পাতা:প্রহাসিনী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় ২৬ । এ কবিতার শেষ স্তবকটি ঈষৎ-পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত আকারে গল্পসল্প গ্রন্থে “চন্দনী’ গল্পের পরে সংকলিত। দ্বিতীয় স্তবকের সংকলন ঐ গ্রন্থেই অচ্যুত্র । ৩১ ॥ এ কবিতা রচনার তারিখ অনুমান করা চলে রবীন্দ্রনাথের ঐ সময়ের একখানি খসড়া-খাতা বা ‘ডায়ারি’ হইতে । ১৫ পৌষ ১৩৪৫ তারিখে লেখা মাল্যতত্ত্ব কবিতার একরূপ অন্তর্নিবিষ্ট থাকায়, ইহার রচনাও ঐ সময়ে । এমন-কি, কতকটা বিলম্বিত লয়ের ‘মাল্যতত্ত্ব’ লেখার কোনো সাময়িক ব্যাঘাত বা বিরতি-জনিত বিরক্তিই এ রচনার উৎস, এমনও মনে করা চলে । ৩২-৩৫ ॥ এ কয়টি কবিতা কবির স্নেহ-পাত্রী মংপু-নিবাসিনী শ্ৰীমতী মৈত্রেয়ী দেবীর উদ্দেশে লেখা ৷ উত্তরকালে তাহারই সম্পাদনায় এগুলির পরিশিষ্ট রূপে রবীন্দ্রনাথের আর-একটি কবিতা ‘পচিশে বৈশাখ’ গ্রন্থে স্থান পায় ; এ স্থলে সংকলন করা গেল— বিবিধজাতীয় মধু গেল যদি পাওয়া, তবুও রয়েছে কিছু বাকি দাবি-দাওয়া । এখন স্বয়ং যদি আসিবারে পারে। তা হলে মাধব ঋণ বেড়ে যাবে আরো । আহারের কালে মধু রহে বটে পাতে— · কিন্তু কোথা, দান করেছিলে যেই হাতে । ডাক-যোগে সাড়া পাই, থাকো দুর-দেশী – মোকাবিলা দেখাশোনা দাম ঢের বেশি । পদ্যশিখরের পানে কবি মধুসখা উড়েছিল মধুগন্ধে— গদ্য-উপত্যক করিবে আশ্রয় আজি স্পষ্টভাষণের প্রয়োজনে । দুরারোহ তব আসনের X ©()