পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, পঞ্চমাংশ, উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, তৃতীয় খণ্ড).djvu/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রঙ্গের জাতীক্ষ্ম ইতিহাসন [ ৩য় অধ্যায়। ني!Cz স্থান হইতে কীৰ্ত্তনীরাগণ সঙ্কীৰ্ত্তন ও বাদ্য শিক্ষার জন্ত শ্ৰীপটি ময়নাডালে আসিতে লাগিলেন। এখনও তাহার এরূপ শিক্ষা পাইয়া থাকেন। হরেকৃষ্ণবল্লভ ঠাকুরের দেহাস্তের পর তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র ব্রজবল্লভ ঠাকুর অধিক সময় নির্জনে বসিয়া মহাপ্রভুকে ডাকিতেন ও প্রবাদ যে মহাপ্রভু তাহকে গান শিক্ষা দিতেন । ব্রজবল্লভ দৈনিক ভোগের পরিমাণ নির্দেশ করিয়া যান । দিবসে ভোগের জগু চাউল ১২ সের ও তদুপযোগী ডাল দুই প্রকার, শাক, ভাজা, ২/৩ প্রকার, গুক্ত, রসা বা নিরামিষ ঝোল, মোট ঝাল, পোস্তদানীর বড়, অম্বল ও পায়স । রাত্রে আধসের ময়দার লুচী, দুগ্ধ ১ সের, মিষ্টান্ন সস্তবমত । প্রাতঃকালে দুগ্ধ বা দধি সংযুক্ত চিড় ও চিনি, ছোলা ভিজ, মিষ্টান্ন ইত্যাদি এখনও ঐ নিয়মে সেবা চলিতেছে । পঞ্চাদি উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থা হইয়া থাকে। গীতবাস্তশিক্ষার জন্ত বহুদূর হইতে ছাত্র অসিয়া থাকে। তাহাদিগকে আহার ও থাকিবার স্থান দিতে হয়। অতিথিদিগের জন্ত মহাপ্রসাদের ব্যবস্থা আছে । ময়নাডাল হইতে তিন ক্রোশ পশ্চিম স্থিত বড়রা গ্রামের শুকদেবমিত্র রাজনগর রাজধানীতে কৰ্ম্ম করিতেন। কুষ্ঠব্যাধি হওয়ায় তিনি কৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া বাড়ী আসেন । কিন্তু কুৎসিত পীড়া হওয়ায় তাহার আত্মীয়বর্গ এমন কি স্ত্রী পুত্ৰ পৰ্য্যন্ত তাহকে ঘৃণার চক্ষে দেখিতে লাগিলেন । এজষ্ঠ তিনি গৃহত্যাগ করিয়া ময়নাডালে অসিয়া রাত্রিকালে মহাপ্রভুর প্রাঙ্গণে পড়িয়া থাকেন। ব্রজবল্লভ ঠাকুরের উপদেশানুসারে তিনি কিছু কাল তথায় থাকিয়৷ মহাপ্রসাদ ও চরণামৃত গ্রহণ ও প্রাঙ্গণে গড়াগড়ি দিবার পর সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করেন । নীরোগ হইয়া শুকদেব নিজ বাড়ী বড়রা গ্রামে না গিয়া রাজনগরে গমন করিলেন ও পূৰ্ব্ব পদে কৰ্ম্ম করিতে লাগিলেন। এক বৎসরের আয় হইতে তিনি ময়নাডাল গ্রামে গৌরাঙ্গসাগর নামে একটি পুষ্করিণী খনন ও পূৰ্ব্বদ্বারী শ্ৰীমন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয় দেন। তাহার পত্নী ও পুত্র তখন ময়নাড়ালে আসিয়া তাহাকে বাড়ী যাইবার জন্ত অনুরোধ করিলেন, কিন্তু তিনি সম্মত হইলেন না। পরে ব্রজবল্লভ ঠাকুরের আদেশানুসারে তাহীকে বাড়ী যাইতে হইল । শুকদেব মিত্রের বংশধরগণ এক্ষণে উক্ত বড়র গ্রামে বাস করিতেছেন। তাহার সঙ্গতিপন্ন পত্তনীদার এবং মহা প্রভুর সেবার জন্য অনেক সাহায্য করেন । সন ১৯৭২ সালে বৰ্দ্ধমানাধিপতি মহারাজ তিলকচাদ বাহাদুর বদ্ধমান জেলার অন্তর্গত সাগুর, বড়জুরি প্রভৃতি গ্রামে ২০°) বিঘা জমি দেবত্র দান করেন। ব্রজবল্লষ্টের জীবনকালে এতদঞ্চলে একবার সাওতালদিগের হাঙ্গামা হয়। তখন সকলেই ভূয়ীৰ্ত্ত হইয়া স্থানান্তরে পলায়ন করে। ব্রজবল্লভ ও তাছার ভ্রাতাগণ একখানি ভুলি করিয়া মহাপ্রভুকে লইয়৷ বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তর্গত যে স্থানে শুমা রূপ। দেবীর মন্দির ও লাউসেনের গড় ও জঙ্গলের নিকট ইছাট ঘোষের মন্দির আছে তথায় উপস্থিত, হন। ঐ স্থানের নাম হইয়াছে গৌরাঙ্গপুর । উক্ত গ্রামের তালুকদার টিকরবেতাগ্রামবাসী গুরুপ্রসাদ ঘোষ