পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२४8 I) স্থলী হইতে রক্তের সহিত মিশ্রিত হইতে । যে বিলম্ব হয়, সর্পাঘাতে তাহার সময় থাকে না । রক্তের সহিত বিষ ছুটিতে থাকে, তাহার সঙ্গে সঙ্গে ঔষধ না ছুটিলে ८कांन रुल झट्रेtऊ श्रांtज्ञ न ७ अना সর্পাঘাতে ঔষধ সেবন বৃথা । তবে ষে এই মাদ্রাজি বটিকা দ্বারা র্যাড় ও ছাগ রক্ষা পাইয়াছিল তাহার প্রকৃত কারণ যে দংশনের পূৰ্ব্বে উভয়কেই ঔষধ খাওয়ান হইয়াছিল, ঔষধ রক্তের সহিত মিশ্রিত হইবার সময় পাইয়াছিল। মতুবা বৃথা হইত। “ মালবৈদোর মতে সর্পাঘাতের চিকিৎসা’ নামে যে একখানি ক্ষুদ্র পুস্তক দশ বৎসর হইল প্রকাশিত হইয়াছে তাহার এক স্থানে লিখিত আছে যে সপৌষধ যত প্রকার প্রচলিত থাকুক মালবৈদ্যের তাহার কিছুই বিশ্বাস করে না। ডাক্তার ফেরার সাহেবও সেই *otifolfotoga “All the snakemen that I have seen admit that they have little or no belief in any medicines"সৰ্পব্যবসায়ীরা ঔষধ মানে না, অব্যবসায়ীরা তাহা মানেন । র্তাহারা পরস্পর সকলেই দুই একটী ঔষধ শিক্ষা করিয়া রাখিয়াছেন। পল্লীগ্রামে র্যাহাকেই জিজ্ঞাসা করুন তিনি একটা না একটা ঔষধ বলিয়া দিবেন ; কেহ বলিবেন, “গোয়ালিয়া” লতা অতি আশ্চৰ্য্য ঔষধ ; কেহ বলিবেন নিমুখীর মূল অব্যর্থঔষধ। এইরূপে তুলাটাপারি, আস্সেওড়া, হুড় সপৰিষ চিকিৎসা। கு: సె হুড়ে প্রভৃতি বাঙ্গালার সমুদায় বৃক্ষ সমু দায় লতা সর্পাঘাতের ঔষধ বলিয়। বর্ণিত হইবে । আবার অনেকে বলিবেন তাহদের ঔষধ বিশেষ পরীক্ষিত। তাহা সত্য হইতে পারে,সর্পাঘাত মাত্রেই মারাত্মক নহে ; সকল দংশনে দন্ত বিদ্ধ হয় না,বিদ্ধ হইলেও সকল বার বিষশ্বলন হইতে পায় না, হয় ত বিষকোষে পূর্ণ মাত্রা বিষ থাকে না । এ অবস্থায় মৃত্যুর আশঙ্কা নাই, ঔষধ ব্যবহার করা না করা তুল্য। এ অবস্থায় ঔষধ ব্যবহার করিলে রোগীর উপকার যত হউক না হউক, রোজার উপকার হয়। ঔষধ বা মন্ত্রের গৌরব বৃদ্ধি হয়; লোকে মনে করে ঔষধে প্রাণরক্ষা করিরাছে । মালবৈদ্যের মতে সৰ্প চিকিৎসার যে গ্রন্থের কথা উল্লেখ করা হইয়াছে তাহাতে কেবল একটী ঔষধের কথা আছে ; সর্ষপ তৈলে তেতুল মিশ্রিত করিয়া সেবন করিতে হইবে। তৈল এবং ८ङठूल उँउग्नई विषघ्न मङा, किरु शांन বৈদ্যের কেবল বমন করাইবার নিমিত্ত এই ঔষধ ব্যবহার করে। ইহার অন্য কোন উদ্দেশ্য নাই । বিশ্ববিষ চিকিৎসা গ্রন্থে, সেবন করিবার নিমিত্ত নয় প্রকার দেশীয় ঔষধ লিখিত হইয়াছে। যথা— ১। জিয়াল গাছের ছাল বা পত্রের রস । ২ । কাটানটের রস লবণ ও চিনির সহিত ।