পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, প্রথমাংশ, রাজন্য কাণ্ড).djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थानेि कांद्रश्-ब्रांजयश्नं।] রাজন্য-কাণ্ড ৬৯ কর্ণসুবর্ণের যেরূপ অবস্থান নির্দেশ করিয়াছেন, তাছার সহিত পরবর্তী কাহিনীর সামঞ্জস্ত নাই। এজন্য আমরা তাম্রলিপ্তির ৭•• লি উত্তরপশ্চিমের পরিবর্তে অবশুই উত্তরপূৰ্ব্বে ধরিয়া লইব ।” কিন্তু আমরা চীষ্মপরিব্রাজকের বর্ণনায় অসামঞ্জস্ত পাইতেছি না। তিনি যে তাম্রলিপ্তের ৭•• লিঙ্কটত্তরপশ্চিমে কর্ণসুবর্ণের অবস্থান নির্দেশ করিয়াছেন, তাছাই ঠিক । তিনি বরাবর একটা জনপদের রাজধানী বা প্রধান কেন্দ্রের দূরত্বই নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন। তখনও শশাঙ্কদেব জীবি তেখনও তিনি পূৰ্ব্ববর্ণিত ময়ূরভঞ্জের প্রান্তসীমায় অবস্থান করিতেছিলেন। আমরা মনে শ্ব, ঐ স্থানই চীনপরিব্রীজকের সমকালীন কর্ণসুবর্ণের রাজধানী, ঐ স্থান তাম্রলিপ্ত হইতে প্রায় ৭০০ লি উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত বটে। কিন্তু তিনি সেই দুর্গম প্রদেশ না গিয়া বৌদ্ধকীৰ্ত্তি দর্শন করিবার জন্ত কর্ণসুবর্ণের পূর্বরাজধানী মুর্শিদাবাদজেলাস্থ রাঙ্গামাটা কাণসোণায় আসিয়াছিলেন। তিনি বৌদ্ধদ্বেষী রাজা, শশাঙ্ককে অতি ঘূণার চক্ষেই দেখিতেন, এ কারণেই তিনি তাহার নুতন রাজধানীতে যান নাই বা এখানে র্তাহার নামোল্লেখ পৰ্য্যস্ত করেন নাই । t মুর্শিদাবাদজেলার বর্তমান সদর বহরমপুর হইতে ৮ মাইল দক্ষিণে ভাগীরথীর তীরে রাঙ্গামাটী নামে যে প্রাচীন গ্রাম রহিয়াছে, পঞ্চাশবৎসর পূর্ব পর্য্যন্ত তাহাই ‘কাণসোণা’ নামে প্রসিদ্ধ ছিল । রাঙ্গামাটর সুবিস্তৃত ও সমুচ্চ স্তুপ চীন-পরিব্রাজক বর্ণিত রক্তমৃত্তি সত্তারামের স্মৃতি আজও বজায় রাখিয়াছে। বহুতর দীঘি, সরোবর ও প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ এখনও এই রাদামাটার চতুদিকে ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত রহিয়াছে। ১৮৫৩ খৃঃ অব্দে কাপ্তেন লেয়ার্ড সাহেব এইস্থান দর্শন করিয়া লিখিয়াছেন—“রাঙ্গামাট পুৰ্ব্বকালে কাণসোণাপুরী নামেই প্রসিদ্ধ ছিল। গৌড়পতি কর্ণসেন এই নগরী নিৰ্ম্মাণ করেন । র্তাহার সম্বন্ধে বহুতর প্রবাদ এখনও প্রচলিত রহিয়াছে। এখনও লোকে ‘রাক্ষসের ডাঙ্গা’ ও ‘কৰ্ণসেনের রাজবাড়ী দেখাইয়া থাকে। রাজবাটীর ধ্বংসাবশেষের নিদর্শন এখনও তিন দিকে বিরাজমান। অপর দিক নদীগর্ভে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হইয়াছে। রাজবাটার পূর্বদিকে কিছুদিন পূৰ্ব্ব পর্য্যন্ত মুগ্ৰাচীনতোরণ ও তাহার পার্থে দুইট বৃহৎ বুরুজ বিদ্যমান ছিল। অল্পদিন হইল, সমস্তই ভাগীরথীর গর্ডশায়ী হইয়াছে * মুসলমান আমলুেও এই কাণসোণ-রাঙ্গামাটর গৌরব কতকটা অক্ষুণ্ণ ছিল। এখানকার হিন্দু জমিদার নদীয়ারাজের সমান সন্মান পাইতেন।” কাণসোণ রাঙ্গীমাটী (s») Watters' Yuan-Chuang, Vol, II. p. 192 (**) Journal of the Asiatic Society of Bengal, 1853, pt. 3. (se) “Rangamati formed one of the ten Fauzdaris into which Bengal was divided under the Musulman rule. Its Hindu Zamindar was a considerable person ; and on the occasion of the great Punyash at Mutijhil in 1767, received a khilat worth Rs. 7278, or as much as the Zamindar of Nadiya". Mr. Long's Essay-on the Banks of the Bhagirathi.