यश्न छ*ॉन । নির্ভর করিবে ততদিন বঙ্গদর্শনের স্থায়িত্ব অসম্ভব। এজন্য আমি বঙ্গদর্শনের সম্পাদকীয় কার্য্য পরিত্যাগ করিলাম। বঙ্গদর্শনের স্থায়িত্ববিধান · করাই আমার উদ্দেশ্য । র্যাহার হস্তে বঙ্গদর্শন সমর্পণ করিলাম তাহার দ্বারা ইহা পূৰ্ব্বাপেক্ষা শ্ৰীবৃদ্ধি লাভ করিবে, ইহা আমার সম্পূর্ণ ভরসা আছে। র্তাহার সঙ্কল্প সকল আমি অবগত আছি। তিনি নিজের উপর নির্ভর যত করুন বা না করুন দেশীয় স্থলেখক মাত্রেরই উপর অধিকতর নির্ভর করিবেন। র্তাহার ইচ্ছা বঙ্গদর্শনকে, সুশিক্ষিত মণ্ডলীর সাধারণ উক্তিপত্র রূপে পরিণত করেন । তাহ হইলেই বঙ্গদর্শন স্থায়ী এবং মঙ্গলপ্রদ হইবে। “ইউরোপীয় সাময়িক পত্রে এবং এতদেশীয় সাময়িক পত্রে বিশেষ প্রভেদ এই যে এখানে যিনি সম্পাদক তিনিই প্রধান লেখক । ইউরোপীয় সম্পাদক, সম্পাদক মাত্র-কদাচিৎ লেখক। “ (बणश=्रम ११: • १५.a। " পত্র এবং প্রবন্ধের উদ্বাহে তিনি ঘটক মাত্র—স্বয়ং বরকর্তা হইয়া সচরাচর উপস্থিত হয়েন নাই । এবার বঙ্গদর্শন সেই প্রণালী অবলম্বন করিল। যাহা সকলের মনোনীত,তাহার সহিত সম্বন্ধ গৌরবের বিষয় । আমি সে গৌরবের আকাঙ্ক্ষা করি। বঙ্গদর্শনের সম্পাদকীয় কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিলাম বটে, কিন্তু ইহার সহিত আমার সম্বন্ধবিচ্ছেদ হইল না। যতদিন বঙ্গদর্শন থাকিবে, আমি ইহার মঙ্গলাকাঙ্ক্ষা করিব এবং যদি পাঠকের বিরক্ত না হয়েন,তবে ইহার স্তন্তে র্তাহাদিগের সম্মুখে মধ্যে২ উপস্থিত হইয়া বঙ্গদর্শনের গৌরবে গৌরব লাভ করিবার স্পৰ্দ্ধা করিব । এক্ষণে বঙ্গদর্শনকে অভিনব সম্পাদকের হস্তে সমপণ করিয়া, আশীৰ্ব্বাদ করিতেছি যে ইহার সুশীতল ছায়ায় এই তপ্ত ভারতবর্ষ পরিব্যাপ্ত হউক । আমি ক্ষুদ্রবুদ্ধি, ক্ষুদ্রশক্তি, সেই মহতী
