পাতা:বনলতা সেন - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

এক-হাজার আরব রজনী ঘুরেও একহাজার টাকার কেস্ সে
দিতে পারবে না ওরিয়েণ্টালকে কিংবা হিন্দুস্থানকে
জীবনে এইটুকু চমৎকার টনক রয়েছে তার,
কম নয়।
আনন্দবাজারে একটা কাজ জুটিয়ে দাও তাকে;
কিন্তু তাতেও সুবিধা হবে কি?
তাকে কেউ কিছু উইল করে গেলে পরেও
তা হ’লে
চশমার পাথর মুছে নিয়ে
শীতের প্রকোপ থেকে নিজেকে বাঁচাবার জন্য চামসে চাদর গায়ে জড়িয়ে
নির্বিবাদে কবিতা লিখে যেতে পারত সে
আনন্দের কবিতা,
হয়তাে প্রফিল্যাকটিক টুথব্রাশও একটা কিনতে পারত
আর ফরহান্ টুথপেস্ট—
দাঁত ও মাড়ি সুন্দর, শক্ত হত তার,
হ্যালিটোসিস থাকত না
থাকত না ডিসপেপসিয়া
পেটের গ্যাস
স্টেপটোকোকাস
তেলচিটে ঘেমাে ভ্যাপসা চাদরটা প্রাণ পেত
কিন্তু থাক—কবিতার সঙ্গে এ সবের কী সম্পর্ক
বিশেষত আনন্দের কবিতার সঙ্গে—
কবিকে দেখে আমরা কী করব?
পড়ব তার আনন্দের কবিতা কবিতার বই
আর্ট পেপারে আর্ট প্রেসে ছাপা হয়
অনির্বচনীয় কভার
কখনও বা অন্ধকারিক, নাক্ষত্রিক, কখনও বা প্রান্তরের বটের গুঁড়ির ফাঁকে
জ্যোৎস্নার মতাে— জ্যোৎস্নার প্রেতাত্মার মতাে;

৭০