পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ সংখn ] • আমার ক্ষে তিনট প্রাণের বন্ধ ছিল, তাহাদিগকে আমার স্ত্রীর চিঠি না দেখাইয়া থাকিতে পারিলাম না । তাহারা আশ্চৰ্য্য इऍब्रा कश्णि, •“७भन क्लौ *ाहेब्रांझ्, इंश তোমার ভাগ্য।” অর্থাৎ ভাষান্তরে বলিতে গেলে এমন স্ত্রীর উপযুক্ত স্বামী আমি নই। নির্ঝরিণীর নিকট হইতে পত্রোত্তর পাইবার পূৰ্ব্বেই যে ক’খনি চিঠি লিখিয়া ফেলিয়াছিলাম, তাহাতে হৃদয়োচ্ছাস যথেষ্ট ছিল, কিন্তু বানান-ভুলও নিতান্ত অল্প ছিল না । সতর্ক হইয়া লেখা যে দরকার, তাহা তখন মনেও করি নাই . সতর্ক হইয়া লিখিলে বানান-ভুল হয় ত কিছু কম পড়িত, কিন্তু হৃদয়োচ্ছ সেটাও মারা যাইত । এমন অবস্থায় চিঠির মধ্যস্থত ছাড়িয়া মোকাবিলায় প্রেমালাপই নিরাপদ। সুতরাং বাবা আপিসে গেলেই আমাকে কালেজ পালাইতে হইত। ইহাতে আমাদের উভয় পক্ষেরই পাঠচর্চায় যে ক্ষতি হুইত, আলাপচর্চায় তাহা স্বদগ্বন্ধ পোষণ করিয়া লইতাম । বিশ্বজগতে যে, কিছুই একেবারে নষ্ট হয় না ; এক আকারে যাহা ক্ষতি, অন্ত আকারে তাহা লাভ—বিজ্ঞানের এই তথ্য প্রেমের পরীক্ষ+ শালায় বারংবার যাচাই * করিয়া লইয়া একেবারে নিঃসংশয় হইয়াছি । এমন সময়ে আমার স্ত্রীর জাঠতুত বোমের বিবাহকাল উপস্থিত—আমরা ত যথানিয়মে आहेबूड़ डांड निद्रां थांणान-किरू श्रांभांब्र छौ মেহের আবেগে এক কবিতা রচনা করিয়া গাল কাগজে জাল কালী দিয়া লিখির তাহার ভগিনীকে ন পাঠাইরা থাকিতে পারিলঞ্জ। সেই রচনাটি কেমন করিয়া ৰাবার হস্তগত দপহরণ। అ34 হইল। বাবা তাহার বধুমাতার কবিতার রচনানৈপুণ্য, সম্ভাবসৌন্দৰ্য্য, প্রসাদগুণ, প্রাঞ্জলতা ইত্যাদি শাস্ত্রসন্মত নানা গুণের সমাবেশ দেখিয়া অভিভূত হইয়া গেলেন। র্তাহার বৃদ্ধ বন্ধুদিগকে দেখাইলেন, তাহারাও তামাক টানিতে টানিতে বলিলেন—“খাসা হইয়াছে!” নববধূর যে রচনাশক্তি আছে, এ কথা কাহারও অগোচর রহিল না । হঠাৎ ৷ এইরূপ খ্যাতিবিকাশে রচয়িত্রীর কর্ণমূল এবং কপোলদ্বয় অরুণবর্ণ হইয়া উঠিয়ছিলঅভ্যাসক্রমে তাহ বিলুপ্ত হইল। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, কোন জিনিষ একেবারে বিলুপ্ত হয় না।--কি জানি, লজ্জার আভাটুকু তাহার কোমল কপোল ছাড়িয়া আমার কঠিন হৃঙ্গঞ্জের প্রচ্ছন্নকোণে হয় ত আশ্রয় লইয়া থাকিবে । কিন্তু তাই বলিয়া স্বামীর কৰ্ত্তব্যে শৈথিল্য করি নাই । অপক্ষপাত সমালোচনার স্বারা স্ত্রীর রচনার দোষ সংশোধনে আমি কথমই জালস্য করি নাই। বাবা তাহাকে নিৰ্ব্বিচারে যতই উৎসাহ দিয়াছেন, আমি ততই সতর্কতার সহিত ক্রটি নির্দেশ করিয়া তাহাকে যথোচিত সংযত করিয়াছি । আমি ইংরাজি বড়-বড় লেখকের লেখা দেখাইয়া তাঁহাকে অভিভূত করিতে ছাড়ি নাই। সে কোকিলের উপর একটা-কি লিখিয়াছিল, আমি শেলির স্কাইলার্ক ও কীটুসের নাইটজেল শুনাইবা তাহাকে একপ্রকার বি করিয়া দিয়াছিলাম। তখন বিদ্যার জোরে আমিও যেন শেলি ও কীটুরে গৌরবের কতকটা ভাগী হইয়া পড়িতাম। আমার স্ত্রীও ইংরাজি সাহিত্য হইতে ভাল ভাল জিনিষ তাঙ্গকে তর্জমা করিয়াশুনাইবার জন্য আমাকে'পীড়া