পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য গতজলমতি তরলং তদ্বজ্জীবনমতিশয়চপলম * গাচ্ছি ; আর যমের ভয়ে হাত-পা পেটের মধ্যে সেধুচ্ছে। আর পোড়া যমও তাই বাগ পেয়েছে, দুনিয়ার রোগ আমাদের দেশে ঢুকেছে। গীতার উপদেশ শুনলে কে? না—ইউরোপী। আর যীশুখুষ্টের ইচ্ছার ন্যায় কাজ করছে কে ? না—কৃষ্ণের বংশধরেরা !! একথাটা বুঝতে হবে। মোক্ষমার্গ ত প্রথম বেদই উপদেশ করেছেন। তারপর বুদ্ধই বল, আর যীশুই বল, সব ঐখান থেকেই ত যা কিছু গ্রহণ। আচ্ছা, তারা ছিলেন সন্ন্যাসী,—অদ্বেষ্টা সৰ্ব্বভূতানাং মৈত্র; করুণ এব চ–বেশ কথা, উত্তম কথা। তবে, জোর করে দুনিয়াশুদ্ধকে ঐ মোক্ষ-মার্গে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কেন ? ঘসে-মেজে রূপ, আর ধরে-বেঁধে পিরীত কি হয় ? যে মানুষটা মোক্ষ চায় ন, পাবার উপযুক্ত নয়, তার জন্য বুদ্ধ বা যীশু কি উপদেশ করেছেন বল, “হয় মক্ষ, নয় তুমি উৎসন্ন যাও, এ দুই কথা ! মোক্ষ ছাড়া যা কিছু চেষ্টা করবে, সে আটঘাট তোমার বন্ধ । তুমি যে এ ছনিয়াটা একটু ভোগ করবে তার কোনও রাস্তা নাই, বরং প্রতিপদে বাধা । কেবল বৈদিক ধৰ্ম্মে এই চতুৰ্ব্বৰ্গ সাধনের উপায় আছে ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ। বুদ্ধ করলেন আমাদের সর্বনাশ ;

  • শঙ্কর-কৃত ‘মোহমুদগর’ । ৫ - ്

(t . . . ;