পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা । ] তেছে।” যদি জীবনরহস্তের মীমাংসা কখনও সম্ভবপর হয়,তবে অধ্যাপক বসুর আবিষ্কারদ্বারাই তাহার সমাধান হইবে । রহস্তময় জীবরাজ্যের মহাসিংহদ্বারের চাবি উদ্ভিদ ও তুচ্ছ ধাতুতে আবদ্ধ আছে, প্রাণীর জীবন ক্রিয়ার শতজটিলতার মধ্যে তাহার কোনই সন্ধান পাওয়; যাইবে না । @ প্রাণী ও ধাতুর পরস্পর সম্বন্ধ আবিষ্কার মন্দ । " Վյ:Տ(: করিয়া আচাৰ্য্যপ্রবর ইতিপূৰ্ব্বে যে প্রকাও বৈজ্ঞানিক সমস্তার রচনা করিয়াছেন, তাহার'মীমাংসা ন হইতেই, তাহার আরএক নূতন আবিষ্কার জগৎকে বিস্মিত করিয়া তুলিতেছে । অধ্যাপক বস্থর এই সকল আবিষ্কার আধুনিক জীব ও জড় বিজ্ঞানে একটা প্রকাণ্ড বিপ্লব উপস্থিত করিবে বলিয়। অনেকে আশঙ্কা করিতেছেন। শ্রীজগদানন্দ রায় । মন্দ । মন্দ্র শ্রীপুত্ৰ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের মুতন-প্রকাfশত কাব্যগ্রন্থ । এই গ্ৰন্থখাfনকে অমর। সাহিত্যের আসরে সাদর অভিবাদনের সঙ্গে আহবান করিয়া আনিব—ইহাকে আমরা মুহূৰ্ত্তমাত্র দ্বারের কাছে দাড় করাইয়। রাখিতে পারিব না। গ্রন্থ সমালোচনা সম্পাদ কদের কর্তব্য বলিয়াই গণ্য। অনেকেই অতিমাত্র আগ্রহের সঙ্গেই এ কৰ্ত্তব্য পালন করিতে অগ্রসর হন । কিন্তু আমাদের এ সম্বন্ধে ব্যগ্রতার যথেষ্ট অভাব আছে, সে কথা স্বীকার করি । মন্দ্র কাব্যথানিকে অবলম্বন করিয়া আমরা অকস্মাৎ কৰ্ত্তব্য পালন করিতে আসি নাই। গ্রন্থপাঠ করিয়া যে আনন্দ পাইয়াছি, তাহাই প্রকাশ করিবার জন্য আমাদের এই উদ্যম । বড় ভাল লাগিল, এ কথাটি যতই অকুত্রিম হউক, কথাটা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। এতটুকু কথা লইয়া সম্পাদকী করা চলে ন!—তাই ঐ কথাটাকে বড় কfরয় ,তুলিয়। কিছু স্থান জুড়িতে হইবে- নহিলে পদমৰ্য্যাদারক্ষা হয় না ; যদি ইচ্ছামত চলিবার স্বাধীনত থাকিত, তবে কবির রচনা হইতে অনগল উদ্ধৃত করিয়৷ মাঝে মাঝে কেবল “বাহব।" বসাইয়। দিতাম—তাহাতে আমাদের কোন ক্ষমতাপ্রকাশ হইত কি না, জানি না ; কিন্তু ভাবপ্রকাশ হইত। মন্দ্র কাব্যখানি বাংলার কাব্য-সাহিত্যকে অপরূপ বৈচিত্র্য দান করিয়াছে । ইহা নূতনতায় ঝলমল করিতেছে এবং এই কাব্যে যে ক্ষমতা প্রকাশ পাইয়াছে, তাহ। অবলীলাকৃত ও তাহার মধ্যে সৰ্ব্বত্রই প্রবল আত্মবিশ্বাসের একটি অবাধ সাহস বিরাজ করিতেছে । সে সাহস কি শব্দনিৰ্ব্বাচনে, কি ছন্দোরচনায়, কি ভাববিন্যাসে সৰ্ব্বত্র অক্ষুঃ । সে সাহস আমাদিগকে বারংবার চকিত