পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৪০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8е е বঙ্গদর্শন । [ পৌষ। হইল। তাড়াতাড়ি আলো নিবাইয়। ঘরের প্রবেশদ্বার বন্ধ করিল, তাহার উপরে শাসি व'नःिश्ा निग-4द१ गभश्च न। श्डं বিছানার মধ্যে গিয়া গুইয়া পড়িল । এও ত সে পুরাতন বিছানা নহে! চারপাঁচখান তোষকে শয্যাতল পূৰ্বের চেয়ে অনেক নরম । আবার একটি গন্ধ— সে অগুরুর, কি খসখসের, কি কিসের ঠিক বুঝা গেল না! মহেন্দ্র অনেকবার এপাশ ওপাশ করিতে লাগিল—কোথাও যেন পুরাতনের একটা কোন নিদর্শন খ,জিয়া পাইয় তাহা অাঁকড়াইয়া ধরিবার চেষ্টা । কিন্তু কিছুই হাতে ঠেকিল না । রাত্ৰি নটার সময় রুদ্ধ দ্বারে ঘা পড়িল । বলিয়া মহেন্দ্র তাড়াতাড়ি উঠিয়া পুন বার বিছানার মধ্যে গিয়া গুইয়া পড়ি এবং অন্তৰ্হিতা আশার স্মৃতিকে শূন্তশয ও চঞ্চল হৃদয়ের মধ্যে অন্ধকারে খুজিয় বেড়াইতে লাগিল । ঘুম যখন কিছুতেই আদিতে চায় না, তখন মহেন্দ্র বাতি জালাইয়া দোয়াত-কলম লইয়। আশাকে চিঠি লিখিতে বসিল লিখিল,—“আশা, আর অধিকদিন আমাকে এক ফেলিয়। রাখিয়ে না! আমার জীবনের লক্ষ্মী তুমি,—তুমি না থাকিলেই আমার সমস্ত প্রবৃত্তি শিকল ছিড়িয় আমাকে কোন দিকে টানিয়া লইতে চায়, বুঝিতে পারি না ! পথ দেখিয়া চলিব, বিনোদিনী বাহির হইতে কবির-"ক্ষa oয়র জালায়ন্ত্রিণায়-সে আলো তোমার <ref>r মশারিতে খুলিবার জন্য মহেন্দ্র ধড়ফড় । করিয়া উঠিয়া শাসির অর্গলে হাত লাগাইল। কিন্তু খুলিল না—মেজের উপর উপুড় হইয়৷ লুটাইয়া কহিল—“ন, না, আমার ক্ষুধা নাই, श्रांभि थाहेद मां !” “ বাহির হইতে উদ্বিগ্নকণ্ঠের প্রশ্ন শোনা গেল—“অমুখ করেনি ত ? জল আনিয়া निव ? किठू कांहे कि ?” মহেন্দ্ৰ কহিল—“আমার কিছুই চাই না —কোন প্রয়োজন নাই !” বিনোদিনী কহিল—“মাথা খাও, আমার কাছে ভাড়াইয়ে না । আচ্ছা অসুখ না থাকে ত একবার দরজা খোল।” । মহেন্দ্র সবেগে বলিয়া উঠিল—“না খুলিব ना, किङ्कप्ङऐ मां ! छूभि यां७ !” "ം ും বিশ্বাসপূর্ণ দুটি চোখের প্রেমস্নিগ্ধ দৃষ্টিপাতে! তুমি শীঘ্র এস, আমার শুভ, আমার ধ্রুব, আমার এক ! আমাকে স্থির কর, রক্ষা কর, আমার হৃদয় পরিপূর্ণ কর ! তোমার প্রতি লেশমাত্র অন্যায়ের মহাপাপ হইতে, তোমাকে মুহূৰ্ত্তকাল বিস্মরণের বিভাষিক হইতে, আমাকে উদ্ধার কর ।” এমনি করিয়া মহেন্দ্র নিজেকে জাশার অভিমুখে সবেগে তাড়না করিবার জন্য অনেক রাত ধরিয়া অনেক কথা লিখিল । দূর হইতে সুদূরে অনেকগুলি গির্জার ঘড়িতে ঢংঢং করির তিনটা ৰাজিল । কলিকাতার পথে গাড়ির শব্দ আর প্রায় নাই, পাড়ার পরপ্রাস্তে কোন দোতলা হইতে নটীকণ্ঠে বেহাগ-রাগিণীর যে গান উঠিভেছিল,সেওবিশ্বব্যাপিনী শাস্তি ও নিদ্রার মধ্যে একেবারে ডুবিয়া গেছে। মহেজ