পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 বঙ্গদর্শন। নহে । তাহ অদ্যায় অবিচার ও মিথ্যার দ্বারা আকীর্ণ এবং তাহার মজ্জার মধ্যে একটি ভীষণ নিষ্ঠুরতা আছে। এই ন্যাশনাল আদর্শকেই আমাদের আদশরূপে বরণ করাতে আমাদের মধ্যেও কি মিথ্যার প্রভাব স্থান পায় নাই ? আমাদের রাষ্ট্ৰীয় সভাগুলির মধ্যে কি নানাপ্রকার মিথ্যা, চাতুরী ও আত্মগোপনের প্রাচুর্ভাব নাই ? আমরা কি যথার্থ কথা স্পষ্ট করিয়া বলিতে শিখিতেছি ? আমরা কি পরস্পর বলাবলি করি না যে, নিজের স্বার্থের জন্ত যাহা দূৰণীয়, রাষ্ট্রীয় স্বার্থের জন্ত তাহা গৰ্হিত নহে। কিন্তু আমাদের শাস্ত্রেই কি বলে না ?-- ধৰ্ম্ম এব হতে হস্তি ধৰ্ম্মে রক্ষতি রক্ষিতঃ । তস্মাৎ ধৰ্ম্মে ন হস্তব্যে। ম। নো ধৰ্ম্মে হতে বধীৎ ॥ [ 'खार्ष्ट বস্তুত প্রত্যেক সভ্যতারই একটি মূল আশ্রয় আছে । সেই আশ্রশ্নটি ধৰ্ম্মের উপর প্রতিষ্ঠিত কি না, তাহাই বিচাৰ্য্য। যদি তাহ। উদার ব্যাপক না হয়, যদি তাহা ধৰ্ম্মকে পীড়িত করিয়া বৰ্দ্ধিত হয়, তবে তাহার আপাত উন্নতি দেখিয়া আমরা তাহাকে যেন ঈর্ষ এবং তাহাকেই একমাত্র ঈপ্সিত বলিয়া বরণ না করি । আমাদের হিন্দুসভ্যতার মূলে সমাজ, যুরোপীয় সভ্যতার মূলে রাষ্ট্রনীতি। সামাজিক মহত্ত্বেও মানুষ মাহাত্ম্য লাভ করিতে পারে, রাষ্ট্রনীতিক মহত্ত্বেও পারে । কিন্তু আমরা যদি মনে করি, যুরোপীয় ছাদে নেশন গড়িয়া তোলাই সভ্যতার একমাত্র প্রকৃতি এবং মনুষ্যত্বের একমাত্র লক্ষ্য, তবে আমরা ভুল বুঝিব। খুশ রোজ। -^: (....డ , స్లొ মোগল বাদশাহুদিগের আমোদ-প্রমোদের মধ্যে খুশরোজ ও নওরোজা পৰ্ব্ব একটি প্রধান। পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব বাদশাহদিগের সময় বিভিন্ন আকারে ইহা প্রচলিত থাকিলেও, সম্রাট কুলগৌরব সুৰ্য্যোপাসক আকৃবরশাহ ইহাতে আমোদের সঙ্গে ধৰ্ম্মের একটুখানি সম্বন্ধ স্থাপন করিয়াছিলেন ও র্তাহার রাজ্যত্ব কালেই ইহা অত্যন্ত আড়ম্বরের সহিত সমাধা হইত। নববর্ষের প্রারম্ভে আমীর-ওমরাহদিগকে নিমন্ত্রিত করিয়া ভোজ দে ওয়া একটি প্রাচীন প্রথা বটে; কিন্তু সম্রাট, আকবর এই প্রথার সহিত পারসীকদের হুর্য্যোপাসনার যোগ করিয়া দিয়াছিলেন। প্রতিবৎসর বৈশাখের প্রথমদিনে সুৰ্য্য যখন