পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম সংখ্যা । ] অসন্মত ; তজ্জত বঙ্গসাহিত্যের বহ গ্রন্থ মোসলমানের নিকট তিরস্থত ! তাহারা নY জানিয়া, “যবন"শব্দে অবমাননা বোধ করেন ; হিন্দু লেখকবর্গও না বুঝিয়া, মোসলমানের স্কন্ধে “যবন”শব্দ আরোপ করিয়া, এক অকারণ কলহৰীজ সঞ্চিতৃ করিয়া থাকেন। বঙ্গ সাহিত্যের “যবন”শব্দ জাতি বা ধৰ্ম্ম বাচক । পুরাতন সংস্কৃতসাহিত্যের “যবন”শব্দ জনপদবাচক । ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল এই জনপদবাচক পুরাতন অর্থের উল্লেখ করিয়াও, “যু মিশ্রণেহস্মাৎ অধিকরণে অনন্টু” এই স্বত্রানুসারে, "যৌতি মিশ্রয়তি ব। মিশ্ৰীভবতি, সৰ্ব্বত্র জাতিভেদাভাবাৎ ইতি যবনঃ”— এই ব্যাখ্যা লিপিবদ্ধ করায়, সংস্কৃতসাহিত্যের ‘যবন”শব্দ ও জাতিবাচকরূপে প্রতিভাত হইয়াছে। অতি পুরাকালে এইরূপ ব্যুৎপত্তি প্রচলিত থাকিলেও, জাতিবাচক অর্থ প্রচলিত থাকা স্বীকার করা ग्रथ्रि नi । কোন সময়ে কিরূপ অর্থ প্রচলিত ছিল, তাহার তথ্যনির্ণয় করিতে হইলে, কোন্‌ সময়ে “ধবন”শব্দ সংস্কৃতসাহিত্যে প্রবেশ লাভ করে,–ভাছার আলোচনা করা আব হ্যক । সে আলোচনায় “যবন"শব্দের প্রাচীনত্বের সীমানির্দেশ করিবার সম্ভাবনা নাই ! পাণিনির বিশ্ববিখ্যাত ব্যাকরণে “যবন"শব্দের উল্লেখ প্রাপ্ত হওয়া যায়। তৎপুৰ্ব্বে ইহ সংস্কৃতসাহিত্যে অবশুই সুপরিচিত ছিল। কিন্তু পাণিনি কোন সময়ে প্রাদুর্ভূত হন, তাহাতে নানা মুতভেদ দেখিতে পাওয়া যায়। এ বিষয়ে ইউরোপীয় .# SIS 1344 W যবন" & 8th পণ্ডিতবর্গ দুই দলে বিভক্ত –এক দল শাকোত্তরকালবাদী ; অপর দল শাক্যপূৰ্ব্বকালুবাদী। শাকোত্তরকালবাদিগণ পাণিনিস্বত্রের ব্যাখ্যা ও উদাহরণে বৌদ্ধমত ও চন্দ্রগুপ্তের নামের সন্ধান প্রাপ্ত হইয়া, শাক্যোন্তরকালবৰ্ত্তী মগধেশ্বর চন্দ্রগুপ্তের শাসনসময়ে পাণিনির আবির্ভাবকাল নির্দেশ করিয়া থাকেন। আচাৰ্য্য গোলড্‌ষ্টকর ও ও মোক্ষমূলর উভয়েই এই মত খণ্ডন করিয়া পাণিনিকে শাক্যাবিভাবের পূর্বকালবৰ্ত্তী গ্রন্থকার বলিয়া সিদ্ধান্ত করিয়া গিয়াছেন । প্রভেদ এই যে,—মোক্ষমূলরের মতে, পাণিনি পৃষ্টপূৰ্ব্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর গ্রন্থকার ; গোলড, টুকরের মতে তিনি খৃষ্টপূৰ্ব্ব একাদশ শতাব্দীর গ্রন্থকার । ইহার কোন সময়েই গ্ৰীকৃজাতির সহিত ভারতবর্ষের সাক্ষাৎসম্বন্ধে পরিচয় সংস্থাপিত হয় নাই। তবে পাণিনিব্যাকরণোক্ত “যবন”শব্দ কাহাকে সুচিত করিত ? জনপদবাচক শব্দশাসনের জন্ত পাণিমি যে সকল স্থত্র রচনা করেন, তন্মধ্যে "কম্বোজালুক্‌” * একটি স্ববিখ্যাত স্থত্র। বৃত্তিকার বলেন, "কম্বোজাৎ” বলিতে "কম্বোজtদিভ্যঃ” বুঝিতে হইবে ;—অর্থাৎ কম্বোজ, চোল, কেরল, শক ও যবন পর্য্যন্ত গ্রন্থ করিতে হইবে । এই সকল জনপদ ক্ষত্ৰিয়জনপদ বলির তৎকালে পরিচিত ছিল । সুতরাং তথনও “যবন”শব্দ জাতিবাচক না হইয়া, ক্ষত্রিয়জনপদবাচক বলিয়াই পরিচিত ছিল। এই জনপদ কোথায় ছিল, পাণিনিস্বত্রে, কাত্যায়নবাৰ্ত্তিকে বা পাতঞ্জল