পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন । RR Gd পৌঁছিয়া মাসীমাতার আনন্দ বিধান করিতেন। অল্পকাল মধ্যে জগন্নাথ সাহিত্য ও অলঙ্কারের পাঠ শেষ করিলেন। জগন্নাথের এরূপ অসাধারণ স্মরণশক্তি ছিল যে, তিনি একবার যাহা শুনিতেন, তাহা কখনও डूलिऊन न । একদিন জগন্নাথ ত্ৰিবেণী হইতে বংশবাটী যাইতেছেন, এমন সময়ে দেখিতে পান যে, রাস্তার ধারে পঞ্চানন দেবের সম্মুখে বহু ছাগবলি হইতেছে। তাহ দেখিয়া জগন্নাথ পুরোহিতদের নিকট একটি ছাগমুণ্ড প্রার্থনা করেন। তাহারা জগন্নাথকে তিরস্কার করিয়া তাড়াইয়া দেয়। জগন্নাথ কোনও কথা না বলিয়া বংশবাটী চলিয়া যান। ফিরিবার সময় সন্ধ্যাকালে যখন পুরোহিতেরা যে যাহার বাটীতে গিয়াছিল, তখন জগন্নাথ একটি ঝুড়িতে করিয়া পঞ্চানন দেবের চন্দ্ৰমালা, মাটীর ঘট ও সমস্ত বিগ্ৰহাদি লইয়া নিজের বাটীর সন্নিহিত পুকুরে সে সমস্ত নিক্ষেপ করেন। পরদিন প্ৰাতে দেবলেরা মন্দিরে আসিয়া পঞ্চানন-ঠাকুর দেখিতে না পাইয়া তাহদের অন্নসংস্থানের পথ বন্ধ হইল বলিয়া ‘হায়”, “হায়” করিতে লাগিল । তখন জগন্নাথের কথা দেবলগণের মনে পড়িল, তাহার ভবদেবের নিকট গিয়া দেববিগ্ৰহ চুরির কথা নিবেদন করিল। ভবদেব জগন্নাথকে জিজ্ঞাসা করিলেন। জগন্নাথ বলিলেন, “যদি উহারা মাসে মাসে আমাকে একটি করিয়া ছাগ দেয়, তবে ঠাকুর ফিরিয়া দিতে পারি।” পাণ্ডারা সে প্ৰস্তাবে রাজী হইল, তখন জগন্নাথও ঠাকুর দেখাইয়া দিলেন। পাণ্ডারা শঙ্খ-ঘণ্টা বাজাইয়া মহা ধুমধামে ঠাকুর লইয়া গেল। তদবধি পঞ্চানন-মন্দির হইতে প্ৰতি মাসে একটি করিয়া বলি-দেওয়া পাঠা জগন্নাথের বাটীতে উপস্থিত হইত। জগন্নাথের পঞ্চদশবর্ষ বয়ঃক্রমকালে দ্রৌপদী নামী একটি সর্বসুলক্ষণা কন্যার সহিত র্তাহার বিবাহ হয়। কিছুদিন পরে ভবদেব ন্যায়ালঙ্কার পরলোক গমন করিলে কামপুর-নিবাসী রঘুদেব বিদ্যাবাচস্পতির চতু