পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘদূত। অধিক ব্যবহারের অতিপরিচয়ে নুতন জিনিষ পুরাতন হইয়া যায়। ভোrগর বাহমূৰ্ত্তি তরুণ, কিন্তু সে যাহাতে হাত দেয়, তাহা জীর্ণ হইতে থাকে । সে আগুনের মত ; যতক্ষণ স্পর্শ না করে ততক্ষণ নিজের দীপ্তিতে উজ্জল করিয়া তোলে, স্পর্শ করিলে কালো করিয়া দেয়,--ছাই করিয়া ফেলে। তেমনি আবার ব্যবহারের পরিচয়ে যথার্থ পুরাতনের পুরাতন মূৰ্ত্তি ঢাকা পড়িয়া যায় । যাহাকে প্রত্যহ ভোগ করিতেছি সে যে বহুযুগের, সে যে আমার ভোগের অতীত, ভোক্তারূপে আমি তাহার চেয়ে যে বড় নহি, সে যে মামাকে ছাড়াইয়। দুৰ্গম অতীতকালের দিকে অদৃশ্য হইরা গেছে, এ কথা আমাদের মনে লয় না । ইহার কারণ এই, পুরাতনের যে দিক্‌টা আমার নহে, যে দিক্‌টা আমি পাই নাই, যে দিক্‌টা বস্তুত পুরাতন, সে দিকটাকে গণ্যই করি না ; যাহা আমার ভোগে আসিয়াছে, তাহাই আমাকে আটক করিয়াছে । ধে অংশ পাইয়াছি, আমাদের পক্ষে তাহাই নিশ্চয়, তাহাই অত্যস্ত বৰ্ত্তমান ; লাভ করিয়া যে তৃপ্তি ও শ্রান্তি, তাহাতেই আমাদিগকে একটা সীমার মধ্যে নিরস্ত করিয়া রাখে ; যাহা পাইলাম, তাহা অপেক্ষ আরো কিছু আছে, ইহা মনে করিতে মনের আর উদ্যম থাকে না। ভোগের দ্রব্য শেষ হইতে ন হইতে আমাদের ভোগ শেষ হইয়া যায় । এই জন্য ভর্তুহুরি বলিয়াছেন, “ভোগ৷ ন ভুক্ত বয়মেব ভুক্তাঃ ” ভোগের দ্রব্যসকল যে ভুক্ত হইতেছে, তাহা নহে, আমরাই ভুক্ত হইতেছি i আজ এই কথা বিশেষ করিয়া মনে উদয় হইল, আকাশে আষাঢ়ের ঘন মেঘ দেখিয়া । ভাবিতেছিলাম, প্রৌঢ়ের চক্ষে পৃথিবী পুরাতন হইয়া আসিয়াছে । যৌবনে মনের মধ্যে যখন ভাবের আবেশ ছিল, তখন পৃথিবী নববধূর মত সাজিয়া থাকিত ; তখন তাহার ও আমার মধ্যে হৃদয়ে হৃদয়ে স্পশ, অথচ একটি আরক্ত অবগুণ্ঠনের ম স্তরাল ছিল । এখন ভোগের অবসানে, কাজের সম্পকে, প্ৰগলভ গৃহিণীর মত পৃথিবী তাহার ঘোমটা ঘুচাইয়া ফেলিয়াছে ; মনে হইতেছে তাহাকে আমি বেশ করিয়া জানি, সে আমার মুখ-দুঃখ লাভ-ক্ষতির জীর্ণ ভিত্তির দ্বারা বেষ্টিত পৃখিবা । সে আমার অন্তঃপুরের চিরপুরাতন পরিচিত । আবার অার এক রকম কল্পিস্থা বল। যায়, পৃথিবী যে চিরপুরাতন, সে কথা জার মনে হয় না। পৃথিবী যেন আমারই দ্বারা वक । cयोद८न निrछब्र अश्रु शृोझे नांहे, १मां८ब्रव्र७ अछ हिंण ना । उषन, बांमि कि যে হইব, না হইব, কি করিতে. পারি, না পারি, কাজে, ভাবে, জয়ভাবে আমার ७थकृछिब्र cनोफ कठपूछ, छांश निर्किहे इब