পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧8

  • প্র। পঞ্চাশ হাজার টাকায় এক অতিথিশালা কর. ' - -

ব্ৰজেশ্বর তাই করিল। অতিথিশালামধ্যে এক অন্নপূর্ণামূৰ্ত্তি স্থাপন করিয়া, অতিথিশালার নাম দিল, “দেবীনিবাস ।” যথাকালে পুত্রপৌত্রে সমাবৃত হইয়া প্রফুল্ল স্বর্গ রোহণ করিল। দেশের লোক সকলেই বলিল, “আমরা . মাতৃহীন হইলাম।” রঙ্গরাজ, দিবা ও নিশি দেবীগড়ে শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্রের প্রসাদভোজনে জীবন নিৰ্ব্বাহ করিয়া পরলোকে গমন করিলেন। ভবানী ঠাকুরের অদৃষ্ট্রে সেরূপ ঘটিল না । ইংরেজ রাজ্যশাসনের ভার গ্রহণ করিল । রাজ্য স্বশাসিত হইল। সুতরাং ভবানী ঠাকুরের কাজ ফুরাইল। দুষ্টের দমন রাজাই করিতে লাগিল । ভবানী ঠাকুর ডাকাইতি বন্ধ করিল। বঙ্কিমচন্দ্রের গ্রন্থাবলী তখন ভবানী, ঠাকুর মনে করিল, জামার প্রায়শ্চিত্তের প্রয়োজন।” এই ভাবিয়া, ভবানী ঠাকুর ইংরেজকে ধরা দিলেন, সকল ডাকাইতি একরার · করিলেন, দণ্ডের প্রার্থনা করিলেন। ইংরেজ হুকুম দিল, “ষা বজ্জীবন দ্বীপান্তরে বাস ।” ভবানী পাঠক, প্রফুল্লচিত্তে দ্বীপান্তরে গেল। - এখন এসো, প্রফুল্ল ! একবার লোকালয়ে দাড়াও ! —আমরা তোমায় দেখি । একবার এই সমাজের সম্মুখে দাড়াইয়া বল দেখি, “আমি নুতন নহি, আমি পুরাতন । আমি সেই বাক্যমাত্র। কতবার আসি৷ য়াছি, তোমরা আমায় ভুলিয়া গিয়াছ । তাই আবার আসিলাম— পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষ্কতাম্। ধৰ্ম্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে ॥” : সমাপ্ত