পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉、勢8 জৰ্যাপকের স্বল্প । নরোত্তমের নিকট রাজা ও অধ্যাপকের অাস্ত্রসমর্পণ । বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । অতি উৎকণ্ঠিত হৈলা এ কথা-শ্রবণে । মনে এই রজনী পোহাবে কতক্ষণে ॥ হইল অনেক রাত্রি করিলা শয়ন। মনে মনে ভাবে এথা অধ্যাপকগণ ॥ সভা-মধ্যে শ্রেষ্ঠ অতিশয় গৰ্ব্ব যার। রজনীর শেষে কিছু নিদ্র হৈল তার ॥ দেখএ স্বপনে দেবী হাতে খড়গ লৈয়া । সম্মুখে কহএ মহা-ক্রোধযুক্ত হৈয়া । বৃথা অধ্যয়ন কৈলি ওরে দুষ্টমতি। বৈষ্ণব নিন্দিলি তোর হবে অধোগতি ॥ তোর মুণ্ড কাটি যদি করি খান খান। তবে সে মনের দুঃখ হয় সমাধান। ওরে দুষ্ট অস্থর কি দিব তোরে দীক্ষণ । নরোত্তম-অনুগ্রহ হৈলে তোর রক্ষা ॥ ঐছে কত কহি রক্ত-লোচনে চাহিয়া। অন্তৰ্দ্ধান হৈলা দেবী ক্ষণেক রহিয়া ॥ নিদ্রাভঙ্গ হৈল অধ্যাপক র্কাপে ডরে। করি মহা-ঘোর শব্দ জাগায় সবারে । ক্ৰন্দন করিয়া বিপ্ৰ কহে সব প্রতি । ভাগ্যে ভাগ্যে রক্ষা মুঞি পাইলু সম্প্রতি । নরোত্তমে হেয় বুদ্ধি কৈলু এ নিমিত্তে। মোরে সংহারিতে দেবী আইলা খড়গ-হাতে ॥ যদি অনুগ্রহ করে সেই মহাশয় । , তবে ঘোর নরক হইতে রক্ষা হয় । ঐছে কহিতেই হৈল রজনী-প্রভাত । কহিল এ সব গিয়া রাজার সাক্ষাৎ ॥ রাজা কহে পূৰ্ব্বে নিষেধিলু না মানিলা । মহাশয়ে সামান্ত মনুষ্য বুদ্ধি কৈলা ॥ যে কাৰ্য্য সে করে এ কি মনুষের সাধ্য। ঐঠাকুর মহাশয় পরম আরাধ্য। ঐছে কত কহি অধ্যাপকে স্থির কৈলা । প্রাতঃকালে মানদিক করি সজ্জ (১) হৈলা ॥ (১) সজ্জিক্ত = প্রস্তুত।