পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৌগ্রাম-রাজবংশ নবাবী আমলে উত্তর বঙ্গে যে সকল পরাক্রান্ত জমিদারবংশ স্থানে স্থানে স্বাধীন বা অৰ্দ্ধ স্বাধীন নরপতির ন্যায় রাজ্য প্ৰতিষ্ঠা ও পরিচালনা করিয়া সমাজে গৌরব লাভ করিয়াছিলেন তাহদের মধ্যে একটাকিয়৷ রাজবংশ সুপ্ৰসিদ্ধ। কাশ্যপগোত্রীয় সুষেণের বংশধর সুবিখ্যাত পণ্ডিত উদয়নাচাৰ্য্য ভাদুড়ীর অধস্তন ষষ্ঠ পুরুষ শ্ৰীকৃষ্ণ ভাদুড়ীর জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম পুত্ৰ সুবুদ্ধি খ্যা ও কেশব খিা গৌড় বাদাসাহের দরবারে প্রতিপত্তি লাভ করিয়া যে বিস্তৃত রাজ্য স্থাপন করেন, তাহার বার্ষিক নামমাত্র কর এক টাকা নিদিষ্ট হইয়াছিল বলিয়া ঐ জমিদারবংশ একটাকিয়া রাজবংশ বলিয়া পরিচিত। শ্ৰীকৃষ্ণ ভাদুড়ী তাহিরপুরের অমর কীৰ্ত্তি রাজা কংসনারায়ণের ভগিনীকে বিবাহ করিয়াছিলেন এবং তঁহার কনিষ্ঠ পুত্ৰ জগদানন্দ রায় রাজা কংসনারায়ণের মন্ত্রী হইয়াছিলেন। জগদানন্দের প্রপৌত্র শ্যাম রায়ের দুই পুত্র-পাচু রায় ও ভুবন রায়। পাচু রায়ের বংশধরগণ চৌগ্রামের রাজবংশ ও ভুবন রায়ের বংশধরগণ বৰ্ত্তমান তাহিরপুরের রাজবংশ বলিয়া প্ৰসিদ্ধ। পাচু রায়ের পুত্র রসিক রায়। রসিক রায়ের দুই পুত্ৰ-জ্যেষ্ঠ কৃষ্ণকান্ত পৈত্রিক জমিদারীর উত্তরাধিকারী হয়েন ; কনিষ্ঠ পুত্ৰ নাটোরের মহারাজা রামজীবনের পোষ্যপুত্ৰ মহারাজ রামকান্তরূপে পরিচিত । এই কুলীন রায়বংশের প্রাচীন নিবাস ছিল তাহিরপুরের পূর্ব রাজধানী রামরামার অদূরবর্তী সরাখতিয়া গ্রামে। এখনও ঐ গ্রামে রাজবাটীর কিছু চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। শ্যাম রায়ের জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ পাচু রায় সরাখতিয়া পরিত্যাগ করিয়া বৰ্ত্তমান চৌগ্রামে বাসস্থান নির্দেশ