পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wと বঙ্গদর্শন। বলিয়। জ্যোতিধি দৃগণ সিদ্ধান্ত করিয়াছেন । দ্বিতীয় বাষ্পপিও বৃহস্পতির জন্মের পর হইতে স্বৰ্য্য ও বৃহস্পতির মধ্যস্থ বাষ্পরাশি অত্যস্ত বেগবান হইয়া পড়িয়াছিল। কাজেই তৎকালে ড ক্ৰ জোতিক্ষদ্বয়ের মধ্যে নুতন বাষ্পপিওসংস্থানের কোনই সম্ভাবন না থাকায়, বৃহস্পতিকক্ষার বহিভূত স্থানে স্বল্পবেগবান বাপ দ্বারা যথাক্রমে শনি, যুদ্রানস ও নেপচুনের উৎপত্তি হইয়াছিল । ইহার অনেক পরে স্বৰ্য্য ও বৃহস্পতির মধ্যবত্তী স্থানের বাষ্পরাশির উত্তেজনা কতকটা প্রশমিত হইলে, ডক্ত জ্যোতিষ্কদ্বয়ের ঠিক মধাংশে আমাদের ক্ষুদ্র পৃথিবী ও শুক্রের জন্ম হয়, এবং এই স্থানট। স্বৰ্য্য ও বৃহস্পতির প্রভাব হইতে দূরে থাকায় পৃথিবী ও শুক্রের দুই দিকে বুধ ও মঙ্গলের উৎপত্তির সুযোগ হইয়া পড়িয়াছিল । স্বৰ্য্য ও বৃহস্পতির ন্তায় দুইটা বিশাল জড়পিণ্ডের যুগপৎ আকর্ষণের মধ্যে নেপচুন বা শনি হত্যাদির দ্য{য় মহাকায় জ্যোতিষ্কের উৎপত্তি অসম্ভব,– এইজন্ত বৃহস্পতি ও সুর্যের মধ্যবৰ্ত্তী স্থানটায় আমরা পৃথিবী-শুক্রমঙ্গলাদি কয়েকটি ক্ষুদ্ব গ্রহের অস্তিত্ব দেখিতে পাই ; আবার তন্মধ্যে যে স্থানটিতে স্থৰ্য্য-বৃহস্পতির প্রভাব অতীব প্রবল, তথায় ক্ষুদ্র-বৃহৎ কোন গ্রহই দেখিতে পাই মা। এই অাকর্ষণপ্রবল স্থানই গ্রহকঙ্কর বা ক্ষেণদিষ্ট গ্ৰহগণের (Asteroids ) ভ্রমণপথ । এই ত গেল লাপ্লাস-প্রবৰ্ত্তিত নিহারিকাবাদের স্থল মৰ্ম্ম । এই মতবাদের পোষক যে সকল প্রমাণ প্রদর্শিত হইল, তাহার প্রত্যেকটিই এত স্বযুক্তিপূর্ণ যে, কোনও [ বৈশাখ । অতীত জ্যোতিষিক ঘটনার এতদপেক্ষা প্রত্যক্ষ প্রমাণ প্রাপ্তি আশা করা" যায় না । কেবলমাত্র আকাশচর উল্কাপিণ্ডের যোগে এই সৌরজগতের উৎপত্তি হইয়াছে বলিয়া যে সকল পণ্ডিত সিদ্ধান্ত করিয়াছিলেন, র্তাহারা স্বষ্টির ক্রমবিকাশসম্বন্ধে কোনই উল্লেখযোগ্য প্রমাণ দেখাইতে পারেন নাই, কাজেই পণ্ডিতসমাজে তাহীদের মতবাদটির এখন আর আদর নাই । তবে প্রোক্টরপ্রমুখ কতিপয় আধুনিক জ্যোতিষী ভূপৃষ্ঠের বত্তমান অবস্থার উৎপত্তিতত্ত্ব স্থির করিতে গিয়া, নিহারিকাবাদিগণের সেই বাষ্পপিণ্ডাকরে পুথিবীতে অজস্র উল্প বর্ষণের যে কল্পনা করিয়াছেন, সেই সিদ্ধাস্তটি সত্যমূলক বলিয়। আজকাল পণ্ডিতসমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করিতেছে । এখন সেই জ্বলন্ত বাষ্পপিণ্ডাকার পৃথিবী হইতে কি প্রকারে সমুদ্রপৰ্ব্বতশোভিত এবং উদ্ভিদ-প্রাণি-আধুযিত বর্তমান ধরার অভিব্যক্তি হইল, দেখা যাউক । পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে, বৃহস্পতি, শনি ইত্যাদি দূরবত্তী গ্রহচতুষ্টয়ের উৎপত্তির অনেক পরে যখন পৃথিবী জন্মগ্রহণ করে, যে गर्भ, अशश्न গঠনসামগ্ৰী কেবলমাত্র ঘনীভূত-জলন্ত-বাম্পাকারে ছিল । চন্দ্র তখনও ধরাকুক্ষিগত। পৃথিবী কতকাল এই প্রকার অবস্থায় ছিল, জ্যোতিবিদগণ ঠিক্‌ বলিতে পারেন না, কিন্তু ইহার পরই যে পৃথিবীর বাষ্পশরীরের কিয়দংশ পুঞ্জাভূত হইয়া চন্দ্রের উৎপত্তি হইয়াছিল এবং তৎপরে পৃথিবী যে স্বীয় বাষ্পময় দেহ ক্রমে সস্কুচিত করিয়া একটা ক্ষুদ্র স্বর্য্যের আকারে আত্মজ চন্দ্রের পৃষ্ঠে