পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૧8 বঙ্গদর্শন । { অগ্রহায়ণ । হইয়া যায়। সন্ধ্যাগমে ক্রমে সকলে গৃহাভিমুথে যাত্রা করেন। ভান্দ্রের প্রথম উৎসব জন্মাষ্টমী। ভান্দ্রের কৃষ্ণাষ্টমীতে শ্ৰীকৃষ্ণ রজনীয় নিশীথকালে শ্ৰীবৃন্দাবনের নন্দগৃহে যশোদার ক্রোড়দেশ আলোকিত করিয়াছিলেন। “জন্মাষ্টমী’ সেই শ্ৰীকৃষ্ণজন্মের উৎসব। নিশীথরাত্রি পর্য্যন্ত অল্প লোকই জাগিয়া থাকেন ; স্বতয়াং জন্মবিষয়ক সঙ্গীতের মাধুরীতে ভক্তবিশেষেরাই মগ্ন হন । পঞ্চামৃত, চরণামৃত এবং নানাবিধ মুখরোচক-প্রসাদম্বধাও কাজেই সকলের ভাগ্যে ঘটিয়া উঠে না । পরদিন প্রভাতে নারীগণ আসিয়া যশোদার স্থান অধিকারপূর্বক কৃষ্ণলাভের আনন্দসঙ্গীতলহরীতে অন্তঃপুর ঝঙ্কৃত করিয়া তোলেন । পুরুষসম্প্রদায় থোল-করতালসংযোগে কৃষ্ণ-জন্মানন্দ-বিভোর নন্দের আনন্দগাথা গাহিয়া মত্ত হইয়া উঠেন । নন্দোৎসব শেষে পঙ্কোৎসবে পরিণত হইয়। যায় এবং সমস্ত পল্লীপথ ও পল্লীনিবাস উৎসবমত্তগণের সমৃত্য সঞ্চরণে কম্পিত হইয়া উঠে। রাধাষ্টমী-তালনবমীতে তেমন কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনার কথা মনে হয় না। কিন্তু তালের পিষ্টকাদি ভাদ্রমাসের একটা প্রধান অঙ্গ। ভাদ্রমাসে প্রতি বাড়ীতেই তালের পিষ্টকাদি ভক্ষণের যথেষ্ট উদ্যোগ হইয়া থাকে। পরস্পরের নিমন্ত্রণ-আমন্ত্রণও খুব চলে। এই উপলক্ষ্যে অন্তান্ত খাদ্যও রসনার তৃপ্তিসম্পাদন করিয়া থাকে। একটা প্রবাদ আছে, ভাদ্রে তালতক্ষণ করিলে সৰ্পভয় থাকে না । তজ্জন্তই তালের পায়স পিষ্টকাদি পরিপাক করিতে খিনি অসমৰ্থ, র্তাহাকেও কিঞ্চিৎ তালযোগ করিয়া সৰ্পভয়৷ বারণ করিতে হয়। উল্লিখিত প্রদেশে ভাদের শেষদিনে প্রদেশাস্তরের অরন্ধনের পরিবর্তে অগস্ত্যমুনির পূজা প্রচলিত। প্রতি হিন্দুগৃহেই তাহা হইয়া থাকে। এই পূজায়, দশ-বার-দিন পূৰ্ব্বে কাঠের পিড়ে বা আর কিছুতে কাদার ছোট ছোট ক্ষেত্র করিয়া তাহাতে ধান, মুগ,অরহর, তিল, তিসি প্রভৃতি শস্তবীজ ভাগে ভাগে রোপণ করা হয় । দুই-চারি-দিনেই তাহ অঙ্কুরিত হইয়া বাড়িতে থাকে । সেগুলিকে ‘জালা’ কহে । পুজার দিনে সেই বিচিত্র ‘জালা’ কুম্ভকারনিৰ্ম্মিত অগস্ত্য-লোপামুদ্রার যুগলমূৰ্ত্তির চারিদিকে সাজাইয়া দেওয়া হয় । নয় প্রকারের তরকারি অপক অবস্থায় পাশ্বে রক্ষিত থাকে । সম্ভবত এই সকল তাহার চিরপ্রস্থানের পথের সম্বল। ফলমূল সজ্জিত করিয়া ধূপদীপনৈবেদা দিয়া মুনিদম্পতির অর্চনা করা হয়। অরন্ধন ঐ দেশে নাই বটে, কিন্তু প্রকৃতপ্রস্তাবে সেইদিনকার মধ্যাহ্র অধিকাংশেরই অগস্ত্যপ্রসাদভক্ষণে কাটিয়া থাকে। শক্ত, তাহার প্রধান অংশ। কেন না, মুনিদম্পতি নিতান্তই বৃদ্ধ। সাধারণ ভাষায় সেইজন্যই ●हे शूखांब नाम ‘बूफ़ाइं-दूऊँौञ्च शूख' । শাফ লার মালা ও অলঙ্কার “বুড়াই-বুড়ীপুজা’য় যথেষ্ট ব্যবহৃত হইয়া থাকে। তরকারির পাশ্বেও শাফ লা-শাক শোভা পায় । ক্রমে শরতে মেঘনিযুক্ত নবরবির হরিদ্রাবর্ণ উজ্জ্বল কিরণে প্রকৃতির শাস্ত অঙ্গ