পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-প্রসঙ্গ । সহজ হওয়াই উচিত। যে বিষয়টা সাধারণের অপরিচিত • স্বভাবতই ছক্কছ- তাহার ভাষাকেও যদি নীরস দুৰ্ব্বোধ করিয়! তোল} বায় তবে নিতান্তই হতাশ হইয়া পড়িতে ছয় । অবৈজ্ঞানিক মাসিক পত্রে পাঠকদিগকে যেরূপ ভোজ দিবার রীতি তাহাতে এরূপ কড়া জিনিষ তাহারা আশাই করে না এমন স্থলে নিঃশঙ্কচিত্ত পাঠকের পাতে এত বড় উপদ্রব নিরীহ জামাতার প্রতি শ্বশুরান্তঃপুরের কঠিন কৌতুকের মত হইয়া পড়ে,–কিন্তু সেরূপ কৌতুক শ্বশুরালয়ে ८सभन गश् झ्म्न श्रछख ८ङमन इग्न न । লেখক মহাশয় সেন্ট পীটাল ও সেন্ট ফুগাল ফোস্কে কেন্দ্রাভিসারিণী ও কেন্দ্রাপগামিনী শক্তি বলিয়াছেন কেন্দ্রানুগ এবং কেন্দ্রাতিগশক্তি আমাদের মতে সংক্ষিপ্ত ও সঙ্গত। খ্রযুক্ত হরিসাধন মুখোপাধ্যায়ের সাহাজানের দৈনিক জীবন প্রবন্ধটি মনোহর হইয়াছে। সাহিত্য-সংহিতা । চৈত্র। ত্রযুক্ত বীরেশ্বর পাড়ে জাতীয় সাহিত্য প্রবন্ধে আধুনিক ভারতবর্বীয় তাবীগুলিকে সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়মমত চুলিতে উত্তেজনা করিস্থাছেন। তিনি বলেন, নচেৎ অদশের ঐক্য থাকে না। তিনি বলেন, “কেন চট্টগ্রামবাসী নবদ্বীপবাসীর ব্যবহৃত অসংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করিতে বাধ্য হইবে ?” আমরা বলি, েহ ত জবরদস্তি করিয়া বাধ্য করিতেছে ন}৮ স্বভাবের নিয়মে চট্টগ্রামবাসী আপনি বাধ্য হইতেছে। নবীনচন্দ্র সেন মহাশয় তাহার কাব্যে চট্টগ্রামের প্রাদেশিক প্রয়োগ ব্যবহার না করিয়া নবদ্বীপের প্রাদেশিক প্রয়োগ 地创 वावशब कब्रिग्रांप्इन । उाशञ्च बिगझैौड করিবার স্বাধীনতা তাছার ছিল কিন্তু নিশ্চয়ই কাব্যের ক্ষত্তি আশঙ্কা করি। সেই স্বাধীনতাস্থখ ভোগ করিতে ইক্ষ্ম করেন নাই। সকল দেশেই প্রাদেশিক প্রয়োগের বৈচিত্ৰ্য আছে, তথাপি এক একটি ৰিশেষ প্রদেশ ভাষাসম্বন্ধে অন্যান্ত প্রদেশের উপর কর্তৃত্ব করিয়া থাকে। ইংরাজি ভাষ{ লাটিন নিয়মে আপনার বিশুদ্ধি রক্ষা করে না। যদি করিত তবে এ ভাষা এত প্রবল এত বিচিত্র এত মহৎ হইত না । ভাষা সোনা রূপার মত জড়পদার্থ নহে যে তাহাকে ছাচে ঢালির—তাহ সজীব । তাছা নিজের অনিৰ্ব্বচনীয় জীবনীশক্তির নিয়মে গ্রহণ ও বর্জন করিতে থাকে। সমাজে শাস্ত্র অপেক্ষা লোকাচারকে প্রাধান্ত দেয় । লোকচারের অসুবিধ অনেক, তাহাতে এক দেশের আচারকে অন্ত দেশের অচিরে হইতে তফাৎ করিয়া দেয়-তা হউক, তবু লোকাচারকে ঠেকাইবে কে ? লোককে ন মারিয়া ফেলিলে লোকাচারের নিত্য পরিবর্তন ও বৈচিত্র্য বেহ দূর করিতে পারে না। কৃত্রিম গাছের সব শাখাই এক মাপের করা যায় সজীব গাছের করা যায় না । ভাষার ও লোকচার শাস্ত্রের অপেক্ষ বড়। সেই জন্যই আমরা “ক্ষান্ত” দেওয়া বলিতে লজ্জা পাই না । সেই জন্যই ব্যাকরণ যেখানে * আবশ্যকতা” ব্যবহার করিতে বলে আমর। সেখানে “আবশুক” ব্যৰঙ্গর করি । ইকাতে ংস্কৃত ব্যাকরণ যদি চোখ রাঙাইয়া আগে, লোকাচারের হুকুম দেখাইয়া আমরা তাহাকে উপেক্ষা করিতে পারি।