পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
২৭

 যে কারণে অসবর্ণবিবাহবিধির পরিসংখ্যাত্ব স্বীকার করিতে হয়, তাহা উপরি উদ্ধৃত অংশে বিশদরূপে প্রতিপাদিত হইয়াছে; এজন্য, এস্থলে এ বিষয়ে আর অধিক বলা নিম্পয়োজন। এক্ষণে, তর্কবাচস্পতি মহাশয় যে সকল আপত্তি উথাপন করিয়াছেন, তাহার সমালোচনা করা আবশ্যক।

 তাঁহার প্রথম আপত্তি এই;–

মানববচনাস্য যৎ পরিসংখ্যাপরত্বং কম্পাতে তৎ কস্য
ছেতোঃ? ন তাবৎ তস্য পরিসংখ্যাকল্পকং কিঞ্চিৎ বচনান্তর-
মস্তি, নাপি যুক্তিঃ, নবা প্রাচীনসন্দর্ভসম্মতিঃ। তথাচ অসতি
পরিসংখ্যাকম্পকযুক্ত্যাদে দোষত্রয়গ্রস্তাং পরিসংখ্যাই স্বীকৃত্য
মানববচনস্য যৎ দোষত্রয়কলঙ্কপঙ্কে নিক্ষেপণং কুতং তৎ কেবলং
স্বাভীষ্টসিদ্ধিমনীষয়ৈব। পরিসংখ্যায়াং ছি

  শ্রুতার্থস্য পরিত্যাগাদশ্রুতার্থস্য কম্পনাৎ।

 প্রাপ্তস্য বাধাদিত্যেবং পরিসংখ্যা ত্রিদোষিকা ইতি॥

শ্রুতার্থত্যাগাশ্রতার্থকল্পনপ্রাপ্তবধরূপং মীমাংসাশাস্ত্রসিদ্ধং দোষত্রয়ং স্বীকার্য্যং তস্য চ সতি গত্যন্তরে নৈবাঙ্গীকার্য্যতা (১৮)। “

 
মনুবচনে যে বিবাহবিধি আছে, উহার যে পরিসংখ্যাত্ব কম্পিত
হইতেছে, তাহার হেতু কি। ঐ বিবাহবিধির পরিসংখ্যাত্ব কল্পনার
প্রমাণস্বরূপ রচনান্তুর নাই, যুক্তিও নাই, এবং প্রাচীন গ্রন্থের
সম্মতিও নাই। এইরূপ প্রমাণবিরহ্নে ত্রিদোষগ্রস্তা পরিসংখ্যা
স্বীকার করিয়া, মনুবচনকে যে দোষত্রয় রূপ কলঙ্ক পঙ্কে নিক্ষিপ্ত
করিয়াছেন, কেবল স্বীয় অভীষ্টসিদ্ধিচেষ্টাই তাহার মূল।


বিধিং বিনা কথমপি যদর্থগোচরপ্রবৃত্তির্নোপপদ্যতে অসাবপুর্ব্ববিধিঃ নিয়তপ্রবৃত্তিফলকো বিধির্নিয়মবিধি স্ববিষয়াদনাত্র প্রবৃত্তিবিরোধী বিধিঃ পরিসংখ্যাবিধিঃ তদুক্তং বিধিরত্যম্ভপ্রাপ্তৌ নিয়মঃ পাক্ষিকে সতি।তত্র চালত্র চ প্রাপ্তৌ পরিসংখ্যেতি গীয়তে॥ বিধিস্বরূপ।

(১৮) বহুবিবাহবাদ, ৩৮ পৃষ্ঠা ।