পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধদেব । তিনি ঘুমাইয়া পড়িলেন, কাজেই কুমারীরাও গান করিতে করিতে নিদ্রার ভাব আসায়ু সকলে ঘুমাইয়া পড়িল। যুবরাজের ঘুম ভাঙ্গিলে তিনি দেখিলেন, এইসমস্ত কুমারীদের কেহ অৰ্দ্ধ-উলঙ্গ হইয়া নিদ্রা যাইতেছে, কেহ মুখ খুলিয়া নিদ্রা যাইতেছে, কেহ দাতে দাত ঘর্ষণ করিতেছে, কেহ বা ঘুমের ঘোরে। প্ৰলাপ বকিতেছে। এই সকল দেখিয়া তাহার প্রতীয়মান হইতে লাগিল, যে প্রাসাদ ইন্দ্রের পুরীর ন্যায় ছিল, "ভাহা যেন শ্মশানক্ষেত্রে পরিণত হইয়াছে, আর সেই শ্মশানে ষেন সারি সারি মৃতদেহ পড়িয়া রহিয়াছে। তিনি এই বীভৎস দৃশ্য দেখিয়া চীৎকার করিয়া বলিলেন, “এইসমস্ত দৃশ্য দেখিয়া আমার ইচ্ছা! হইতেছে যে, এই মুহূৰ্ত্তেই এই নরকপুরী ত্যাগ করিয়া চলিয়া যাই। তবে হাঁ, যাইবার পূৰ্বে আমার সদ্যোজাত শিশুপুত্রটিকে একবার দেখিয়া যাইব ।’ এই কথা ভাবিয়া তিনি যশোধরার কক্ষে গেলেন, দেখিলেন -যশোধরা, খট্রায় শিশুর মাথায় হাত রাখিয়া নিদ্রা যাইতেছেন। পুষ্পশয্যায় তিনি শুইয়া রহিয়াছেন, এখন যদি যশোধরার হাতখানি শিশুর মাথা হইতে নামাই, তাহা হইলে তিনি নিশ্চয়ই জাগিয়া পড়িবেন এবং আমার আর যাওয়া হইবে না । অতএব আমি আজ চলিয়া যাই, বুদ্ধ হইয়া আসিয়া। তবে আমি পুত্ৰমুখ নিরীক্ষণ করিব। ইহা ভাবিয়া তিনি প্ৰাসাদ হইতে অবতরণ করিয়া যেখানে তাহার অশ্ব দাড়াইয়াছিল, সেখানে আসিয়া অশ্বকে বলিলেন, “কণ্ঠক! আমাকে লইয়া চল।” কণ্ঠক প্রভুর আদেশ পালন করিল। কপিলাবস্তু হইতে রাজকুমার আনোমানদীর তীরে উপস্থিত হইলেন, সেই নদী পার হইয়া তিনি তাহার রত্ন-খচিত পোষাক ও অশ্ব কণ্ঠককে চন্নার হাতে প্ৰদান করিলেন এবং তােহা বাড়ীতে লইয়া যাইবার আদেশ করিলেন। অতঃপর তিনি আপন আসি লইয়া মোহন কুন্তলন্দাম কাটিয়া ফেলিলেন। সেই স্থানে তখন এক ব্যাধ উপস্থিত