পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ সংখ্যা । ] অভিজ্ঞানশকুন্তলের জঙ্কান্তর্গত কালবিশ্লেষণ। • శ్రీని এরূপ ছিলেন, নাটকে তাহার বিশেষ কোন উল্লেখ নাই। তবে উহাকে অন্তত ষে চারিপাচ-দিন অপেক্ষা করিতে হইয়াছিল, এরূপ অনুমান করিবার হেতু আছে। দ্বিতীয় 'অঙ্কের শেষভাগে, রাজধানী হইতে করভকনামক দূত আসিয়া, রাজাকে চতুৰ্থদিনে হস্তিনায় উপস্থিত হইয়। রাজমাতার উপ- ' বাসের পারণসময়ে উপস্থিত থাকিতে বলিতেছে। এদিকে রাজা ইতিপূৰ্ব্বে কেবলমাত্র সারথি সহ তপোবনে অবস্থান করিয়া যজ্ঞরক্ষার্থ ঋষিদের নিকট প্রতিশ্রুত হইয়াছেন বলিয়৷ মাতার আদেশ পালন করিতে পারিতেছেন না। সুতরাং তিনি যে, দ্বিতীয় অঙ্কের ঘটনার যে সময় নির্দিষ্ট হইতে পারে, তাহার পরেও চার-পাচ-দিন বা তাহার অপেক্ষ কিছু অধিক দিন ছিলেন, এরূপ অনুমান বোধ হয় অমূলক হইবে না। দ্বিতীয় অঙ্কের ঘটনার পর দুষান্ত তপোবনে চার-পাচ-দিন বা তাহীর অতিরিক্ত যে কয়দিনই থাকুন না কেন, ঐ সময়েই শকুন্তলার সহিত র্তাহার পুনঃসাক্ষাৎ এবং গান্ধৰ্ব্ববিবাহাদি সম্পন্ন হয় । তৃতীয় অঙ্কে আমরা দেখিতে পাই, বিরহকাতরা শকুন্তলার . অত্যন্ত অম্বন্থ শরীর। এই অসুস্থতার কারণসম্বন্ধে প্রিয়ংবদা, অনস্বয়া এবং রাজার সন্দেহ উপস্থিত হইতেছে। রাজা ঠিক বুঝিতে পারিতেছেন না, গ্রীষ্মই শকুন্তলার অমুখের কারণ অথবা প্রেমই উহার কারণ। অবশেষে রাজা বলিলেন – - *সমস্তাপঃ মনসিজমিদাষপ্রসরয়ো- © ন তু গ্রীষ্মস্তৈৰং স্বভগমপরাদ্ধং যুবতিষু।" কল্প এবং গ্রীয় এ উভয়েরই তাপ छूणा, কিন্তু যুবতিদিগের পক্ষে নিদাঘতাপ এরূপ রমণীয়তা উৎপাদন করিতে পারে না।” গ্রীষ্মকাল ন হইলে গ্রীষ্মজনিত অস্বস্থ শরীরের কথা রাজার কখনই মনে হইত না । অতএব দ্বিতীয় অঙ্কের ঘটনার পর চার-পাঁচ-দিন বা সপ্তাহের মধ্যেই তৃতীর অঙ্কের ঘটনা পরিসমাপ্ত হইয়াছিল, এবং উল্লিখিত গ্রীষ্মই ৷ উক্ত অঙ্কের ও পরিসমাপ্তির কাল । তৃতীয় অঙ্ক হইতে চতুর্থ অঙ্কের आब्रडস্থিত বিষ্কম্ভকের অন্তর কত, তাহ স্থির করিয়া বলিবার উপায় নাই। এই বিষ্কম্ভকে সখীদ্বয়ের মুখে প্রকাশ, রাজা হস্তিনায় চলিয়া গিয়াছেন, শকুন্তলা সদাই শূন্তমনা,— অমুক্ষণ কেবল দুৰ্য্যন্তের চিন্তা লইয়াই আছেন। এস্থলে শকুন্তলায় এই অসহ বিরহবেদনা—এই তদগতচিত্ততা সপ্তপ্রবৃত্ত বলিয়াই মনে হয়। তা ছাড়া আরও একটি কথা আছে। ষষ্ঠ অঙ্কে শকুন্তলা-বিরহ-কাতর দুষ্যস্ত অভিজ্ঞানস্বরূপে অঙ্গুরীয়কপ্রাপ্তির পর নষ্টস্মৃতি লাভ করিয়া বলিতেছেন – “পশ্চাদমাং মুদ্রাং তদস্কুলে নিবেশয়তা ময় প্রত্যভিহিত!— “gरैककभल्ल रुिप्ण रिरुप्म भौझ९ নামাক্ষরং গণয় গচ্ছসি যাবদন্তমূ। তাবৎ প্রিয়ে মদবরোধগৃহপ্ৰবেশং নেত। জনস্তব সমীপক্ষপাতীত: তার পর প্রত্যুত্তরে এই অঙ্গুরীর্ষক তাহার ( শকুন্তলার) অঙ্গুণুিতে পরাইতে পরাইতে বলিলাম—এই অঙ্গুরীয়কে আমার ষে নামাক্ষর আছে, এক একটি দিনে তাহার