পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नयम ज५थn । ] সার সত্যের আলোচনা। 846 গল্পের মাঝখানটিতে দুষ্ট মন্ত্রী যখন মুখ সমৃদ্ধিক্টে फौज श्रेब थबारक जब्राञान করিতেছে, তখনকার সে কথাটি আমার প্রকৃত মনের কথা নহে ; অথচ সেই কথাটির নানাপ্রকার ডালপালা সাজাইয় তাহাই আমাকে সৰ্ব্বাগ্রে রচনা করিতে হইতেছে । আমার বাহা প্রকৃত মনের কথা, তাহা সকলের শেষে বাহির হইবে। দুষ্ট মন্ত্রীর দুৰ্গতিআকাঙ্ক্ষা রচিতব্য উপন্যাসটির বাঁজ। সেই বীজটি এক্ষণে আমার মনের মধ্যে মাটিচাপ রহিয়াছে। গল্পের শেষভাগে ঐ বীজটি যখন প্রকাশ্যে বহির্গত হইবে, তথন তাহ শস্যের আকার ধারণ করিবে ; অথবা, যাহা একই কথা—নিজমূৰ্ত্তি ধারণ করিবে। এখন, যদি জিজ্ঞাসা করা যায় যে, বীজের সর্বাপেক্ষা নিকটের বস্তু কে ? তবে তাহার দুই ভাবের উত্তর দুইপ্রকার। এক ভাবের উত্তর এই যে, বীজের সর্বাপেক্ষ নিকটের বস্তু হ’চ্চে অঙ্কুর ; আর-এক ভাবের উত্তর এই ষে, বীজের সর্বাপেক্ষ নিকটের বস্তু হ’চ্চে শস্য । প্রথম ভাবের উত্তরটির ভাবার্থ যে কি, তাহ তাহার গায়ে লেখা রছিরাছে ; তাহ এই যে, বীজের অব্যবহিত-পরবর্তী দেশকালে অঙ্কুর ফুটিয়া বাহির হয়। দ্বিতীর ভাবের উত্তরটির একটুটাক করা আবশ্বক। সে টাকা এই – শস্যই বীজের নিজমূৰ্ত্তি। অন্ধুর বীজের ব্যতিমূৰ্ত্তি। উপন্যাসের শেষের কথাটিই আমার মনের নিকটতম বস্তু –মাঝের ডালপালা সেই নিকটতম বস্তুটিকে দূরে সরাইয়া বুখিতেছে। মাঝের ডালপালা আমার মনের এত ৰে বিরুদ্ধাচরণ করিতেছে—তথাপি তাছাকে আমি একটিবারও নিবারণ না করিয়া ক্রমিকই প্রশ্রয় দিতেছি। কেন এরূপ করিতেছি ? তাহার কারণ কি ? কারণ আর কিছু ন--বিপরীত ভাবের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়া মনোগত ভাবটিকে বিধিমতে ফুটাইয়া তুলিবার ইচ্ছা। এখানে দ্রষ্টব্য এই যে, গল্পের ডালপালা সাজাইয়৷ যে কথাটিকে আমি সেই জঙ্গলাকীর্ণ প্রাচীরের ও-পিটে সরাইয়। রাখিতেছি, সেই শেষের কথাটি গোড়াতেই আমার মনে উপস্থিত হইয়াছিল এবং গোড়া হইতে শেষ পৰ্য্যন্ত ক্রমাগতই তাহা অামার মনে নিরবচ্ছেদে লাগিয়া রহিয়াছে। তবেই হইতেছে যে, সেই শেষের কথাটিই সৰ্ব্বাপেক্ষ আমার মনের নিকটের বস্তু। এখন কথা হ’চ্চে এই যে, বীজ যেমন ডালপালার মধ্য দিয়া শস্তাকারে ফুটিয়া বাহির হইয় নিজমূৰ্ত্তি ধারণ করে, সত্তা সেইরূপ শক্তিস্ফূৰ্ত্তির মধ্য দিয়া জ্ঞানাকারে ব্যক্ত হইয়া নিজমূৰ্ত্তি ধারণ করে । যে হিসাবে শস্ত বীজের নিকটতম বস্তু ( অর্থাৎ ষে হিসাবে গল্পের শেষের কথাটিই গোড়ার কথা) সেই হিসাবে, জ্ঞান, সত্তার নিকটতম বস্তু ; আর যে হিসাবে অন্ধুর বীজের নিকটতম বস্তু, সেই হিসাবে, শক্তি, সত্তার নিকটতম বস্তু । যদি শক্তির প্রতি আদবেই দৃকপাত না করা যায়,তবে জ্ঞান এবং সত্তা একাকারে পরিণত হয়, তাহা আমরা একটু পূৰ্ব্বেই দেখিয়াছি। এটাও তেমনি দেখা উচিত যে, যদি জ্ঞানের প্রতি আদবেই দৃকপাত করা না যায়, তবে সত্তা এবং শক্তি একাকারে পরিণত হয় ; কেন না, জ্ঞানের ভোগে না আসিলে শক্রিয় সমস্ত কাৰ্য্যই ব্যর্থ হইয়া গিয়া একান্তপক্ষেই