পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AGV বংশ-পরিচয় । উত্তর তীরে অবস্থিত এবং বৈদ্যুতিক আলোক-সুশোভিত। নদীপথ হইতে এই প্ৰাসাদের শোভা জ্যোৎ মাময়ী রজনীতে অতি মনোরম। রঘুনাথ দাস যদিও তেমন প্ৰতিভাশালী পণ্ডিত ছিলেন না, তবুও তিনি সূক্ষ্মবুদ্ধিসম্পন্ন ছিলেন এবং তঁহার অন্তঃকরণ অতি উদার ও মহৎ ছিল। দেশ-বিদেশের যাবতীয় সংবাদ তিনি রাখিতেন। বহু দরিদ্র ছাত্র তাহার ও তাহার। ভ্ৰাতা রূপলাল দাসের আর্থিক সাহায্যে অধ্যয়ন করিত। প্ৰসাদদাস ও দ্বারকানাথ চক্রবর্তী তাহদের বাটীতে থাকিয়াই লেখাপড়া শিখেন। অন্নদাপ্ৰসাদ কবি ছিলেন এবং দ্বারকানাথ মুন্সিগঞ্জে রূপলাল রঘুনাথ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। দীর্ঘ বার বৎসর কাল এই স্কুলটি চলিবার পর গৃহ-বিবাদের জন্য তাহা উঠিয়া যায়। ঢাকা বিভাগের তদানীন্তন কমিশনার মিঃ লাটুমন জনসন স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া এই গৃহবিবাদ মিটাইয়া দেন। তাহার এই কাৰ্য্যের জন্য র্তাহারা “জনসন হল” নামে একটি সুন্দর হল নদীর ধারে নিৰ্ম্মাণ করেন। এই হলে সহরের ভদ্রলোকগণ সমবেত হইয়া সন্ধ্যাকালে বিলিয়ার্ড খেলেন । রঘুনাথ ঢাকা মেডিকেল স্কুলে ১০ হাজার টাকা চান্দা দান করিয়াছিলেন। রঘুনাথ দাস ব্যারিষ্টার ৬/ লালমোহন ঘোষকে পালমেণ্টের সভ্য হইবার জন্য টাকা দান করিয়াছিলেন। রঘুনাথ বাবুইডেন বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদিগকে বাড়ী হইতে স্কুলে আনা ও বাড়ীতে পৌছাইয়া দিবার জন্য একখানি গাড়ী দান করিয়াছিলেন। বাগ-বাগিচা করিবার জন্য র্তাহার খুবই আগ্রহ ছিল এবং তঁহার এই সম্পৰ্কীয় অনেক পুস্তক আছে। ফরিদাবাদে তাহার একটি বড় বাগান আছে। সেই বাগিচার সম্মুখে একটি পুষ্করিণী এবং দুই ধারে দুইটি পুষ্করিণী আছে। সেই বাগিচা নানাবিধ পুষ্পবৃক্ষে সমাকীর্ণ। সন্ন্যাসী ও ব্রাহ্মণের প্রতি র্তাহার অসাধারণ শ্রদ্ধা-ভক্তি ছিল। তিনি তীৰ্থ-ভ্ৰমণ-সম্পর্কে ভারতের অনেক প্ৰধান প্ৰধান স্থান পরিদর্শন করিয়া