পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা । ] বাল্মীকি ও কৃত্ত্বিবাস। (tfసి করিতে প্রস্তত্ব হইবে না। এদেশের আবৃহাওর আমাদের ঢের পরিবর্তন হইয়া গিয়াছে। কাবুলের বেদান। এখানে জন্মাইতে চেষ্টা করিলে, তাহার বংশধর ক্রমে টোকে ডালিমে দাড়াইবে, তাহাতে কোন সন্দেহ নাই । কবি মুকুন্দরামের বড় সাহস ছিল, তাই তিনি স্বীয় কাব্যনায়ক কালকেতু-ব্যাধের রূপবর্ণনাপ্রসঙ্গে লিখিতে পারিয়াছিলেন, তাহার "দুই বাহু লোহার সাবল”। কিন্তু ব্যাধপুত্রের সম্বন্ধে যাহা প্রয়োগ করিয়াছেন, সাধুর পুত্রসম্বন্ধে তাহ লিখিতে পারেন নাই। কাঞ্চীপুরবাসী গুণসিন্ধুরাজপুত্র সুন্দরই আমাদিগের কাব্যগুলির প্রকৃত নায়ক –পুরুষজাতির আদর্শ রূপ ; তাহার ঈষৎ গোফের রেখার সঙ্গে চঞ্চল খঞ্জনলোচনের প্রকৃত সমাহার হইয়াছে। किरू यहे cय भरशंबऋ, शूक्लखक, अद्विনাম রামচন্দ্র, ইহাকে কৃত্তিবাস কি করিয়া ফেলিয়াছেন, দেখা যাক। তিনি লঙ্কাকাণ্ডে চাপানাগেশ্বর জটায় বান্ধিয়া যুদ্ধ করিতেছেন। র্তাহার ভুজ সুললিত এবং শৈশবে “নবনী জিনিয়া দেহ অতি সুকোমল।” বনবাসকালেও র্তাহার “চাচর চিকুর রক্ত ওষ্ঠাধর” এবং “মুখ সুধাংগুলাঞ্ছন”। রাম শৈশবে যখন মৃগয়া করিতেন, তখন “ফুলধন্থ রাম বেড়ান কাননে, এবং কখন “বনপুষ্পভূষিত ধনু রামের হাতে”। এখানে ফিরিয়া-ফিরিয়া সেই মদন-মন্মথ-মারেরই अख्छिनम्न । তাহার পর ঐরামচন্দ্রের প্রতি মূল কাব্যের पूंगरूण নৈতিক গুণ আরোপিত হইয়াছে, তাহার কঠোরতা একান্ত মৃদ্ধ । বাঙালীর চক্ষে কতকটা জুর্নিরীক্ষ্য। রাম ক্রোধে কালাগ্নিসদৃশ, ক্ষমার পৃথিবীতুল্য, নিয়তাত্ম, সৰ্ব্বশাস্ত্রার্থতত্বজ্ঞ, ধন্থবেদে নিষ্ঠিত, ধৰ্ম্ম ও পরিজনের পরিরক্ষিতা, অদীনাত্মা, গাম্ভীৰ্য্যসমুদ্র, ধৈৰ্য্যে হিমাচলতুল্য, চারিত্রযুক্ত ও সৰ্ব্বলোকগ্রির। এই গুণগুলি এক অতি মহিমান্বিত বিশাল পুরুষচরিত্রকে জ্যোতিষ্মৎ করিয়া নরত্বে দেবত্বের আভাস দেখাইতেছে । আমাদের দেশে এই মহাপুরুষের গৌরব উপলব্ধি করিতে পারেন,এরূপ লোক কয়জন ? সুতরাং রামকে উপলক্ষ্য করিয়া দেশীয় উপকরণে এক মূৰ্ত্তি স্বষ্টি করা হইয়াছে, যাহা বাল্মীকি-অঙ্কিত চিত্রের নামে চালাইতে যাওয়া অপেক্ষা সত্যের অধিকতর অপলাপ আর কিছুতেই সম্ভবপর হয় না। তবে বায়েtস্কোপে বুররযুদ্ধদৰ্শনের দ্যায় এস্থলেও অনেকটা কল্পনার সাহায্যে পুরাইয়া লইতে পারা যায়। রামায়ণের নাম করিয়া অনেকস্থলেই বাঙালীর ক্ষুদ্র গার্হস্থ্যজীবনের সুখদুঃখ চিত্রিত হইয়াছে ৷ রাখালবালকগণ যেরূপ মৃৎস্তুপে বসিয়া রাজা ও কোটালের অভিনয় করে, এ দৃষ্ঠ কতকট। সেইরূপ। কৃত্তিবাসী রামায়ণে দেখা যাইতেছে, রামের বিবাহ-উৎসবের পরে রামসীতাকে অন্ধকার-ঘরে লইয়া যাওয়া হইল, .সেখানে রামকে—“সীতার হাত ধরি তোল বলে বন্ধুগণ ” “তখন ভাবেন মনে গীতাঠাকুরাণী। পায় হাত দেন পাছে রাম গুণমণি ॥ করিলেন সীতাদেবী হাতশঙ্খধ্বনি । হাতে ধরে সীতাকে তোলেন রঘুমণি ॥” লঙ্কাকাণ্ডের