পাতা:বক্সা ক্যাম্প.djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 সাহেব হেসে বল্লেন, “You are a dangerous man, দাশগুপ্ত।”

 বল্লাম, “না সাহেব, মোটেই ভয়ানক নই। আমাদের মেয়েরা বলে থাকেন, সরল অঙ্গুলীতে ঘি উঠে না। কেউ কেউ বলে থাকেন, যেমন কুকুর তেমন মুগুর। অর্থটা নিও, আবার গালাগালি ভেবে বস না যেন।”

 সাহেব এবার হো হো করে হেসে উঠলেন।

 বল্লাম, “আমি এখন যাচ্ছি। বাক্সটার কি করবে?”

 সাহেব বল্লেন, “জগদীশবাবু, তাহলে ওটা ভিতরেই পাঠিয়ে দেবেন।”

 বল্লাম, “চলুন জগদীশবাবু।”

 —“আপনি যান, আমি পরে পাঠিয়ে দিচ্ছি।”

 —“না, এখনই। আমি ওটা সঙ্গে নিয়ে যেতে চাই।”

 উপস্থিত সকলের দিকে চক্ষু পাতিয়া প্রভু জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেমন, বাক্সটা এসেছে কিনা? কি বলেন আপনারা? এখন আমি সেক্রেটারীর চাকুরী পরিত্যাগ করলাম।”

 অমর চ্যাটার্জি হাতজোড় করিয়া বন্দনার সুরে কহিল, “প্রভু হে, তুমি একটি আস্ত ঘুঘু।”

 প্রভু ব্রাহ্মীস্থিতি হইতে সস্নেহে উবাচ, “অমৃতম্ বালভাষিতম্। আর একটা সিগারেট ছাড় দেখি।”


 কথায় বলে যে, কস্তুরী মৃগ গন্ধ লুকাইয়া রাখিতে পারে না। ফুলও পারে না। গুণের দোষই এই যে, কখন চাপা থাকে না, বাহির হইয়া পড়েই। গুণের স্বভাব বুঝিতে গিয়া দার্শনিকেরা পর্যন্ত হিম্‌সিম্ খাইয়া গিয়াছেন। বস্তুকে গ্রেপ্তার করিতে গিয়া কোনদিক দিয়াই দার্শনিকেরা তাকে কায়দা করিয়া উঠিতে পারেন নাই, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই গুণটাকে সামনে ধরিয়া দিয়া বস্তু নিজে সরিয়া পড়ে। ফলে মুশকিল বা মস্ত ফ্যাসাদ সমুপস্থিত হয়। বস্তুকেই যদি না পাওয়া যায়,

১০৬