পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ সংখ্যা । ] ইহাতে বিশেষ কোন দেশজন্ধের উল্লেখ নাই ; সাধারণ বীরকীর্তির উল্লেখ আছে । বিগ্রহপালের রাজধানী কোথায় ছিল,তাহারও डेटझथ नान्नै । किछु उथन७ मूगशशिंब्रिहे যে পাল-নরপালবর্গের রাজধানী ছিল, তাহা অল্পমান করিবার কারণের অভাব নাই । প্রথম বিগ্রহপালের পুত্র নারায়ণপালের তাম্রশাসন ও ভট্ট গুরবের গরুড় স্তস্তলিপি নানা ঐতিহাসিক তথ্যের "" আধার। নারায়ণপালের তামশাসন মুদগগিরির জন্মস্কন্ধাবার হইতেই প্রদত্ত হইয়াছিল। তদ্বারা তাহার রাজধানীও মুঙ্গেরে থাকাই অমুমিত হয়। দেবপালের রাজধানী ও নারায়ণপালের রাজধানী মুদ্রগগিরিতে থাকার প্রমাণ পাইয়া, প্রথম বিগ্রহপালের রাজধানী ও মুঙ্গেরে থাকাই সিদ্ধাস্ত করিতে হয় । সুতরাং পাল ংশীয় প্রথম পঞ্চ নরপ;লের মধ্যে কাহার ও বঙ্গভূমিতে রাজধানী থাকা সিদ্ধান্ত করা ধায় না । সেরূপ কোন প্রমাণ অদ্যাপি আবিষ্কৃত হয় নাই । এই পঞ্চ নরপালের মধ্যে একমাত্র ধৰ্ম্মপালেরই পোণ্ড,বদ্ধনভুক্তির অন্তঃপাতি-ভূমি দান করিবার প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে। র্তাহার শাসনসময়ে রাজধানী পাটলিপুত্রে প্রতিষ্ঠিত থাকিলেও, পেীও,বৰ্দ্ধনভূক্তি যে তাহার রাজ্যভুক্ত হইয়াছিল, তাছা স্বীকার করিতে হইবে । কিন্তু দেবপাল, বিগ্রহপাল ও নারায়ণপাল যে প্রকৃত প্রস্তাবে বঙ্গভূমি উপভোগ করিয়াছিলেন, তাহার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের অভাব । ধৰ্ম্মপালের পাটলিপুত্রের স্ববিখ্যাত রাজধানী পঞ্চ পাল-মরপাল । ২ ১৭ দেবপাল, বিগ্রহপাল ও নারায়ণপালের অধিকারভুক্ত ছিল বলিয়াও বোধ হয় না। তৎকালে কান্তকুজের প্রবল প্রতাপ মগধেশ্বরকে ক্রমে পূৰ্ব্বাভিমুখে পলায়নপর করিয়াছিল। তাহাই হয় ত মুদগগিরির রাজধানীসংস্থাপনের মূল কারণ। কিন্তু এখানে ইতিহাস নীরব ; কেবল অনুমানের উপর নির্ভর করিয়া তথ্যনির্ণয় কর। অসম্ভব । ধৰ্ম্মপালের পর বঙ্গভূমি কিয়ৎকাল শূরবংশের অধিকারভুক্ত হওয়া স্বীকার করিলে, জনশ্রুতির সঙ্গে এই সকল ঐতিহাসিক ব্যাপারের সামঞ্জস্ত স্বরক্ষিত হয় । নারায়ণপালের তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইয়াও, তাহার কথা যথাযথক্রপে আলোচিত হর নাই । তাছার ধৰ্ম্মমত কি ছিল, তদ্বিষয়ে এখনও বন্ধ বিতর্ক বিদ্যমান। র্তাহার প্রধান মন্ত্রী ভট্টগুরব যে বেদান্নুরক্ত ছিলেন, তাহাতে সংশয় নাই । নারায়ণপালের তাম্রশাসনের শেষাংশে তাহা স্পষ্টই উল্লিখিত আছে । নারায়ণপালের তাম্রশাসনে বৌদ্ধমুদ্র সংযুক্ত দেখিয়! এবং মঙ্গলাচরণশ্লোকে দশবৌদ্ধবলের উল্লেখ দেখিয়া, তাহাকে বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী বলিস্নাই বোধ হয় । কিন্তু অভিনিবেশ-সহকারে আলোচনা করিলে, এই সিদ্ধান্ত সৰ্ব্বথা সমর্থন করা যায় না। সুপণ্ডিত ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল মিত্র এই তাম্রশাসনের পাঠ ও ব্যাখ্যা মুদ্রিত করিয়া নানা তর্কবিতর্কের স্বচন৷ করিয়া গিয়াছেন। র্তাহার ব্যাখ্যা মূলানুযায়ী বলিয়া স্বীকার করা যায় না । সুতরাং র্তাহার সিদ্ধান্ত ও অন্ধবৎ অমুসরণ করা অসম্ভব । পালবংশীয় প্রথম পঞ্চ নরপালের বৌদ্ধ