পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

❖ ዔ 8 বঙ্গ-গৌরব ৯ আত্মীয়সভা ; রামমোহন মানিকতলার বাগানবাটিতে ব্ৰহ্মা উপাসনার জন্য আত্মীয়সভা স্থাপন করেন। ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে। এই সভাটিই পরে ১৮২৮-এ ব্রাহ্মসমাজ এ রূপান্তরিত হয়। ড. দিলীপকুমার বিশ্বাসের ভাষায় “এই আত্মীয়সভার মাধ্যমে বিকশিত ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংস্কারের ঐতিহ্য অবশেষে সম্পূর্ণ রূপায়িত হয় ১৮২৮ সালে স্থাপিত ব্ৰাহ্মসমাজ” নামক প্রতিষ্ঠানে।” (রামমোহন সমীক্ষা-পৃ.২৮৪) ১০. ব্ৰহ্মসঙ্গীত ৪ রামমোহন সংকলিত ‘ব্রহ্মসঙ্গীত’-এর প্রকাশকাল ১৮২৮। এতে রামমোহন ও তঁর কয়েকজন বন্ধু রচিত গান সংগৃহীত হয়েছে। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ প্রকাশিত রামমোহন গ্রন্থাবলিতে ৩২টি গান রামমোহনের রচনা বলে গৃহীত। ১১. রামচন্দ্ৰ বিদ্যাবাগীশ : ইনি ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি গঙ্গাতীরে মালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম লক্ষ্মীনারায়ণ। ইনি পিতার কনিষ্ঠ পুত্র। ইনি ব্যাকরণ প্রভৃতি অধ্যয়নের পর কাশী প্রভৃতি বিভিন্ন পশ্চিমাঞ্চল পরিক্রম করেন। রামচন্দ্রের শব্দ অলংকার শাস্ত্ৰে বুৎপত্তি ও ধর্মশাস্ত্ৰে অগাধ পণ্ডিত্য দেখে রামমোহন তঁর কাছে এনে রাখেন। এসময় তিনি (রামচন্দ্র) শিবপ্রসাদ মিত্রের কাছে উপনিষদ, বেদান্তদর্শন প্রভৃতি অধ্যয়ন করেন ও গভীর বুৎপত্তি লাভ করেন। রামমোহন ‘আত্মীয় সভা’ স্থাপন করলে তিনি সেখানে ব্ৰহ্মজ্ঞান ব্যাখ্যা করেন। পরে তিনি হেদুয়ার পুষ্করিণীর দক্ষিণে একটি চতুষ্পাঠী স্থাপন করে বেদান্তসার অধ্যাপনা করতে থাকেন। তিনি ‘জ্যোতিষ সংগ্ৰহসার’ (১৮১৭) রচনা করেন এবং বাংলা ভাষায় প্রথম অভিধান (১৮১৮) সংকলন করেন। ১২. রামমোহন রচিত বইয়ের সংখ্যা ঃ ব্ৰজেন্দ্ৰনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত “সাহিত্যসাধক চরিতমালার” ১ম খণ্ডে রামমোহনের গ্রন্থাবলির যে তালিকা দেওয়া হয়েছে তা নিম্নরূপ-- ১. আরবি ফারসি--- Þss २. दाश्व्ला ७ नरशूउ- లింf ७. श्रुष्ट शृंख्रिक- ২টি ৪. ইংরেজি রচনা (কলিকতা থেকে প্রকাশিত)- ৩৮টি বিলাত থেকে প্রকাশিত- ატfწ b8ि ১৩. ব্ৰাহ্মণ সেবধি : রামমোহন ‘শিবপ্রসাদ শৰ্মা’ ছদ্মনামে ১৮২১ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে ‘ব্রাহ্মাণ সেবধি” প্রকাশ করেন। জানা যায় পত্রিকাটির মাত্র তিনটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল। ১৪. সমাচার চন্দ্ৰিক ; ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় ১৮২২ খ্রিস্টাব্দের ৫ মার্চ (২৩ ফাল্লুন, ১২২৮) এটি প্রকাশিত হয়েছিল। ১৫. ব্যাপটিস্ট মিশনের পাদরি অ্যাডাম ৪ ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতে আসার পর ব্যাপটিস্ট মিশনের পাদরি উইলিয়াম অ্যাডাম রামমোহন রায়কে বেদ অনুবাদের কাজে