পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sルペ হয় নাই, কেশবচন্সের ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্ম সমাজে তদপেক্ষ অনেক বেশী ফুটিয় উঠে। দেবেন্দ্রনাথ শাস্ত্রগুরু বর্জন করিয়া, কেবলমাত্র স্বানুভূতিকে আশ্রয় করিয়াই আপনার ধৰ্ম্মসিদ্ধান্ত ও ধৰ্ম্মসাধনের প্রতিষ্ঠা করেন বটে, কিন্তু এই স্বামুভূতিপ্রতিষ্ঠিত ধৰ্ম্মকেই তিনি উপনিষদের শ্রুতির আশ্রয়ে স্থাপন করিতে যাইয়া, এক প্রকায়ের শাস্ত্রপ্রামাণ্যও প্রদান করেন । এইজন্ত তার ব্রাহ্মধৰ্ম্মবস্তুট যে একান্তই অভিনব ও স্বরচিত, ইহার যে, কোনই প্রাচীন ভিত্তি दl ७थांभा१jभर्षiांझ नोहे, cणां८क इंश नश्tछ ধরিতে পারে নাই। সে সময়ে দেশে শাস্ত্রজ্ঞান একরূপ লোপ পাইয়াছিল। সাধারণ লোকের তো কথাই নাই, দেশের ব্রাহ্মণপণ্ডিতেরাও বেদবেদস্তাদির কোনওই ধার ধারিতেন না। সুতরাং আপনার ব্যক্তিগত বিচারবুদ্ধিলভূত সিদ্ধান্তকে মছধি যে অদ্ভুত শ্রতিমৰ্য্যাদা প্রদান করিতে চেষ্টা করেন, তাহার কৃত্রিমতা ও অশাস্ত্রীয়ত, দেশের লোকে একেবারেই বুঝিতে ও ধরিতে পারেন নাই। ফলতঃ প্রচলিত কৰ্ম্মকাও পরিহার করিয়াই, দেবেন্দ্রনাথ সমাজচ্যুত হইয়: ছিলেন ; নতুবা তার ব্রাহ্মধৰ্ম্ম একান্তই অশাস্ত্রীয় ও অপ্রামাণ্য বলিয়া তাহার উপরে ८कांनGहे निर्षjाऊन ६ञ्च नाहे । दब्रक्ष् ऊँॉब्र সিদ্ধান্ত ও সাধনকে উচ্চতর অধিকারের হিন্দুধৰ্ম্ম বলিয়াই অনেকে মনে করিতেন। প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তিত্বাভিমানী যুরোপীয় যুক্তিবাদের উপরেই দেবেন্দ্রনাথ তার ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে প্রতিষ্ঠিত করেন। কিন্তু উর সাধনা ও চরিত্রগুণে, তার উপদিষ্ট ভ্রান্ধ বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, আশ্বিন, ১৩১৯ ধৰ্ম্মে এই ব্যক্তিত্বাভিমানী যুক্তিবাদেয় প্রভাব ভাল করিয়া ফুটিল্প উঠে নাই। দেবেন্দ্রনাথের প্রকৃতির মধ্যেই একটা অতি প্রবণ *ङ्य़ांङिमांन विनाभान झिण । डिनि (स সমাজে, যে পরিবারে, যেরূপ বিভবগেীংবেঃ মধ্যে জন্ম গ্রহণ করেন ও যে সৌভাগের অঙ্কে লালিত পালিভ হ’ন, তাঁহাতে এরূপ প্রবল প্রভুত্বাভিমান যে তার মধ্যে জন্মিবে, ইহা কিছুই বিচিত্র নহে। তার পর তিনি ষে ভাবে ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ করিয়া, তার মুমূর্ষ, দেহে নবজীবনের সঞ্চার করেন এবং এক দিকে আপনার সাধনের ও অন্তদিকে আপনার অর্থের দ্বারা বেরূপে ইহাকে লোকসমাজে পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করেন, তাহতে এই ব্রাহ্মসমাজে যে তার একটা একতন্ত্র প্রভুত্বের প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল, ইহাও কিছুই আশ্চৰ্য্য নহে। আর এই কারণে মহৰ্ষি আদিব্রাহ্মসমাজে যে ধৰ্ম্মের ও সাধনের প্রতিষ্ঠা করিতে প্রবৃত্ত হন, তাহ যে একান্তই শাস্ত্রগুরুর্জিত, এ ভাবট। বহুদিন পর্য্যস্ত ধরা পড়ে নাই । প্রাচীন শাস্ত্র পরিত্যাগ করিয়া দেবেন্দ্রনাথ আপনার সঙ্কলিত “ব্রাহ্মধৰ্ম্ম’গ্ৰন্থকেই প্রামাণ্য শাস্ত্রের আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন। প্রাচীন গুরু-আমুগত্য বর্জন করিয়া, দেবেঞ্জনাথের ব্রাহ্ম শিষ্যমণ্ডলী, তাহাকেই নুতন ধৰ্ম্মের গুরুরূপে বরণ করেন । , সুতরাং প্রকৃত পক্ষে শাস্ত্রগুরুবর্জিত, শুদ্ধ স্বানুভূতিপ্রতিষ্ঠিত হইয়াও, দেবেন্দ্রনাথের ব্রাহ্মধরে বাহত ও লোকত গুরু ও শাস্ত্র উভয়েরই প্রতিষ্ঠা হয়। আর এই জগু স্বদেশের ধৰ্ম্মের সঙ্গে সাধন ও সংস্কারাদি বিষয়ে ইহার বিস্তর পার্থক্য দাড়াইলেও, ভাবগত কোনও প্রবল