পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় সংখ্যা । ]

  • যুরোপীয় সমাজ এই ভাৰে চলিতেছে কি না, সে আলোচনা বুখা মনে হইতে পারে; কিন্তু সম্পূর্ণ বৃথা নহে। @

যেখানে প্রতিযোগিতার তাড়নায় পাশের লোককে ছাড়াইয়া উঠিবার অত্যাকাঙ্ক্ষায় প্রত্যেককে প্রতিমুহূর্তে লড়াই করিতে হইতেছে, সেখানে কৰ্ত্তব্যের আদর্শকে বিশুদ্ধ রাথ কঠিন । এবং সেখানে কোন একটা সীমায় আসিল্প অtশাকে সংযত করা ও লোকের পক্ষে দুঃসাধ্য হয় । য়ুরোপের বড় বড় সাম্রাজ্যগুলি পরস্পর পরস্পরকে লঙ্ঘন করিয়া যাইবার প্রাণপণ চেষ্টা করিতেছে, এ অবস্থায় এমন কথা কাহারে মুখ দিয়া বাহির হইতে পারে না যে, বরঞ্চ পিছাইয় প্রথম শ্রেণী হইতে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়িব, তবু অন্যায় করিব না । এমন কথা ও কাহারে; মনে আসে ন৷ যে, বরঞ্চ জলে স্থলে সৈন্তাসজ্জা কম করিয়া রাজকীয় ক্ষমতায় প্রতিবেশীর কাছে লাঘব স্বীকার করিব, কিন্তু সমাজের অভ্যস্তরে মুখসন্তোষ ও জ্ঞানধৰ্ম্মের বিস্তার করিতে হইবে। প্রতিযোগিতার আকর্ষণে ষে বেগ উৎপন্ন হয়, তাহাতে উদামভাবে চালাইয়া লইয়া যায়—এবং এই ছৰ্দান্তগতিতে চলাকেই য়ুরোপে উন্নতি কহে, আমরাও তাহাকেই উন্নতি বলিতে শিখিয়াছি । কিন্তু যে চল পদে পদে থামার দ্বারা निब्रभिउ नहरु, ऊांझांएक ऊँझडि बशां शांब्र न। .cब इन इडि नाइ, उाश इमारे নহে। সমাজের পদমূলে সমুদ্র অহোরাত্র তরঙ্গিত ফেনান্ধিত হইতে পারে, কিন্তু ব্রাহ্মণ । )నిన్స్ সমাজের উচ্চতম শিখরে শাস্তি ও স্থিতির চিরন্তন আদর্শ নিত্যকাল বিরাজমান থাকা চাই । সেই আদর্শকে কাহারা অটলভাবে রক্ষা করিতে পারে ? যাহারা পুরুষানুক্রমে স্বার্গের সংঘর্ষ হইতে দূরে আছে, আর্থিক দারিদ্র্যেই যাহাদের প্রতিষ্ঠা, মঙ্গলকৰ্ম্মকে যাহারা পণ্যদ্রব্যের মত দেখে না, বিশুদ্ধ জ্ঞান ও উন্নত ধৰ্ম্মের মধ্যে যাহাদের চিত্ত অভ্ৰভেদী হইয়া বিরাজ করে, এবং অন্য সকল পরিত্যাগ করিয়া সমাজের উন্নততম আদর্শকে রক্ষা করিবার মহদ্ভারই র্যাহাদিগকে পবিত্র ও পূজনীয় করিয়াছে। যুরোপেও অবিশ্রাম কৰ্ম্মালোড়নের মাঝে মাঝে এক একজন মনীষী উঠিয়া ঘুর্ণ৮ গতির উন্মত্ত নেশার মধ্যে স্থিতির আদর্শ, লক্ষ্যের আদশ, পরিণতির আদর্শ ধরিয়া থাকেন। কিন্তু দুইদণ্ড দাড়াইয়া শুনিবে কে? সম্মিলিত প্রকাও স্বার্থের প্রচণ্ড বেগকে এই প্রকারের দুইএকজন লোক তর্জনী উঠাইয়। রুথিবেন কি করিয়া ? বাণিজ্যজাহাজে উনপঞ্চাশ পালে হাওয়া লাগিয়াছে, যুরোপের প্রাস্তরে উন্মত্ত দর্শকবৃন্দের মাঝখানে সারিসারি যুদ্ধঘোড়ার ঘোড়দৌড় চল্লিতেছে, এখন ক্ষণকালের জন্ত থামিবে কে ? এই উন্মত্ততায়, এই প্রাণপণে নিজশক্তির একান্ত উদঘটনে জtধ্যাত্মিকতায় জন্ম হইতে পারে, এমন তর্ক আমাদেয় মনেও ওঠে । এই বেগের আকর্ষণ অত্যন্ত বেশি, ইহা আমাদিগকে প্রলুব্ধ করে, ইহা যে প্রলয়ের দিকে যাইতে পারে, এমন সন্দেহ আমাদের হয় না।