বঙিকম রচনাবলী পশ্চিম পরিচ্ছেদ ঃ সমিধসংগ্ৰহ-স্বয়ং যম নিৰ্ম্মল বঝিল না যে, কেন পলাইতে হইবে। এদিক ওদিক নিরীক্ষণ করিল-পলাইবার কারণ কিছই দেখিতে পাইল না। কেবল দেখিল, ফটকের নিকট, পরিণতবয়স্ক, শািন্দ্রবেশ একজন লোক দাঁড়াইয়া আছে। মনে করিল, এটা কি ভূত প্ৰেত যে, তাই ভয় পাইয়া খোজা পলাইল ? নিৰ্ম্মমল নিজে ভূতের ভয়ে তেমন কাতর নহে। এ জন্য সে না পলাইয়া ইতস্ততঃ করিতেছিল,—ইতিমধ্যে সেই শত্ৰবেশ পরিষ আসিয়া, নিম্পমালের নিকট দাঁড়াইল। নিম্পমালকে দেখিয়া সে জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি কে ?” নিৰ্ম্মমল বলিল, “আমি যে হই না কেন ?” শভ্ৰবেশী পরিষ জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি কোথা যাইতেছিলে ?” নিম্পমাল। বাহিরে। পরিষ। কেন ? নি। আমার দরকার আছে। প। দরকার ভিন্ন কেহ কিছ করে না, তাহা আমার জানা আছে। কি দরকার ? न् ि। रूाशि क्लि ना । প। তোমার সঙ্গে কে আসিতেছিল ? নি। আমি বলিব না। প। তুমি হিন্দীর মেয়ে দেখিতেছি। কি জাতি ? নি। রাজপতি। প। তুমি কি যোধপরী বেগমের কাছে থাক ? নিৰ্ম্মমল দঢ় প্রতিজ্ঞা করিল, যোধপরী বেগমের নাম কাহারও সাক্ষাতে করিবে না—কি জানি, যদি তাঁহার কোনরপে অনিন্ট ঘটে। অতএব বলিল, “আমি এখানে থাকি না। আজ আসিয়াছি।” সে পরিষ জিজ্ঞাসা করিল, “কোথা হইতে আসিয়াছ ?” নিম্পমাল মনে ভাবিল, মিথ্যা কথা কেন বলিব ? এ ব্যক্তি আমার কি করিবে ? কার ভয়ে রাজপতের মেয়ে মিথ্যা বলিবে ? অতএব উত্তর করিল, “আমি উদয়পাের হইতে আসিয়াছি।” তখন সে পরিষ জিজ্ঞাসা করিল, “কেন আসিয়াছ ?” নিৰ্ম্মমল ভাবিল, ইহাকে বা এত পরিচয় কেন দিব ? বলিল, “আপনাকে অত পরিচয় দিয়া কি হইবে ? এত জিজ্ঞাসাবাদ না করিয়া আপনি যদি আমাকে ফটক পার করিয়া দেন, তাহা হইলে বিশেষ উপকৃত হইব।” ” পরিষ উত্তর করিল, “তোমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া উত্তরে যদি সন্তুষ্ট হই, তবে তোমাকে ফাটক পার করিয়া দিতে পারি।” নিম্পমালা। আপনি কে, তাহা না জানিলে আমি সকল কথা আপনাকে বলিব না। পরিষ উত্তর করিল, “আমি আলমগীর বাদশাহ।” তখন সেই তসবির, যাহা চণ্ডলকুমারী পদাঘাতে ভাঙিগয়াছিল, নিৰ্ম্মলকুমারীর মনে উদয় হইল। নিম্পমাল একট, জিব কাটিয়া, মনে মনে বলিল, “হাঁ, সেই ত বটে!” তখন নিৰ্ম্মলকুমারী ভূমি সপশ করিয়া বাদশাহকে রীতিমত সেলাম করিল। যন্ত করে 며, বাদশাহ। কি বলিলে ? উদয়পাের হইতে উদিপরীর কাছে ? কেন ? নি। পত্র ছিল। বাদ । কাহার পত্রে ? নি। মহারাণার রাজমহিষীর। বাদ। কৈ সে পত্রে ? We C R