বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سbسb প্রবাসী । [ ৭ম ভাগ । BB DD DD DD DS DD DDD DD BB BBB BB B BBBB BB BBBBSBBB ইচ্ছাপূৰ্ব্বক, পূৰ্ব্বপুরুষগণের নিয়মানুসারে এই প্রকার উপযুক্ত শাস্তি দিবার সময় বিদেশী পাদরিগণ "গিয়া তাহার সম্মান প্রদর্শন করিয়া থাকেন। বৃদ্ধ মহারাণী এখনও রাজ্যের শাসনকাৰ্য্য পরিচালন করিতেছেন । তাহার বয়স এখন ৭০ বৎসর অতিক্রম করিয়াছে এ বয়সে র্তাহার বিশ্রাম লওয়াই বিধেয়, কিন্তু রাজ্যে এখনও বিশেষ সুশৃঙ্খলা হয় নাই। তাই সাহস করিয়া রাজ্যের ভার আপন হস্ত হষ্টতে সম্রাটকে দিতে সাহস পান না । সম্রাজ্ঞী সংস্কারক দলকে ধবংস করিয়া নিজে শাসনভার লওয়া অবধি বিদেশীগণ র্তাহাকে, “এটিফরেণ” অর্থাৎ বিদেশীদ্বেষী মনে করিয়া ঘৃণা করিয়া থাকেন। এবং সময় সময় যে গোয়ার ও মুর্থ চীনাগণ কোন কোন বিদেশীর প্রতি অসদ্ব্যবহার করিয়া থাকে, সে কাৰ্য্যগুলিও বৃদ্ধারাণীর প্ররোচনায় হইয়া থাকে বলিয়া রটনা করিয়া থাকে । র্তাহার রাজ্যের শাসনভার গ্রহণের দুই বৎসর মধ্যে “বক্সার গুপ্তসমিতির দল” ক্রমে প্রবল ও অধৈৰ্য্য হইয়া উঠিতে লাগিল এবং নানা স্থানে বিদেশীগণের উপর, অত্যাচার আরম্ভ করিল। এই ঘটনা গুলিও বৃদ্ধারাণীর চক্রান্তে ঘটিয়াছিল বলিয়া তাহার প্রতি বিদেশীগণ ক্রুদ্ধভাব প্রকাশ করিতে লাগিলেন, কিন্তু কোন কোন নিরপেক্ষ বিদেশীর মতে এ কথা সত্য নহে। এই গুপ্তসমিতি বহু কাল হইতেই চীনদেশে বর্তমান আছে, ইহা চীনজাতির দৈনিক জীবনের এক গুহ অংশ বলিলেও ভুল হয় না। এই গুপ্তসমিতির সঙ্গে ধৰ্ম্মের বন্ধন ও সামাজিক বন্ধন জড়িত থাকায়, ইহা তাহাদের জীবনে অতি মহৎভাবে কাৰ্য্য করিয়া থাকে। পরস্পর ভ্রাতৃভাব ও একতা স্থাপন এবং পরস্পরকে আমুকুল্য করাই এই গুপ্তসমিতির মুখ্য উদ্দেশু। এই সময়ে পেকিন হইতে বহুদূরে উত্তর চীন রাজ্যে এই “গুপ্তসমিতির” দল অতি প্রবল হইয় উঠে এবং নানা দুষ্ট লোকের প্ররোচনায় উন্মত্তপ্রায় হইয়া ইহারা ১৯০০ খৃঃ পেকিনের ইউরোপীয়গণকে আক্রমণ করে। যে কারণে বকসার দল ক্ষেপিয়া উঠিয়াছিল তাহার সংক্ষিপ্ত কারণ এই –যে সকল ইউরোপীয় চীনদেশে বাস করেন, তাহারা চীনজাতির আচার ব্যবহার ও ধৰ্ম্মবিশ্বাসের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করিতেন। দেশী খৃষ্টানগণ অন্তরায় হষ্টয় দাড়াইতেন । পেকিনের লিগেশনের বিদেশী রাজদূতগণ কেহ কোন প্রদেশের কোন অংশ আপনারা লাইবেন বলিয়া দাবি করিতে থাকেন, কেহবা কোন বিশেষ বাণিজ্যের অধিকারের জন্ত দাবি ছাদিয়া বসিতে লাগিলেন, কোন স্থানে কোন অজ্ঞাত চীনাকর্তৃক কোন বিদেশী হত হইলে বা অত্যাচরিত হইলে, সেই প্রদেশের সৰ্ব্বপ্রধান কৰ্ম্মচারীকে হয় ত তাহার জন্ত প্রাণদণ্ডের বিধান করিতে আবদার করিতে লাগিলেন । এই প্রকার অহরহ কত শত ঘটনা ঘটিতে লাগিল । , এই প্রকার অদ্যায় অবদার বর্তমানে চীনদেশ ভিন্ন অদ্যত্র প্রায় লক্ষ্য হয় না । বিদেশীগণের এই সকল অত্যাচার ও অন্তায় দাবির জন্ত চানজাতি ক্ষেপিয়া উঠিল । কারণ বহুদিন হইতে এই ভাবে ইহার বিদেশীগণ কত্ত্বক প্রপীড়িত হইয়া আসিতেছে । কাজেই তাহারা অধৈৰ্য্য হইয়া উঠিল। যেমন কোন ক্ষুদ্র একটা কীটকে পীড়ন করিলে, সেও উণ্টিয়া তাঙ্গর প্রতিশোধ লইতে চেষ্টা করে, চীন জাতির সম্বন্ধেও তাঙ্গই ঘটিয়াছিল। এই কার বশতঃ বক্সার সম্প্রদায়ের নেতাগণ বিদেশীগণকে পেকিং হইতে তাড়ান বা তাতাদের দিন দিন বৰ্দ্ধিতপ্রভাবকে খৰ্ব্ব করার মানসে অস্ত্ৰধারণ করিল। প্রথম প্রথম এই গুপ্তসমিতির দল প্রজাসাধারণ মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু যখন তাহদের প্রভাব দিন দিন বদ্ধিত হইতে লাগিল, এবং দাবাগ্নির দ্যায় তাহীদের দলবল চতুর্দিকে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িল, তখন রাজবংশের কোন কোন. কুমার বা প্রিন্স এই সম্প্রদায়ের অগ্রণীগণের সঙ্গে যোগ দান করিলেন। তাহার মধ্যে প্রিন্স টোমান সৰ্ব্বাঙ্গ্রগণ্য স্থান অধিকার করিলেন। এবম্বিধ ব্যক্তির প্রকাশ্যভাবে গুপ্তসমিতির সঙ্গে যোগদান করায় অবস্থার গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি হইতে লাগিল। অপরাপর স্বদেশপ্রেমিকগণ এবং অনেক উচ্চ রাজকৰ্ম্মচারিগণ উৎসাহে মাতিয়া উঠিল। ক্রমাগত অসন্তোষ বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে এই বক্সার গুপ্তসমিতি সকল একত্ৰযোগে এক প্রধান শক্তির আকার ধারণ করিল। বিদ্রোহিগণের পেকিংলিগেশনের বিদেশীগণকে সৰ্ব্বপ্রথম আক্রমণ করার প্রধান কারণ এই যে তাহীদের