পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

≤ ግሪU ধিচিত্র বিশ্বমণ্ডলের রচনা, এবং যথানিয়মে পরিপালনাদিও কাৰ্য্য সুতরাং তাহাদিগেরও যে একটী কর্তা আছে ইহা স্বীকার কবিতে হইবে। একজন কর্তা না থাকিলে কে এই তেজোরাশি জুর্য্যমণ্ডলকে সৌরজগতের কেন্দ্রস্থানে স্থাপিত করিয়া শত শত গ্ৰহগণকে উহার চতুর্দিকে যথানিয়মে ঘুৱাইতেছে? কাহার আজ্ঞা শ্রবণ করিয়াইবা ঋতুগণ সময়োচিত ফল পুষ্পাদিদ্বারা যথাসময়ে প্রকতিকে অলঙ্কত করিতেছে ? এবং কাহার কথা শুনিয়াই বা নগর বন এবং বন নগর হওয়া প্রভৃতি বিচিত্র ঘটনাবলী প্রতিক্ষণে সজঘটিত হইতেছে ?} সে কর্তৃত্ব আমাদের সম্ভবে না, কারণ স্বষ্টির আরস্তক্ষণে আমরা বর্তমান ছিলাম না, তৎকালীন কার্যোর উপর কিরূপে আমাদের কর্তৃত্ব হইবে ? এবং আমরা সম্যক্‌ চেষ্টা করিয়াও কোন বৃক্ষের অঙ্কুর বা পৰ্ব্বতাদির স্বষ্টি করিতে পারি না। তাহাদের স্বষ্টির নিমিত্ত আর একটি স্বতন্ত্র কর্তা স্বীকার করিতে হইতেছে। সেই কৰ্ত্তাই ঈশ্বর ।” ন্যায় শাস্ত্রের আদিমাচাৰ্য্য মহর্ষি গেীতমও এই মুক্ত প্রকাশ করিরাছেন । ऊिनि द८लन (ঈশ্বরঃ কারণং পুরুষ কৰ্ম্মফল্য দর্শ এাত ) ৪ অ ১ অ৷ ১৯ স্থ। সমুদয় বিশ্ব কার্য্যের প্রতি ঈশ্বরই কারণ উহার উপর .ইশ্বর ভিন্ন অন্মদাদির কর্তৃত্ব সম্ভবে 预l, ৰঙ্গদর্শন । ( আশ্বিন । যে হেতু আমরা সামান্য ঘটাদিকার্যের নিৰ্ম্মাণাদি বিষয়ে সমীচীন চেষ্টা করিয়াও अप्नक इटल क्लङकार्य श्हे ना; उश्वन কিরূপে এই অনন্ত জগন্মগুলের কর্ধা কলাপকে স্বনিয়মে পরিচালিত করিতে সক্ষম হইব ? কেহ২ এই স্বত্রের এই রূপ ব্যাখ্যা করেন যে, আমরা দেখিতেছি মমুষ্যেরা যে সকল কৰ্ম্ম করিয়া থাকেন সচরাচর তদনুগত ফললাত হয় ন।, এমন কি কখন২ তাহার বিপরীত ফল ও ঘটিয়: থাকে; সুতরাং আমাদের কৰ্ম্মফললাভকে কোন অপর কারণেরই সম্পূর্ণ অধীন বলিতে হইতেছে ; সেই অপর কারণই ঈশ্বর ! গৌতম ঈশ্বরকে কারণ বলিয়াছেন বটে, কিন্তু পুরুষকারকে একবারে পরিহার করেন নাই । তিনি বলেন সত্যবটে যদি কেবল ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই সমু দয় ফললাভ হইত তাহা হইলে আমাদের চেষ্টা ব্যতীতও ফল লাভ হইতে পারিক্ত একথা সত্য, তথাপি— (তৎ কারিত্বাদ হেতুঃ) ৪জ, ১অ ২১স্থ ঈশ্বরের অনুগ্রন্থেই পুরুষকার ফলবান, হয়, অন্যথা নহে। অর্থাৎ সুবিজ্ঞ পিতা যেমন পুত্ৰগণের কার্য্যাকুসারে তাছাদিগকে অভিনন্দিত করেন সেইরূপ সেই সৰ্ব্বজ্ঞ পরমেশ্বর মনুষ্যদিগকে স্বকীয় কৰ্ম্মানুসারে ফল প্রদান করিরা থাকেন। আমরা এখন প্রকৃত বিযয় ত্যাগ কঞ্চিয় কথাপ্রসঙ্গে যতটুকু আসিয়াছি { ক্ষিত্যাদিকং সুকর্তৃকং কাৰ্য্যত্বাৎ (যং যং কাৰ্য্যং তৎ কর্তৃজন্যং ঘটবৎ।