বিষয় নহে ; বরং, ওকালতী ব্যারিঃারীতে যাহাদের