পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৪২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नवभ-ज९थT । ] বাহী কদেশসঞ্জাতং কুকুমং পাণ্ডুরং ভবেৎ } কেতকীগন্ধযুক্তং তস্মধ্যমং সুক্ষকেশৱম্। কুঙ্কুমং পারসীকে স্বং মধুগন্ধি তদারিতম্। ঈষৎপাণ্ডুরবর্ণং তদধমং স্থলকেশরম্ ॥ এই সময়ে ইসলামের নবোথিত মহাশক্তি ধীরে ধীরে পশ্চিম সমুদ্র তীয়ে শক্তিসঞ্চয় করিতেছিল। ক্রমে তাহ যখন ভfর তদীমীয় সমুপrগত হয়, তখন ও ভারতবর্ষে মদনমহোৎসবের প্রাধান্য ছিল । অল বে রুণীকৃত ভার তবিবরণীতে তাহার পরি চয় প্রাপ্ত হওয়া যায় । তখন পর্ণ্য স্তু ও হোলীক হোলীতে পরিণত হয় নাই ! শ্ৰীপুরুষোত্তমদেবকত 'হারাবলী’ নামক সুবি খ্যাত শব্দকোষে ও হোলা ক{ বসন্তোৎসব নামেই ব্যাখ্যাত দেথিতে পা ওয়া যায়। মরাঠাভাষানিবদ্ধ কবিচরিত্র’-নামক গ্রন্থে পুরুবোহলদেব শালিপাইন-শকাদীয় চতুর্দশ শতকের কলিঙ্গাধিপতি বলিয়া পরিচিত। এই ‘তোলাকা’ শব্দ “হোলী ইতি ভাষা” বলিয়া দায় ভাগের টীকায় প্রথম ব্যfথা ত দেখিতে পাওয়া যায়। সুতরাং মুসলমানশাসন-সময়েই যে পুরাতন ছোলাক। আধুনিক হোলী হইয়া পড়িয়ছে, তাহাঁই সিদ্ধাস্ত কfরতে চয় । যাহা জাতীয়মহোৎসবরূপে দীর্ঘকাল প্রচলিত থাকে, তাহ সহসা তিরোহিত চষ্টতে পারে না । বৌদ্ধযুগের রথযাত্রা তিরোহিত হয় নাই ; রথারূঢ় বুদ্ধমূৰ্ত্তির পরিবর্তে নারায়ণবিগ্ৰহ আসন গ্রহণ করিমাছেন । মদনমহোৎসবেও এইরূপ ঘটিস্বাছে বলিরা বোধ হয়। মদনমহোৎসব পরাধীন জাতির মর্য্যাদারক্ষা করিতে মক্ষম। অবরোধ প্রথা ইহার সম্পূর্ণ প্রতি وية মদন-মহোৎসব। 8>C) কুল। সুতরাং মুসলমানশাসনের সঙ্কোচ এই মহামহোৎসবের প্রকৃতি কিয়ৎপরিমাণে পরিবর্তিত করিয়া দিয়াছে । পুরাকালে মদনপূজার সঙ্গে বিষ্ণুপূঙ্গা ও অনুষ্ঠিত হইত ; মদনপূজা অন্তর্হিত হইয়। বিষ্ণুপুঙ্গাই অবশিষ্ট রহিয়াছে। উভয় পূজারই বাহাঙ্গ একরূপ ছিল ; সুতরাং আবীর-কুঙ্কুম, নৃত্যগীত সম ভাবে প্রচলিত আছে ; কেবল যে উংসব রমণীমণ্ডলীর বিশেষ অধিকারে সীমাবদ্ধ ছিল, তfহ। পুরুযসমাজেই স্থানলাভ করির রমণীগণকে নৃত্যগীত দোলারোহণ হইতে ধীরে ধীরে অপস্থত করিয়া দিয়াছে। র্তাহীর অদ্যপি অবিীর-কুঙ্কুমের ছড়াছড়ি করেন ; কিন্তু তাহাতে মদনমহোৎসবের উন্মাদনৃত্যের অভাব । মদনমহোৎসব হোলীতে পরিণত হইবার পরে ও বহুকাল পর্যন্ত হিন্দুর সৰ্ব্ব প্রধান পর্ব বলিয়া মুসলমানদিগের নিকট পরিচিত ছিল । কোম্পানীবাহাদুরের শাসনসূচনায় “কলিকাত গেজেটে” যে ছুটির তালিকা মুদ্রিত হয়, তাহাতে ও দেখা যায় যে, অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ও হোলীর ছুটই সৰ্ব্বাপেক্ষা বড় ছুটি ছিল ;–ফুর্গোৎসব তাহার তুলনায় যেন কিছুই নয় । কাল ও অবস্তার পরিবর্তনে জনসমাজের আচার-ব্যবহারের স্থায় উৎসব-আনন্দের প্রকৃতি ও যে কতদূর পরিবর্তিত হইয়া যায়, ভারতবর্ষেয় ইতিহাসে তাহার প্রমাণের অভাব নাই । সেকালে যে সকল জাতীয় মহোৎসব প্রচলিত ছিল, সে সমস্তই বিলুপ্ত বা রূপান্তরিত হইয়া নূতন মহোৎসবের প্রচলন করিয়া দিয়াছে। ইতিহাসের অভাবে সনাতনবাদিগণ প্রচলিত