পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রাচীন সঙ্গীত—কবির গান—হরু ঠাকুর—১৭৩৮-১৮১৩ খৃঃ।
১৫৫৩

মহড়া।

জলে জ্বলে কি গো সখি।[১]
অপরূপ রূপ দেখি দেখ সই নিরখি॥
কৃষ্ণের অবয়ব সব ভাব-ভঙ্গী প্রায়
মায়া করে ছায়ারূপে সে কাল এসেছে কি॥

চিতেন।

আচম্বিতে আলো কেন যমুনার জল।
দেখ সখি কুলে থাকি কে করে কি ছল॥
তীরের ছায়া নীরে লেগে হলো বা এমন।
চকিতে দেখিতে আমার জুড়ালো দুটী আখি॥

অন্তরা।

নিতি নিতি আসি সবে জল আনিতে। (ওগো ললিতে)
না দেখি এমন রূপ বারি-মাঝেতে॥

চিতেন।

আজু সখি এ কি রূপ নিরখিলাম হয়।
নীর-মাঝে যেন স্থির সৌদামিনী-প্রায়॥
ঢেউ দিও না কেউ এ জলে বলে কিশোরী।
দরশনে দাগা দিলে হবে পাতকী॥

অন্তরা।

বিশেষ বুঝিতে নারি নারী বইত নই। (ওগো প্রাণ-সই)
নিরখি নির্ম্মল জলে অনিমিষে রই॥

চিতেন।

কত শত অনুভব হয় ভাবিয়ে।
শশী কি ডুবিল জলে রাহুর ভয়ে॥
আবার ভাবি সে যে শশী কুমুদ-বান্ধব।
হৃদয়-কমল কেন তা দেখে হবে সুখী॥

১৯৫
  1. কদম্ব-বৃক্ষে কৃষ্ণ, রাধা তাঁহার ছায়া যমুনার জলে দেখিতেছেন।