পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা । ] সম্বন্ধে আমি কথাবার্তা শেষ করিতে আলিয়াছি।” মছেজ একান্ত সঙ্কুচিত হইয়া উঠিল। অন্নপূর্ণ চকিত হইয়া বলিয়া উঠিলেন—“এ আবার কি কথা বিহারি ?” মহেন্দ্র প্রবল শক্তি প্রয়োগ করিয়া সঙ্কোচ দূর করিল। কছিল, “বিহানি, এ বিবাহের কোন প্রয়োজন নাই ।” অন্নপূর্ণ কহিলেন, “এ ৰিবাহের প্রস্তাৰে কি বিনোদিনীর কোন যোগ আছে ?” বিহারী কহিল “কিছুমাত্র না ।” অন্নপূর্ণ কছিলেন, “সে কি ইহাতে রাজি হুইবে ?” মহেন্দ্র বলিয়া উঠিল—“বিনোদিনী কেন রাজি হইবে না কাকীমা ? আমি জানি, সে একমনে বিহারীকে ভক্তি করে—এমন আশ্রয় সে কি ইচ্ছা করিরা ছাড়িয়া দিতে পারে ?” বিহারী কহিল—“মহিলদা, আমি বিনোদিনীকে বিবাহের প্রস্তাব করিয়াছি—সে লজ্জার সঙ্গে তাহ প্রত্যাখ্যান করিয়াছে।” ७भिव्र भएश्ठ ठूो कब्रिग्रा ब्रश्णि । ( te ) ভালয়-মন্দয় দুই-তিন-দিন রাজলক্ষ্মীর কাটিয়া গেল। একদিন প্রাতে র্তাহার মুখ বেশ প্রসন্ন ও বেদন সমস্ত হ্রাস হইল । সেইদিন তিনি মহেন্দ্রকে ডাকিয়া কহিলেন— “আর আমার বেশিক্ষণ সময় নাই—কিন্তু আমি বড় মুখে মরিলাম মহিন্‌, আমার কোন দুঃখ নাই। তুই যখন ছোট ছিলি, उथन cडांटक' णहेब्रा श्रांभांब्र ८ष श्रांनना ছিল, আজ সেই আননে আমার বুক ভরিয়া উঠিয়াছে—তুই আমার কোলের ছেলে, চোখের বালি । \ყXVჯა আমার বুকের ধন—তোর সমস্ত বালাই লইয়া আমি চলিয়া যাইতেছি, এই আমার वड़ ईथ !”-दणिब्रा ब्रांजलकौ भरश्रवद्र মুখে-গায়ে হাত বুলাইতে লাগিলেন। মছেন্দ্রের রোদন বাধা না মানিয়া উচ্ছসিত হইতে লাগিল । - রাজলক্ষ্মী কহিলেন, “কঁাদিস নে মছিন! লক্ষ্মী ঘরে রহিল । বোমাকে আমার চাবিট দিস। সমস্তই আমি গুছাইয়া রাখিয়াছি ; তোদের ঘরকন্নার জিনিষের কোন অভাব হইবে না । আর-একটি কথা আমি বলি মহিন, আমার মৃত্যুর পূৰ্ব্বে কাহাকে ও জানাস নে—আমার বাক্সে দুহাজার টাকার নোট আছে, তাহ আমি বিনোদিনীকে দিলাম। সে বিধবা, একাকিনী, ইহার স্বদ হইতে তাহার বেশ চলিয়া যাইবে—কিন্তু মহিন, তাহাকে তোদের সংসারের ভিতরে রাথিস নে, তোর প্রতি আমার এই অনুরোধ রহিল !” বিহারীকে ডাকিয়া রাজলক্ষ্মী কহিলেন, “বাবা বিহারি, কাল মহিন বলিতেছিল, তুই গরীব ভদ্রলোকদের চিকিৎসার জন্ত একটি বাগান করিয়াছিস্—ভগবান তোকে দীর্ঘজীবী করিয়া গরীবের হিত করুন। আমার বিবাহের সময় আমার শ্বশুর আমুকে একখানি গ্রাম যৌতুক করিয়াছিলেন, সেই গ্রামখানি আমি তোকে দিলাম, তোর গরীবদের কাজে লাগাস, তাহাতে আমার শ্বশুরের পুণ্য হইবে।” রাজলক্ষ্মীর মৃত্যু হইলে পর শ্রাদ্ধশেষে মহেন্দ্র কহিল—“ভাই বিহারি, আমি