సిy জাত,--এইজন্ত উক্ত পদার্থদ্বয়ের ধৰ্ম্মের পার্থক্য দেথা যায়। জীবনী শক্তির এই রাসায়নিক মতবাদ প্রচারিত হইবামাত্র, নানাদেশীয় রসায়নবিদগণ কৃত্রিম উপায়ে কোষসামগ্ৰী প্রস্তুতের সম্ভাবন কল্পনা করিয়৷ সোৎসাহে নান। পরীক্ষা করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন । জগদ্বিখ্যাত অধ্যাপক হক্সলি ইহাদের নেতা ছিলেন। আবার এই সমরে কৃত্রিম উপায়ে ইউরিয়া, ফরমিক এসিড ও নীল প্রভৃতি কয়েকটি জৈবপদার্থের প্রস্তুতপদ্ধতি অাবিস্কত হওয়ায়, পণ্ডিতগণের উৎসাহ যেন আরো বুদ্ধি পাইয়াছিল । সেই সময়ে তাহারা বলিতেন, জলের তরলত। প্রভৃতি ধৰ্ম্ম যেমন তাহার আণবিক বিদ্যাস ও রাসায়ুনিক অবস্থার দ্বার প্রকাশ পায়, সেই প্রকার কোষসামগ্রীর জীবনী শক্তিটাও রাসায়নিক অবস্থারই ফলমাত্র । বারুদ প্রভৃতি সহজবিশ্লেষণীয় (unstable) যোগিক পদার্থ সাধারণতই যেমন উত্তেজনধৰ্ম্মসম্পন্ন এবং যেমন সেগুলি অত্যঙ্গ-তাপাদি-সংযোগে গতিশীলতা প্রভৃতি বিশেষ বিশেষ শক্তিসম্পন্ন হইয়। পড়ে, কোষসামগ্ৰীটা ও তদ্রুপ একটি সহজ-উত্তেজনশীল পদাৰ্থ, এবং ইহার সঞ্জাবতী-ধম্মট অগ্নিসংযুক্ত বারুদের কার্য্যের অনুরূপ । হক্সলি-প্রমুখ পুৰ্ব্বোক্ত পণ্ডিতগণ উল্লি বঙ্গদর্শন। [ छार्छ খিত বিশ্বাসে চালিত হইয়া কৃত্রিম কোষসামগ্ৰী প্রস্তুত জন্য প্রায় কুড়ি বৎসর অবিশ্রাস্ত পরিশ্রম করিয়াছিলেন। ভ্রান্ত বিশ্বাস অনেক সময়ই মানুষকে অন্ধ করিয়া রাখে, কিন্তু এখানে ভ্রান্ত-বিশ্বাস-প্রণোদিত হইয়া নান। পয্যবেক্ষণ করিতে করিতে, পণ্ডিতগণ ক্রমেই তাহাদের পুৰ্ব্ববিশ্বাসে অনাস্থাবান্ হইতে আরম্ভ করিয়াfছলেন এবং সৌভাগ্যক্রমে এই সমরে একটি উৎকৃষ্ট অণুবীক্ষণ নিৰ্ম্মিত হওয়ায়, তস্থার কোষসামগ্রী পরীক্ষা করিয়৷ তাহার রাসায়নিক শক্তি ও জীবনী শক্তি যে এক নয়, তাহা ইহার বেশ বুঝিতে পারিয়াছিলেন । এখন জীবতত্ত্ববিদ্ পণ্ডিতমাত্রেই বলিয়া থাকেন, জীবদেহের নান৷ অংশের কায, যেমন কতক গুলি সুগঠিত ঘস্থ দ্বারা সম্পন্ন হইয় থাকে, কোষসামগ্রীর সজীবতা ও সেই প্রকার তন্মধ্যস্থ অতিসুগ্ম আণুবীক্ষণিক ঘন্ত্রের সাহায্যে সাধিত হয় । জীবনা ক্রিয়া যান্ধিক, রাসায়নিক নহে । কোষসামগ্ৰীস্থ পুরোক্ত অতিক্ষুদ্র যন্ত্র সংস্থান কি প্রকারের, এবং কি পদ্ধতিক্রমে যে তাহদেয় কায্য চলিতেছে, জীবতত্ত্ববিদ্গণ অদ্যাপি তাহ সম্পূর্ণ আবিষ্কায় করিতে পারেন নাই, এবং শীঘ্ৰ যে জীববিজ্ঞানের এই মূলতত্ত্বটি আবিষ্কৃত হইবে, তাহারও লক্ষণ বড় দেখা যাইতেছে না । শ্রীজগদানন্দ রায় ।