পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

২০

 ফুলমণি আরো বলিল, ছয় মাস গত হইলে ঈশ্বরের প্রসাদ হেতুক সুন্দরীর পিতা কিঞ্চিৎ সুস্থ হইয়া পুনর্ব্বার কর্ম্মেতে গেলেন, কিন্তু তখন কবিরাজ মহাশয়কে বিদায় করিতে হইল। তিনি বলিলেন, ছয় মাস পর্য্যন্ত আসা যাওয়া করিয়াছি, সেই হেতুক চব্বিশ টাকার কম লইব না। ইহা শুনিয়া আমাদিগের বড় ভাবনা হইল, কারণ তাঁহাকে পাঁচটি টাকা দি, তৎকালে আমাদের এমত সঙ্গতি ছিল না। কিন্তু ঈশ্বর যখন আপন সেবকদিগকে নিরুপায় দেখেন, তখন তিনি সর্ব্বদা তাহাদিগকে রক্ষা করেন, এ কথা যে সত্য তাহা আমরা পরে ভালরূপে বুঝিতে পারিলাম।

 আমাদিগের পাদরি সাহেবের ভগিনী সেই সময়ে আপন ভাইয়ের ঘরে কিছু দিনের নিমিত্তে আসিয়াছিলেন। তিনি অতিশয় ধার্ম্মিকা; তাঁহার সাহেব কলিকাতায় ডাক্তরের কর্ম্ম করেন। ঐ বিবি আমার কন্যাকে স্কুলে দেখিয়া তাহাকে বড় ভাল বাসিতেন, তাহাতে তিনি আমাদের দুঃখের কথা শুনিয়া আমাকে ডাকাইয়া এই কথা কহিলেন; ফুলমণি, তুমি সুন্দরীকে আমার সহিত কলিকাতায় যাইতে দেও। আমি তাহাকে