পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য Sዒ¢ সহায়তা করেন। রামমোহন যখন ইউনিটেরিয়ান কমিটি স্থাপন করেন তখন তিনি এর সম্পাদক হন। রামমোহনের প্রভাবে তিনি তঁর ট্রিনিটি বা ত্ৰিভুবাদ ত্যাগ করে একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী হন। পরে অবশ্য রামমোহনের সঙ্গে তার মনান্তর ঘটে। রামমোহন সম্পর্কে VŠR (Siri išsG GRIG—“A Lecture on the life and labours of Rammohon Roy delivered at Boston, U.S.A. 1845; Second ed. Calcutta 1879. ১৮২৯-৩৫ তিনি ‘India Gazette” সম্পাদনা করেন। ভারত ছেড়ে আমেরিকা, পরে ব্রিটেনে ফিরে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া সোসাইটির ” মুখপত্র ‘British India Advocate' - এর সম্পাদক হন। A ১৬. সতীদাহ ঃ এর অন্য নাম সহমরণ। একান্তভাবে স্বামী অনুগত স্ত্রীকে সতী বলা হলেও এক সময়ে কিন্তু মৃত স্বামীর সঙ্গে এক চিতায় যে স্ত্রী মৃত্যু বরণ করতেনতাকেই সতী বলা হােত। পূর্বে স্ক্যান্ডিনেভিয়া, গ্রিস, মিশর, চিন, মিশর প্রভৃতি দেশে কোনো কোনো সময় এই প্ৰথা প্রচলিত ছিল। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে সহমরণ প্রথার উল্লেখও আছে। সম্রাট আকবর এক সময় এই প্রথা রদ করার বিশেষ চেষ্টা করেছিলেন। আমাদের দেশে এক সময় এই প্রথার যথেষ্ট প্রভাব ছিল। সমাচার দর্পণ পত্রিকার ১৮২২ খ্রিস্টাব্দের ২২ মার্চ সংখ্যায় যে পরিসংখ্যানটি তুলে ধরা হয়েছিল, সেটি এরূপ >br>Q እby Sዩኃ SኳrS ዒ কলকাতার অন্তঃপাতী Sv &brs 88S pादफा \უა'ა 良8 G Sq, মুরাশেদাবাদ S. RS 8总 পাটনা ܓ̈G S& w বেনারস 87 se { S o\ළු বরেলী SA లి SS রামমোহনের একান্ত চেষ্টায়, ইংরেজ সরকারের আন্তরিক সমর্থনে বড়লাট লর্ড বেন্টিঙ্কের উদ্যোগে ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে একটি আইন পাশ করে ৪ ডিসেম্বর এই নিদারুণ প্রথা নিবারিত হয়। ১৭. উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক : ১৮২৮-৩৫ খ্রিস্টােব্দ পর্যন্ত ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন। কয়েকটি সংস্কারমূলক কাজের জন্য ভারতে স্মরণীয় হয়ে রইলেন। সতীদাহ নিবারণে আইন প্রণয়ন (১৮২৯), ভারতীয়দের বিচার বিভাগে উচ্চপদে নিয়োগ, ঠগী স্থাপন করে আপনি কীর্তি রেখে গেছেন। ১৮. কবি টমাস মুর (১৭৭৯-১৮৫২) : কবি জাতিতে আইরিশ। জন্ম ডাবলিনে। ট্রিনিটি কলেজ থেকে স্নাতক হবার পর ইনার টেম্পলে আইন পড়তে যান। তরুনী কবির মনে ফরাসি বিপ্লবের দোলা লেগেছিল। আয়ার্ল্যান্ডে বিপ্লবের ঝড় তুলতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি। বায়রনকে পেয়েছিলেন বন্ধু হিসেবে। “আইরিস মেলেডি’