পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৪৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম-সংখ্যা । ] বাংলা ব্যাকরণ। 88Ꮍ জিজ্ঞান্ত এই যে, “বাদী” শব্দ যে প্রত্যয়যোগে "ঈ” গ্রহণ করিয়াছে, তাহাকে “ঈ”প্রত্যয় না বলিয়া “ইন্‌” প্রত্যয় কেন বলা হইয়াছে ? “ইন্‌”প্রত্যয়ের “ন’ট মাঝে মাঝে “বাসিন্‌” “বাসিনী” রূপে বাহির হইয় পড়ে বলিয়াই ত ! যদি কোথাও কোন অবস্থাতেই সে “ন” না দেখা যায়, তবু কি ইহাকে “ইন্‌”প্রত্যয় বলিব ? বাঙাচির ল্যাজ ছিল বটে, কিন্তু সে ল্যাজটা খসিয়া গেলে ও কি ব্যাংকে ল্যtঞ্জবিশিষ্ট বলিতে হইবে ? কিন্তু পণ্ডিতমশায় বলেন, সংস্কৃত “মানী”শব্দ ও ত বাংলায় “মানিন" श्ब्र न ! श्राभारनङ्ग বক্তব্য এই যে, কেহ যদি সেইভাবে কোথাও ব্যবহfয় করেন, তাহাকে কেহ একঘরে করিবে না, অন্তত “মানী”শব্দের স্ত্রীলিঙ্গে “মানিনী” হইয় থাকে । কিন্তু স্ত্রীবিদ্যালয়ের মসীচিহ্রিত বালিকাকে যদি “দাগিনী” বল বায়, তবে ছাত্রী ও ছ। করিয়া থাকিবে, তাহার পণ্ডিত ও টাকে হাত-বুলাইবেন। তখন বৈয়াকরণ পণ্ডিতমশায় উণ্টিয়া বলিবেন, "জাগ" কথাটা যে বাংলা কথা, ওটা ত সংস্কৃত নয়, সেই জন্ত স্ত্রীলিঙ্গে তাহার ব্যবহার হয় না। ঠিক কথা, যেমন বাংলায় বিশেষণশব্দ স্ত্রীলিঙ্গরূপ পরিত্যাগ করিয়াছে, তেমনি বাংলায় "ইন্‌”প্রত্যয় তাহার “নৃ" বর্জন করিয়া “ই”প্রত্যয় २ष्ट्रप्रitछ् । ভাল, একটি সংস্কৃত কথাই বাহির করা যাক ! “ভার”শষ সংস্কৃত। তবু আমাদৈর মতে “ভারি" কথায় বাংলা “ই”প্রত্যয় ९३बcिझ्, गरकृङ. “हेन्"अठाब्र श्ब नाहे । তাহার প্রমাণ এই যে, “ভারিণী নৌকা" লিখিতে পণ্ডিতমশায়ের কলমও দ্বিধা कप्रेि८ष। ऐशश्न काब्रन श्राद्र किळूई नब्र, “মানী” কথাটা প্রত্যয়সমেত সংস্কৃতভাষা হইতে লইয়াছি । কিন্তু "ভার” কথাটা আমরা সংস্কৃত হইতে পাইয়াছি, “ভারি" কথাট। পাই নাই,—আমাদের প্রয়োজনমত আমির। উহাকে বাংল। প্রত্যয়ের ছাচে ঢালিয়া তৈরি করিয়া লইয়াছি। "মাষ্টার” কথা আমরা ইংরাজি হইতে পাইয়াছি, কিন্তু “মাষ্টারি” ( মাষ্টার-বৃত্তি ) কথায় আমরা বাংলা “ই” প্রত্যয় যোগ করিয়াছি ; এই “ই” ইংরাজি mastery শব্দের y নহে। সংস্কৃত ছাদে বাংলা লিথিবীর সময় কেহ যদি “ভো স্বদেশন্‌” লেখেন, তাহাকে অনেক পণ্ডিত সমালোচক প্রশংসা করিবেন— কিন্তু কেহ যদি “ভে বিলাতিন্‌” লিথিয় রচনায় গাম্ভীৰ্য্যসঞ্চার করিতে চান, তবে ঘরে-পরে সকলেই হসিয়া উঠিবে। কেহ বলিতে পারেন,“বিলাতি’’ সংস্কৃত "ই”প্রত্যয়, “ইন” প্রত্যয় নহে। আচ্ছ, দোকান যাহার আছে, সেই “দো কানি’ কে সম্ভাষণকালে “দোকানিন” ও তাহার স্ত্রীকে “দোকানিনী” বলা যায় কি ? আর একটা দৃষ্টান্ত দিই। বাংলায় “রাগ”শব্দের অর্থ ক্রোধ। সেই “রাগ”শব্দের উত্তর “ই”প্রত্যয়ে “রাগি” হয়। কিন্তু প্রাচীন বৈষ্ণব-পদাবলীর কাল হইতে আজ পর্য্যস্ত পণ্ডিত অপণ্ডিত কেহই রু৪ গ্রীলোককে *রাগিণী” বলিয়া সম্ভাষণ করেন নাই । গোবিন্দদাস রাধিকার বর্ণনাস্থলে লিখিয়াছেন ঃ–