পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭২৪ বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । করিত না। এবং তিনি চট পরিধান করিতেন এবং তাহ অতি মলিন হইয়৷ যে পৰ্য্যন্ত কীট-বিদ্ধ ন হইত সে পৰ্য্যন্ত ত্যাগ করিতেন না। আর জীবন ধারণ হেতুক প্রতি দিবস রোটির সহিত কেবল আস্বাদহীন শাকাদি দ্বার ভোজন করিয়া কেবল জলপান করিয়া থাকিতেন এবং শরীরের দমনার্থে অনেক প্রকার নিগ্ৰহ চিহ্নেতে তাহার পঞ্চ দেশ ব্যাপ্ত ছিল এবং প্রতিদিন হাটু গাড়িয়া ত্রয়োদশ ভিক্ষুকের দের পাদ-প্রক্ষালন করিতেন। এ র্তাহার নিয়ম ছিল পরে ঐ ব্যক্তি এতদ্রুপ ভণ্ড তপস্বীর আচরণ পূৰ্ব্বক ধৰ্ম্ম-পক্ষপাতির দের সাহায্য করণে সচেষ্ট ছিলেন যেহেতুক ধৰ্ম্ম পক্ষপাতির দের বহুকালাবধি কুব্যবহার বাহুল্য প্রযুক্ত হেনরি রাজা সে সকল সহিষ্ণুতা না করিতে পারিয়া তাহার দিগের পরাক্রমাদি সংক্ষিপ্ত করিতে ইচ্ছুক ছিলেন। অল্প দিবসের পর হেনরি ঐ রাজার অভিলষিত কৰ্ম্ম সমাধা করণার্থে হঠাৎ একটা সুযোগ করিলেন তাহ এই । ঐ সকল আচাৰ্য্য-সম্প্রদায়-মধ্যে এক ব্যক্তি বসেস্তর পরগণাবাসী এক ভদ্রলোকের কস্তার সহিত ভ্ৰষ্ট হইয়া স্বকৰ্ম্ম-সাধন-হেতুক কস্তার পিতাকে নষ্ট করিয়াছিল। এই মহা দুষ্কৰ্ম্ম নিমিত্তক তাবল্লোক একত্র হইয় তাহার প্রতিফল দিয়া দণ্ড করণার্থে উদ্যোগী হইল। এবং রাজা আজ্ঞা-দিলেন যে এ প্রকার অপরাধীর বিচার রাজ-সন্নিধানেতেই নিষ্পন্ন হইবে। কিন্তু বেকেটু নামে মহা ধৰ্ম্মাধ্যক্ষ এ কাৰ্য্যের বাধা জন্মাইয়া কহিলেন যে এই বিষয় ধৰ্ম্মপক্ষপাতির দের ংক্রাস্ত অতএব পূৰ্ব্বাপর ধারানুক্রমে ধৰ্ম্মাচার্য্যের দ্বারাতেই নিম্পন্ন হইবেক । - পরে ঐ উপস্থিত বিষয়ের নিষ্পত্তি হেতুক রাজা সমস্ত পাত্রমিত্রগণ ও প্রধান ২ সভাসৎ এবং আচাৰ্য্যবর্গের দিগকে ক্লারেও নগরে এক মহাসভা করণার্থে আহবান করিয়া এই বৃহদ ভারি কার্য্য তাহার দিগের হস্তে সমর্পণ করিয়া তাহার বিধান চাহিলেন। বুঝা যায় যে ঐ সময়ে ঐ সকল যে সভা একত্র হইয়াছিল তাহ ভাবি পুরুষের হিতোপদেশের ব্যবস্থা করণার্থে নয়। কিন্তু অধিক আপনার প্রভুত্বের নিমিত্তে এবং সেই স্থানেতে অনেক ব্যবস্থা রচনা করা গিয়াছিল। যাহা পশ্চাৎ ক্লারগুীয় ব্যবস্থা নামে খ্যাত ছিল এবং সেই সময়ে সৰ্ব্ব-সন্মতি পূৰ্ব্বক স্থিরীকৃত হইয়াছিল যে ২ সকল ব্যবস্থা সে সকল ব্যবস্থা দ্বারা এই নিয়ম স্থিরীকৃত হইল যে আচাৰ্য্য বর্গের দিগের অপরাধের বিচার রাজ-সন্নিধানেতেই নিম্পত্তি হইবেক এবং অপর ২ প্রজারদের বিচার প্রধান ২ সাক্ষীর দ্বারা সাব্যস্ত না হইলে মহাধ্যক্ষের সভায় নিম্পত্তি হইবে না। এই সকল ব্যবস্থা এবং অন্ত ২ ক্ষুদ্র ২ ব্যবস্থা প্রভৃতি ষোড়শ ব্যবস্থা পৰ্য্যন্ত তখন যে ২