পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(t(te শেষে যে স্থলে সীতাকে রাম সন্দেহ করিয়া কটুম্বাক্য বলিতেছেন, সে স্থলে বাল্মীকি সীতার কেমন বিষাদপূর্ণ স্থির গাম্ভীৰ্য্য ও সম্রাঙ্গী-উচিত ওজস্ব ভঙ্গি চিত্রিত্ব করিয়া দেখাইয়াছেন । কৃত্তিবাসী সীতা বলিতেছেন —“বাল্যকালে খেলিতাম বালকমিশালে । স্পর্শ নাহি করিতাম বালকছাবালে ॥” এ যেন সন্দেহাতুর বাঙালী স্বামীর কাছে ভয়ে গলদঘৰ্ম্ম বালিকাবধূর একান্ত কাতর আত্মনিবেদন । রামারণের নামে বাঙালীঘরের কয়েকখানি ছোট ছোট দৃশু উদঘাটিত হইরাছে ; ইহাতে আমরা বিস্মিত হই নাই । রবিবৰ্ম্মার ছবিতে সীতা মারহট্টারমণীর পরিচ্ছদে আসিয়াছেন, এখানেও আমরা তাহকে না হর বাঙালিনী করিয়া ফেলিয়াছি। রামায়ণের অপরাপর অংশের অনুবাদ কতকটা মূলানুযায়ী বলিয়া গণ্য হইতে পারে। গার্হস্থ্য শোকছুঃখের কথায় আমরা নিতান্ত পশ্চাৎপদ নহি । শ্রীরাম বনবাসের দুঃখ বীরোচিত-সহিষ্ণুতা-সহকারে সহ করিয়াছিলেন । তিনি প্রকৃতই ধৈৰ্য্যে হিমবান্‌ ইব’ । সে অংশে ততটা মূলের অনুকরণ করিতে কৃতকাৰ্য্য না হইলেও, বাঙালী কবির কৌশল্যার ক্ৰন্দন ও রামবিরহে প্রকৃতিপুঞ্জের আর্তনাদ বর্ণনায় পশ্চাৎপদ হইবার কথা নক্ষে। প। ছড়াইরা কাল্পাকাটি জুড়িয়া দিতে বাঙালী স্ত্রী-পুরুষ সকলেই বিশেষ মজবুত। কিন্তু যুদ্ধকাও गहेब्र মহাবিপদ । বাঙালী কবিগণ এই অংশটি একেবারে নুতন স্থষ্টি করিয়া তাহাজের অদ্ভুত মৌলি नृत्रनिर्णन । [ ২য় বর্ষ, মাৰ। কত্বের পরিচয় প্রদান করিয়াছেন। বাংল৮ দেশে যুদ্ধক্ষেত্র বেশি নাই, কিন্তু কীৰ্ত্তনভূমি অনেক। বীরভূম হইতে নবদ্বীপ পৰ্য্যন্ত সকল স্থানেই সঙ্কীৰ্ত্তনের আড্ডা আছে । এই সকল অাডডার অাদর্শেই ংলা রামায়ণের লঙ্কাকাগুটা সঙ্কলিত হইয়াছে। এ অংশ একান্তরূপে মৌলিক এবং বাঙালীর নিজস্ব । বাঙালী যে বাক্যবীর, তাহার পরিচয় অঙ্গদরায়বারে যথেষ্ট আছে ; বলা বাহুল্য, উহা মূলবহির্ভূত। এ সকল অংশের কৃতিত্বের পর্য্যাপ্তরূপ প্রশংসাবাদ করা সুকঠিন। রাম ও লক্ষ্মণ যুদ্ধকাণ্ডে ঠিক চৈতন্ত ও নিত্যানন্দের আদর্শে গঠিত হইরাছেন। কৃত্তিবাসপণ্ডিত চৈতন্য ও নিত্যানন্দের পুর্ববর্তী, সুতরাং এ আদর্শ তিনি কিরূপে পাইবেন, জিজ্ঞাস্ত হইতে পারে । ইহার উত্তরে আমরা এই বলিব যে, আদিত কৃত্তিবাসের লঙ্কাকাও লুপ্ত, তৎস্থলে যে কাওটি জুড়িয়া দেওরা হইয়াছে, তাহাই এখন . কৃত্তিবাসী রামায়ণের অন্তর্গত। সুতরাং এই কাগুটি আমরা যেরূপ পাইয়াছি, সেই ভাবেই ইহার আলোচনা করিব । রাম ও লক্ষ্মণ এই অধ্যায়ে ভক্ত সাজিয়া উপস্থিত। মূলে তরণীসেন, বীরবাহ প্রভৃতি বৈষ্ণব মহাত্মাদিগের নাম পৰ্য্যন্ত লিখিত । নাই। যুদ্ধক্ষেত্র যে সঙ্কীৰ্ত্তনভূমির আদর্শে গঠিত হইতে পারে, বাংলা রামায়ণ পাঠ করিলে সে বিষয়ে সন্েেছর লেশমাত্র थांकि८ब ना ।। 4 शांन मधून यूनत्र, गर्युचब्र, বীণা ও ভোরঙ্গের ধ্বনিতে আকুলিত। রাক্ষসগণ বৈষ্ণবমন্ত্রগ্রহণের जर्छ, যুদ্ধক্ষেত্রে