বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లి: জাতিকে । আমরা পশ্চিম বঙ্গীয়গণ একাদশী তিথিতে বিধবাগণকে, অসমর্থ হইলেও, কিঞ্চিম্মাত্রও আহার করিতে দিই না । সুবিষম ব্যাধি উপস্থিত হইলে, তাহাদিগকে মরিতেও দেখিব, কিন্তু বিন্দুমাত্র ঔষধ প্রদান করিব না । ইহা অতিরঞ্জিত নহে। পশ্চিম বঙ্গের এতাদৃশ ঘটনা বিরল নহে । আমি নিজেই তাহার এক প্রধান সাক্ষী । সে কি এক লোমহর্ষণ ব্যাপার, পাঠকগণ নিম্নলিখিত বিবরণে জানিতে পারিবেন ! ১২৯৭ সাল । জ্যৈষ্ঠের সংক্রান্তি । গ্রীষ্মের প্রভাব সময়োচিত । আমাদের গ্রামে (হরিচন্দ্রপুর, মালদহ ) কলেরার প্রান্তর্ভাব হইয়াছে। আমাদের পরমপূজনীয়া বিধবা পিতামহী ঠাকুরাণী দিবা সাৰ্দ্ধ দ্বিতীয় প্রহরে ঐ রোগে আক্রাস্ত হইলেন । সে দিন একাদশী । তিনি বিধবা হইয়া কিরূপে ঔষধ সেবন করিবেন! গ্রামবুদ্ধগণের মত হইল না। তৃষ্ণায় তিনি অস্থির হইতে লাগিলেন । ব্যবস্থা হইল, তেল মাথাইয়া জল ঢালা । তাহাই হইল, কিন্তু সেই ভীষণ রোগের জালা, তৃষ্ণ কি ঐ প্রক্রিয়ায় উপশাস্ত হইতে পারে ? পিতামহী আমার পরদিন দ্বাদশীর অতি প্রত্যুষে ওষ্ঠ প্রান্তে এক-আধ বিন্দু জলগ্ৰহণ করিয়া তৃষ্ণার ও ব্যাধির জালা হইতে চিরদিনের জন্ত বিদায় গ্রহণ করিলেন ! আমরা বীর আর্য্যসস্তান, বীরের ন্যায় শাস্ত্রমর্য্যাদা রক্ষা করিলাম ! কলেরার স্তায় ব্যারামেই যখন আমরা এইরূপে বিধবা বধ করিতে পারি, তখন নীরোগ অবস্থায় বিধবাগণের অনশন যন্ত্রণার দিকে যে আমরা আদৌ ক্ৰক্ষেপ করি না, ইহা বলাই বাহুল্য। পরিণত বয়স্ক বিধবাগণ একাদশী সন্নিহিত জানিয়া কতদূর ভীত হন, তাহাও দগ্ধ নয়নে বহুবার দর্শন করিয়াছি। আর র্যাহারা অতি শৈশবেই বৈধব্যবেদনানলে আহুতিরূপে নিক্ষিপ্ত, সেই ক্ষীরকণ্ঠ বালিকার ? তাহদের অবস্থা আরও অরুন্তুদ । অনেকেই জানেন, যে সংসারে এইরূপ বালবিধবার অসদ্ভাব নাই, সে স্থানে ঐ নিৰ্ব্বোধ বালিকাগণের দ্বারা একাদশী ব্রত পালন করাইবার জন্য সমস্ত পরিবারগকে কতদূর অশাস্তিভোগ করিতে হয়। তাছাদের কাতর ক্ৰন্দন শৰে মৰ্ম্মগ্রন্থি ছিন্ন হইয়া যায়। তবুও সাহস u BB ttttHH DTT HHHHu uD u u uS প্রবাসী । [ १भ छांभ । هخچه چپ ۲۶ و «چ»، «چمهم পাছে বাহিরে আদিলে কিছু খাইয়া ফেলে, এই ভয়ে গৃহ মধ্যে তাহাদিগকে আবদ্ধ করিয়াও রাখা হয়! কোন কোন সময়ে বিধবা দুহিতার তাদৃশ অবস্থা দর্শনে বাষ্পপুলিতনয়ন কোমল প্রাণ! জননীও দুহিতার সহিত একই গৃহে আবদ্ধ থাকিয় একাদশীব্রত পালন করেন ! এই বিধবা বধের কি কোন প্রতিকার নাই ? আমাদের ধৰ্ম্মব্যবস্থাপক পণ্ডিত মহোদয়গণ সহমরণরূপ বিধবাবধের কোন প্রতীকার করিতে পারেন নাই ; তাহারা কি এই একাদশীব্রত সম্বন্ধেও সেই পদ্ধতিই অবলম্বন করিয়া থাকিবেন ? তাহারা কি ইহার যুক্তাযুক্তত্ব বিবেচনা করিবেন না ? হিন্দুর শাস্ত্র কি এতই নিষ্ঠুর, যে তাহা এইরূপে স্ত্রীবধ করিবার অনুমোদন করিবে ? স্ত্রীবধও যদি এইরূপে অনুমোদিত হয়, তবে সেই শাস্ত্রের উপর লোকের শ্রদ্ধা থাকিতে পারে না। যদি বস্তুতই শাস্ত্র তাহ বলিয়া থাকে, আমরা ইহ স্বীকার করিতে প্রস্তুত নহি, তবুও ত তাহার সংস্কার করা উচিত। তবেই ত শাস্ত্রের যথার্থ রক্ষণ হয় । জীর্ণ গৃহ সংস্কৃত না হইলে, কে তাহাকে আশ্রয় করিবে ; এ অবস্থায় তাহার প্রতি আদর প্রদর্শন অসম্ভব। ভারতের সমস্ত প্রদেশেই দ্বিজগণের বসতি আছে, কেবল পশ্চিমবঙ্গেই নহে। একাদশীর এতাদৃশ কঠোর নিয়ম পশ্চিমবঙ্গ ভিন্ন অন্যত্র দেখিতে পাওয়া যায় না,— যতদূর জানিতে পারিয়াছি। এই বঙ্গদেশেরই অপর বিভাগে অসমর্থ বিধবাগণকে দুগ্ধ ফল-মূলাদি ভোজন করিতে দেখিতে পাওয়া যায়। পূৰ্ব্ববঙ্গীয় ব্রাহ্মণ পণ্ডিতগণ র্তাহাম্বের বিধবাগণ দ্বারা পরিগৃহীত এই আচরণকে কোন মতেই অশাস্ত্রীয় বলিয়া স্বীকার করেন না। এক নবদ্বীপাধিকৃত পশ্চিমবঙ্গ ভিন্ন সৰ্ব্বত্রই ঐ এক মত দেখিতে পাওয়া যায়— অসমর্থ হইলে অনুকল্পবিধান সঙ্গত । তত্ত্বনিরূপণ ও সকলের মঙ্গলের দিকে লক্ষ্য রাখিয়া, অপক্ষপাত হৃদয়ে ধৰ্ম্মবিচার করিলে বিচারের ফল পাওয়া যাইতে পারে। কিন্তু অনেক সময়েই তাহা না করিয়া বিচারকগণ পূৰ্ব্ব গৃহীত স্ব স্ব মতকে যেকোন প্রকারে হউক সমর্থন করিবার জন্ত চেষ্টা করেন ; নিজের বিজিগীষাবৃত্তির চরিতার্থতা সম্পাদন করেন। ফলে এই দাড়ায়, אחי והליריחfrזי פחדי הזוהיית "איזהחקלאי חסויוזפה ה"אס בחסיfa