পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w88 বঙ্গদর্শন । [২য় বর্ষ, চৈত্র। সব কৃতকৰ্ম্ম কৰ্ম্মনাশার জলে ছড়িয়া ফেলিয়া—এস, আমরা একদিন শ্রাবণের শেষরাত্রে বিলকুল নিৰ্ম্মল হইয়া মরিয়া, চিছুমাত্রে নিরুদ্দেশ হইয়। যাই । কেহ শোক করিবার না থাকুক, কেহ সাত্ত্বনা দিবার না থাকুক, সংবাদপত্র ও তাহার थबङ्ग •र्षाख् दिनूॐ श्ब्रां याखेक-दिब्राहे তুহিন শু,প যেখানে বিগলিত-কলেবরে মহানন্দে তরঙ্গ ফুলাইয়া চলিয়াছে, সেই উত্তরসমুদ্র হইতে আরম্ভ করিয়া—বিন্ধ্যআদিস-ককেশস-হিমালয়ে, গোবী-সাহারআরবে, উজ্জ্বলনীল মার্কিন পাম্পাসে, ভারতের শুামহরিৎ বনবিস্তারে,—দ্বীপ হইতে দ্বীপে,—অস্তরীপ হইতে অন্তরীপে—সমুদ্র ডিঙাইয়া, পৰ্ব্বত উৎরাইয়া—শস্তুর বিরাটু জনহীনতা এক শ্রাবণদিনে, কৃষ্ণপক্ষীয় শেষরাত্রে, মামুষের সমস্ত দুর্গ ভাঙিয়া, সমস্ত পরিখা ভরাটু করিয়া ফেলিয়া আপনার বিজয়পতাকা উডডীন করিয়া দিকৃ— সমস্ত অধিকার করির লউক । পৃথিবীর বিজনভার মধ্যে মানুষ কতটুকু স্থান জুড়িয়া আছে ? ব্রিটিশ তারতে চন্দননগর –ততটুকুও নয়। মানুষ ভাহার কর্তা কৰ্ম্ম-ক্রিয়ী-শৃঙ্খলিত ভাষায় কতটুকু আকাশকে মুখরিত করিয়াছে ?—অতি সামান্ত ! মামুযদানব পরশুরামের মত কুড়ালি লইয়া, পাগলের মত ভাঁহার চারিদিকে ক্লোপাইতেছে—তবু এই অসীম বিজনতার মধ্যে যদি ইঞ্চিভোর পথ খুড়িয়৷ উঠিতে পারিল ! হে বিরূপাক্ষ, তোমারি সঙ্গী বেতালগণু চারিদিকে পাহায়া দিতেছে। উত্তরের আয়ত তুষারাসনে বিপুল শুভ্রকায় তোমার ননী স্বস্ত্যয়ন করিতে বসিয়াছে,— সমুদ্রের অতলতায় গুপ্ত থাকিয় লক্ষলক্ষ ੇ নিঃশব্দে প্রবালমুকুতায় ভাণ্ডার পরিপূর্ণ করিয়া তুলিতেছে, অন্ধকার-গিরিগুহার বসিয়া কৃষ্ণকায় ভৃঙ্গী আপন-মনে শৃঙ্গবাদন করিতেছে ; মরুভূমিতে তোমারি রক্তচন্দনচর্চিত রক্তচক্ষু পুরোহিত মৌন হইয়া বসিয়া আছে—এবং বনে বনে তোমারি গৌরীর তরুণী সখীগণ চাপল্যে, গীতে, খেলায়, বেদনায়, ঋতুৎসবে নিজ নিজ হৃদয়ের বিচিত্রত বিকশিত করিতেছে । ইহারি মধ্যে স্থানে স্থানে ইটের উপর ইট তুলিয়া তাহার ফুকরে ফুকরে মানুষ আশ্রয় লইয়াছে ! হে শস্তু, একটিমাত্র আঙুলের আগয় তোমার ভাঙেভিজান বস্ত্রখানি ধরিয়া, তুমি একমুহূর্বে সমস্ত লেপিয়া-মুছিয়া লইতে পার। একটি প্রান্তরে একটি ভাঙা কুটার। গৃহস্থ মরিয়া নির্মুল হইরা গিয়াছে, এখনো জীর্ণ গৃহটি দাড়াইয়া আছে । ভাঙা-ঘরগুলির উপরে ঝড়বৃষ্টি দুৰ্দ্দমবেগে হানিয়া আসিল । ঐ মেঘলবর্ষ যে ভাহার লক্ষ জলতন্ত্রীতে বিদ্যুতের মেরজাপ মারিয়া সেতার বাজাইয়া আসিয়া ধরণীর বুকের মধ্যে প্রবেশ প্রার্থনা করিতেছে—ঐ ভাঙা কুটারটাই তাহার একমাত্র বাধা। কে ছাড়িয়া গিয়াছে—কা’র স্মৃতি প্রাণে লইয়া এ গৃহ শীর্ণ হইরা যাইতেছে --বর্ষা এবং ধরণীর মিলনোৎসুক বক্ষ-দুটির মধ্যে একটা উদ্বেগের মত ঐ ঘরটা দাড়াইয়া আছে । উহাকে ভাঙিয়া সমান করিয়া দাও ! সেইরূপ, সেই শ্রাবণরাত্রির প্রভাতে মাছবের চিচুমাত্র না থাকুক !