পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন। RV) নামের একটা অর্থ আছে, কিন্তু “কানাই' কথার কোন অর্থ নাই।” জগন্নাথ তাহা শুনিয়া আমনি বলিলেন, “কেন থাকিবে না ? কানাই কথাটি হিন্দী “কঁহা নাই” শব্দের অপভ্ৰংশ অর্থাৎ ভগবান কোথায় নাই ?-ইহাই কানাই শব্দে প্ৰতীতি জন্মাইতেছে।” জগন্নাথের কৃপণ অপবাদ ছিল, কিন্তু তিনি বাস্তবিক ব্যয়কুণ্ঠ ছিলেন না। তিনি মহা সমারোহে দোল, দুর্গোৎসব প্ৰভৃতি করিতেন, তাহার বাটীতে সদাব্রত ছিল, তাহার বাটী হইতে অতিথি কখনও বিমুখ হইয়া ফিরিয়া যাইত না। তিনি সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ঢাকাই মলমল ব্যবহার করিতেন এবং গজদন্ত-নিৰ্ম্মিত পৰ্য্যাঙ্কে উত্তম দুগ্ধফেননিভা শয্যায় শয়ন করিতেন। তিনি একাহারী হইলেও একবেলা যাহা খাইতেন তাহ নিতান্ত সামান্য নহে। তাহার দশটি পৌত্রবধুর সকলকে মধ্যে মধ্যে রন্ধন করিতে হইত। তাহার পরিবারে তিন শত লোক আহার করিত। তিনি প্ৰতিদিন পঞ্চাশটি সুস্বাদু ব্যঞ্জন-সহযোগে আহার করিতেন । তিনি প্ৰতিদিন আহারান্তে যেদিন যে নাতি-বেী রন্ধন করিতেন রন্ধন ভাল হইলে তঁহাকে প্ৰশংসা করিতেন ও পুরস্কার দিতেন, আর রন্ধন ভাল না হইলে এমন ভাবে বিদ্রুপ করিতেন যে, নাতি-বেী লজ্জায় আর মুখ দেখাইতে পারিতেন না। র্তাহার নাতি-বেীগণ রন্ধন যাহাতে ভাল হয় তজ্জন্য যেদিন রন্ধনের পালা পড়িত, সেদিন পুরোহিতের দ্বারা শান্তি-স্বস্ত্যয়ন করাইতেন ও রন্ধন ভাল হইলে পরে সুবচনীর পূজা করিতেন। সেই সময়ে শ্যাম মল্লিক নামে এক ডাকাত ছিল, সে একদা দলবলসহ জগন্নাথের বাটীতে ডাকাতি করিতে যায়। জগন্নাথ তর্কপঞ্চাননকে ডাকাতেরা পাতি পাতি করিয়া খুজিলেও কোন প্রকারে তাহার সন্ধান পায় না। র্তাহার এতদূর বুদ্ধি-চাতুৰ্য্য ছিল যে, তিনি ডাকাতগণের সম্মুখে অক্ষতশরীরে বাটী হইতে নিষ্ক্রান্ত হইয়া ছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে ডাকাতেরা কোন পুর