পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৪৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ՀԵ অকস্মাৎ পরাভব স্বরূপে আবিভূত হয়, তাহ ঝঞ্জার মত অন্তকে নষ্ট করে বটে, কিন্তু নিজের বিনাশকেও নিজেই বহন করিয়া আনে । কিন্তু এ তত্বে কাব্যের কোন প্রয়োজন ! কৰ্ম্মফলে কিসে ভাল হয়, কিসে মন্দ হয়, তাহা যে ভাবে ধৰ্ম্মশাস্ত্রের আলোচ্য, সে ভাবে কবির আলোচ্য নহে। বস্তুত ফলাফলের বিচারভার কবির উপর নাই। কবি বলিতেছেন, যখন, “শরদচন্দ্র, পবন মন্দ, বিপিনে ভরল কুসুমগন্ধ,” তখন বনের মধ্যে রাধিকাকে লইয়া শ্যামচন্দ্রের দুলিতে ইচ্ছা হইল। চিকিৎসক বলিতে পারেন, ইহার ফল ভাল নয়—শরৎকালের হিমে নিশ্চয় জর, এবং ইহার আরস্তে যতই মাধুর্য্য থাকুক, ইছার পরিণামে কুইনীনের তিক্তত!—কিন্তু সে বিচারে কবিকে ফিরাইতে পারে না । যতক্ষণ আকাশে শরৎচন্দ্র এবং বনে পুষ্পগন্ধ আছে, ততক্ষণ ম্যালেরিয়ার অtশঙ্কায় কাব্যের রসভঙ্গ হইবার কথা নাই । কালিদাসও ভাল প্রেম ও মন্দ প্রেম লইয়। ঐহিক বা পারত্রিক লাভ-ক্ষতির হিসাবে কোন আলোচনা উত্থাপন করেন নাই। বরঞ্চ তিনি যদি অসংযত প্রেমের অপঘাতমৃত্যু দেখাইয়া বিভীষিকায় তাহার কাব্য-নাটকের উপসংহার করিতেন, তাহা হইলেও এমন সন্দেহ হইতে পারিত যে, কবি বুঝি ভয় দেখাইর উপদেশ দিতে বসিরাছেন,– ওঝা যেমন অত্যাচার করিয়া शङ्गमर्भुन। ভূক্ত ছাড়ায়, তিনিও তেমনি প্রেমের ভূস্তকে मांब्रिग्रा ८थमाहेबांब श्रां८ब्रांथन कब्रिब्रां८छ्न। কালিদাস সে পথে যান নাই। ভালমদের বিচারভার তিনি শাস্ত্রকারের উপর রাখিয়াছেন এবং যে প্রেম সুন্দরতর, যে মিলনমাধুর্য্য সম্পূর্ণতর, তাহাকেই চরমে রাখিয়া তিনি তাহার কাব্যকে রসগৌরবে পূর্ণ कब्लिग्नtcछ्न । ইহার বিপরীত কারণেই টেনিসনের ‘প্যালাস অফ আর্ট কবিতাটি আমার কাছে অসম্পূর্ণ ও অতৃপ্তিকর ঠেকে। যে বিলাসী আপনার চারিদিকে সৌন্দর্যোর উপকরণ সঞ্চয় করিয়া নিরবচ্ছিন্ন সম্ভোগসুথে প্রবৃত্ত হইয়াছিল, তিনি তাহfর পরিণামফল বর্ণনা করিয়াছেন মাত্র । তিনি বলিয়াছেন, ঠিক তিন বৎসর পরে সেই বিলাসীর চিত্ত পীড়িত হইতে লাগিল, সৌন্দর্য্যচ্ছবি তাহার চারিদিকে বীভৎস হইয়া উঠিল । কিন্তু এ ত একটা সংবাদমাত্র । রোগের কারণ জন্মিবার কতদিন পরে রোগ জন্মে, এবং সে রোগ কতদিন পরে পূর্ণপরিণাম প্রাপ্ত হয়, ডাক্তার তাহার হিসাব দিয়া থাকেন। ভোগী তিন বৎসর মুখভোগ করিয়. চতুর্থ বৎসরে বিরক্তিবোধ করিল, তাহার কাব্যগত কারণ কি থাকিতে পারে ? এ থবর আমরা বিশ্বাস করিতেও পারি, না-ও করিতে পারি। কিন্তু কালিদাস এরূপ একটা সংবাদমাত্র দেন নাই । তিনি এমন কোন তত্ত্বকথার অবতারণা করেন নাই, যাহা প্রমাণের উপর নির্ভর করিয়া আমাদের বিশ্বাস বাজী করে। তিনি রসের পথে গিয়াছেন। তিনি সদ্যঃপাতী ফুলের উজ্জল সৌন্দৰ্য্যকে পরিপক