পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙিকম রচনাবলী

  • {[[&<! | ữÎ> <!\? spirited woman SH(&, (ồlà[INỹ Courageq &lÎà| 3[lời S[[(g ! টমি আমার গোড়ে চল। টোমাড় স্বামী যন্ডে মড়িয়া যাইব । টিখন টোমাড় কি হইব ?

শান্তি। তবে তোমায় আমায় একটা কথা থােক। যন্ধ ত দ্য দিন চারি দিনে হইবেই। যদি তুমি জেত, তবে আমি তোমার উপপত্নী হইয়া থাকিব স্বীকার করিতেছি, যদি বাঁচিয়া থাকি ? আর আমরা যদি জিতি, তবে তুমি আসিয়া, আমাদের কোটরে বাঁদর সেজে কলা খাবে ত? সাহেব। কলা খাইটে উটিম জিনিস। এখন আছে ? শান্তি। নে, তোর বন্দক নে। এমন বনো জেতের সঙ্গেও কেউ কথা কয়! শান্তি বন্দকে ফেলিযা দিয়া হাসিতে হাসিতে চলিয়া গেল। তৃতীয় পরিচ্ছেদ শান্তি সাহেবকে ত্যাগ করিয়া হরিণীর ন্যায় ক্ষিপ্রাচরণে বনমধ্যে কোথায় প্রবিভ্ৰাট হইল । সাহেব কিছর পরে শনিতে পাইলেন, স্ত্রীকন্ঠে গীত হইতেছে, - এ যৌবন-জলতরঙ্গ রোধিবে কে ? হরে মর্যাবে ! T হরে মর্যারে! আবার কোথায্য সারণ্ডেগর মধর নিক্কণে বাজিল তাই :- এ যৌবন-জলতরঙ্গ রোধিবে কে ? হরে মর্যারে । হারে মর্যারে । তাহার সঙ্গে পর্যষকণঠ মিলিয়া গীত হইল – এ যৌবন-জলতরঙগ রোধিবে কে ? হরে মর্যারে! হারে মর্যারে! তিন সত্বরে এক হইয়া গানে বনের লতাসকল কাঁপাইয়া তুলিল। শান্তি গাইতে গাইতে চলিল, “এ যৌবন-জলতরঙ্গ রোধিবে কে ? হরে মর্যারে! হারে মর্যারে! জলোতে তুফান হয়েছে, আমার নাতন তরী ভাসল সখে, মাঝিতে হাল ধরেছে, হরে মর্যারে ! হারে মর্যারে । ভেঙ্গে বালির বাধ, পরাই মনের সাধ, জোয়ার গাঙেগ জল ছাঁটেছে রাখিবে কে ? হারে মর্যাবে! হারে মর্যারে ' সারওেগও ঐ বাজিতেছিল, জোয়ার গাঙ্গে জল ছাঁটেছে রাখিবে কে ? হরে মর্যারে! হারে মর্যারে! যেখানে অতি নিবিড় বন, ভিতরে কি আছে, বাহির হইতে একেবারে অদশ্য, শান্তি তাহারই মধ্যে প্রবেশ করিল। সেইখানে সেই শাখাপল্লবরাশির মধ্যে লক্কায়িত একটি ক্ষদ্র কুটনীর আছে। ডালের বাঁধন, পাতার ছাওয়া, কাটের মেজে, তার উপর মাটি ঢালা। তাহারই ভিতরে লতােদবার মোচন করিয়া শান্তি প্রবেশ করিল। সেখানে জীবানন্দ বসিয়া সারঙগ বাজাইতেছিলেন। জীবানন্দ শান্তিকে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “এত দিনের পর জোয়ার গাঙেগ জল ছাঁটেছে কি ?” শান্তিও হাসিয়া উত্তর করিল, “নালা ডোবায় কি জোয়ার গাঙ্গে জল ছটে ?” জীবানন্দ বিষন্ন হইয়া বলিলেন, “দেখ শান্তি!! এক দিন আমার ব্রতভওগ হওয়ায় আমার প্রাণ ত উৎসগই হইয়াছে। যে পাপ, তাহার প্রায়শিচত্ত করিতেই হইবে। এত দিন এ প্রায়শিচত্ত করিতাম, কেবল তোমার অননুরোধেই করি নাই।, কিন্তু একটা ঘোরতর যন্ধের আর বিলম্ব CA V O