বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.l-l--............ همه ی متهمه مهممد. همه مه... ه سهمیه، مسی -م. ب۰حمد ुन बहश्म नि गंगैश्च পরিবারের অন্তর্গত। পারিবারিক সম্পত্তি সাধারণ সম্পত্তি। উহাতে প্রত্যেকেরই সমান অধিকার । পিতা এই সম্পত্তির স্বামী কিংবা স্বত্বাধিকারী নহেন, পরস্তু ইহার পরিচালক কৰ্ম্মকর্তা মাত্র। অতএব এইরূপ সম্পত্তি যৌথ-সম্পত্তি— অন্ততঃ ইহাকে অবিভক্ত সম্পত্তি বলা যাইতে পারে । উহাতে কাহারও ব্যক্তিগত অধিকার নাই। এইরূপ ব্যৰস্থায়, উচ্চতর পারিবারিক স্বার্থের উদ্দেশে ব্যক্তিকে বিসর্জন করা হইয়াছে। হিন্দু-পরিবার—ইহা ত একটি ক্ষুদ্র সমাজমণ্ডলী। 鲁 ভারতে,•জাতিবর্ণের স্তায় পরিবারও সাধারণ হিতের জঙ্ক ব্যক্তিত্বের বিলোপ সাধন করিয়াছে। সৰ্ব্বাগ্রে পরিবারকে, কুলকে বজায় রাখাই প্রধান কৰ্ত্তব্য । এইরূপ সমাজযজ্ঞের হতাশনে প্রথম আহুতি—স্ত্রীলোক । স্ত্রীলোকের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করাই উচ্চতর সভ্যতার লক্ষণ। একজন মার্কিন অামাকে একবার বলিয়াছিলেন;– “কোন দেশের সভ্যতা সেই পরিমাণে উচ্চতর, যে পরিমাণে তত্ৰত্য নারীজাতির নির্দিষ্ট কাৰ্য্য ও অধিকার মহত্তর * সম্ভব ; কিন্তু সমস্ত এসিয়ার লোক এরূপ মনে করে না । একথা সত্য, জাপানে কিংবা চীনে, লোকের দৈনন্দিন আচার ব্যবহার, তত্ৰত্য বিধিব্যবস্থাকে একটু সংশোধিত করিয়া লয়—একটু নরম করিয়া আনে। কিন্তু ভারতবর্ষে, লোকাচার শাস্ত্রের কঠোরতাকে আরও যেন বাড়াইয়া তোলে। ভারতে, নিম্ন শ্রেণীর স্ত্রীলোকদিগের অনেকটা স্বাধীনতা আছে। কিন্তু সামাজিক সোপানের যে যত উচ্চধাপে অবস্থিত সেই পরিমাণে তাহার স্বাধীনতাও সঙ্কুচিত। অবগুণ্ঠন, অবরোধ, সহমরণ এই সমস্ত অমূল্য অধিকার অভিজাতবর্গেরই নিজস্ব। উচ্চশ্রেণীর স্ত্রীলোকেরাই এই সমস্ত অধিকার রক্ষা করিবার জন্ত বিশেষ যত্নশীল । এরূপ আত্মবলিদান সকলের ভাগ্যে ঘটে না। যাহার পক্তিপ্রাণ পতিব্ৰতা পতির পদানত দাসী, যাহারা ধৰ্ম্মার্থে প্রাণ বিসর্জন করিতে প্রস্তুত, তাহারাই নিজের চিতা নিজে এজলিত করে.ইহা একটু ৰেী-রকমের হিন্দুরানী। আয়কাল স্বাধীনত সৰেএখানে কিরূপ আন্দোলন জঞ্জয়ে কর্ম পরে গিব। এখন সাধারণ স্ত্রীলোকদের গণ-সকলেই এই দি २०१ সম্বন্ধে কিছু বলা যাক। প্রথমতঃ–এখানকার স্ত্রীলোকের কি মুগ্ৰী ? সুগ্ৰী নিশ্চয়ই, তবে উহাদের রূপলাবণ্য প্রাচ্য ধরণের। উহাদের গায়ের রং জাক্রানের মত—মনে হয় যেন খাটি পিতলে ঢাল। উহাদের মুখাবয়ব বেশ সুষম, চোখের পাতা দীর্ঘ–চোখ প্রেমদীপ্ত ; উহাদের অঙ্গভঙ্গীতে মদালস ভাব ; উহারা যে কাপড় পরে তাহ সরু ফিন্‌ফিনে। শুনিতে পাই, গুটাইয়া লইলে উহাকে একটা আংটীর মধ্যে প্রবেশ করান যায় ;–২৫২৬ গজ লম্বা মলমলের থান । উহাদের বাহু, পায়ের গোড়ালী, পায়ের আঙ্গুল অলঙ্কারে ভরা ;–দেখিলে মনে হয় যেন গায়ের উপর স্তাকুরার দোকান সাজাইয়। রাখিয়াছে। উহাদের মধ্যে কেহ কেহ আমাকে এই কথা বলিয়াছে—উত্তরদেশস্থ রমণীদের তুলনায় উহার কুরূপ। সোনালী কিংবা খড়ের রঙের চুল, দুধের মত শাদা রং, নীল চোখ, আমাদের স্বৰ্য্যের মৃদু কিরণে যেরূপ টাটুক মুকুমার-ধরণের ফর্সা রং হয় সেইরূপ রং— আসলে এই সমস্তই উহাদের পছন্দসই । কোন হিন্দুপরিবারে, কন্যাসস্থানের জন্মদিন শোকের দিন বলিয়া বিবেচিত হয়। তাহার বিবাহ-যৌতুকের জন্ত অপরিমিত অর্থব্যয় করিতে হয়। কোন কোন পরিবারে, কন্তসিস্তানের জন্ম একেবারে ‘গাপ করিয়া ফেলা হয়। উত্তর-রাজস্থানের কোন দুর্গের উল্লেখ করিয়া একজন ইংরাজ রাজপুরুষ আমার নিকট গল্প করিয়াছিলেন —“এই দুর্গের মধ্যে, দুর্গাধিপতির কোন পুত্র, ভ্রাতুষ্প ত্ৰ কিংবা পৌত্র জন্মগ্রহণ করিলে, দুর্গপ্রাকারস্থ পুরাতন • কামান হইতে তোপধ্বনি করিয়া পার্শ্ববৰ্ত্তী সমস্ত লোককে জানাইয়া দেওয়া হয় ; কিন্তু বহুশতাব্দী হইয়া গেল, আজ পর্য্যন্ত একটি কষ্ঠাসন্তানের মিষ্ট হাসি দুর্গের মধ্যে কেহ কথন দেখে নাই।” এমনও কতকগুলি গ্রাম আছে যেখানে কক্সাসস্তান একেবারেই দেখা যায় না। ইহাই সেই সব স্থানের চিরন্তন প্রথা। অবস্থা এরূপ গুরুতর, অনেকগুলি গ্রামের উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখিবার জন্ত ইংরাজ সরকার বিশেষ-পুলিস বসাইয়াছেন । w বাকী স্ত্রীলোকদের অবস্থাইহাদের অপেক্ষ কি পূহনীয়? বলবান পুরুষজাতি,—ষ্ট্রীলোককে,--আপনার সন্ধিনীৰে